ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরের মান্দারীতে ব্রিজের রেলিং ভেঙে হোটেলে যাতায়াতের পথ, ঝুঁকিতে ব্রিজ

Daily Inqilab লক্ষ্মীপুর (সদর) সংবাদদাতা

০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম


লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের উপর থাকা ব্রিজের রেলিং (হাতা) ভেঙে যাতায়াতের পথ বানিয়েছেন হারুনুর রশিদ নামে স্থানীয় এক হোটেল মালিক।

 

 

এর আগেও ব্রিজের পাশে থাকা অন্য দোকান মালিকরাও ব্রিজের দুইপাশের রেলিং ভেঙে দেয়। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ব্রিজটি।

 

 

স্থানীয় লোকজন জানায়, ব্রিজের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে থাকা হারুনের খাবার হোটেলের সামনে ব্রিজের রেলিং ছিল। তার হোটেলে যাতায়াতের সুবিধার্থে গত চার মাস আগে সে লোক ভাড়া করে রাতের আঁধারে সরকারি ব্রিজের রেলিংটি কেটে ফেলে।

 

 

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ব্রিজটির এমন ক্ষতি সাধন করলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

 

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মান্দারী বাজারে উপর থাকা ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম ব্রিজ। গত এক বছরের ব্যবধানে দুই দফা ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের হাতা কেটে ফেলা হয়েছে। এতে ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়েছে।

 

 

ব্রিজের রেলিং ভাঙার বিষয়ে হোটেল মালিক হারুনুর রশিদ বলেন, ব্রিজের রেলিং আমি নিজ থেকে ভাঙিনি। গত ৫ আগস্ট আন্দোলনকালীন উদ্বত পরিস্থিতি চলাকালীন ছাত্ররা ব্রিজের রেলিং ভেঙে ফেলে।

 

 

ব্রিজের পুরো অংশে বা অন্যকোন অংশের রেলিং না ভেঙে শুধু হোটেলের সামনের অংশের রেলিং কেন ভাঙা হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি৷

 

 

যদিও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সুযোগ বুঝে হোটেল মালিক হারুন ভাড়াটে লোকজনের দিয়ে রেলিং ভাঙিয়ে ছাত্রদের উপর দায় চাপাচ্ছেন।

 

 

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত