ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মহিপুরে প্রশাসনের নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হলো ফুল বাগানে নির্মিত অবৈধ দোকান

Daily Inqilab কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা

০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকারী জমিতে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নির্মিত বাগানের ফুল ও ফল গাছ কেটে দুটি দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হারুন নিকেল ও রাছেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এসময় একটি বট গাছ কেটে ফেলা হয়। দোকান ঘর দুটি নির্মানের পর পরই স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন ওই দখলকারীরা। পরে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘর দুটি সরিয়ে ফেলা হয়।

 

সরজমিনে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে মহিপুর সেতু সংলগ্ন সরকারী জমিতে একটি বাগান গড়ে তোলেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাগানে হরেক পদের ফল ও ফুল গাছ লাগানো হয়। এ বাগানটি এখন সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে ওই এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি ফুল গাছ, কয়েকটি ফল গাছ ও একটি বট গাছ কেটে দুটি দোকান ঘর নির্মান করে হারুন নিকেল ও রাছেল হাওলাদার। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুসে ওঠে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নির্দেশে দোকান ঘর দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে।

 

মহিপুর এলাকার ব্যবসায়ী মিজান বলেন, এই বাগানটি করা হয়েছে বন্দরকে সৌন্দর্য করার জন্য। এটা কারো ব্যক্তিগত নয়। এটা আমাদের সকলের। গাছ কাটার অপরাধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় মুদি ব্যাবসায়ী ইব্রাহীম বলেন, এখানে একটি বটগাছ ছিলো সেটি কেটে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এতে আমরা ব্যথিত। যিনি বট গাছ কেটেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।মহিপুর ইউনিয়া যুবদল কর্মী রিপন মুসুল্লি বটগাছি কাটায় জনসম্মুখে প্রতিবাদ জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।

 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেই। উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে দখলদাররা ঘর সরিয়ে ফেলে। এর পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত