বাবার দেয়া চুরির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ছেলে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ভরাপাড়া গ্রামের বাবা আব্দুল কুদ্দুস(৫৭) এর দেয়া এক চুরির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ছেলে আল মামুন(৩২)। তিনি চুরির মামলায় ২ নম্বর আসামি ছিলেন। সেই সঙ্গে অব্যাহতি পেয়েছেন মামলার ১ নম্বর আসামি একই ইউনিয়নের প্রয়াত আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ সেকান্দর(৫৭) ও তার ছেলে ৩ নম্বর আসামি আমির সোহেল (২৪)। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর ছোট বাজার মুক্তিযোদ্ধা স্মরনী রোডে স্থানীয় এক সংবাদপত্র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গরাডোবা ইউনিয়নের প্রয়াত আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ সেকান্দর ও মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো: সেকান্দর জানান, ২০২২ সালের ৩০ মে ভরাপাড়া গ্রামের প্রয়াত আলী নেওয়াজ তালুকদারের বাড়িতে একটি রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বাড়ির প্রয়াত এড. আব্দুল আজিজ তালুকদার ও প্রয়াত এডভোকেট আব্দুল মজিদ তালুকদার পরিবারের লোকজন এবং তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল কুদ্দুস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ স্থানীয় ক্রুচক্রি মহল একত্রিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চোর সাব্যস্ত করে দোষারোপ করা শুরু করে। ঘটনার ৪৫ দিন পর ২০২২ সালের ৭ জুলাই আমার পিতা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় চুরি মামলা দায়ের করে। যার এফআইআর নম্বর ২১/২৬৫। এ মামলায় আমাকে এক নম্বর আসামি আমার ছেলে আমীর সোহেলকে ৩ নম্বর এবং বাদীর ১ম তরফের ছেলে আল মামুনকে ২ নম্বর আসামি করে। এজাহারে আমাদেরকে সন্দেহজনক চোর হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপর আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর হয়। পরে দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েছি। তবে মামলার আগে প্রয়াত এডভোকেট আব্দুল আজিজ তালুকদারের ছেলে মাসুদুল আজিজ টিটো ও তার বোনজামাই ডাক্তার আব্দুল বারী এবং প্রয়াত আব্দুল মজিদ তালুকদারের ছেলে মুশফিকুল সিরাত আমাদেরকে প্রকাশ্যে জোরজবরদস্তি মূলক চুরির স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
পরবর্তীতে কেন্দুয়া থানার তদন্ত রিপোর্ট ও ডিবি পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা তিন জনই চুরির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রমাণিত হয়। পরে বাদী পক্ষ ডিবির চূড়ান্ত রিপোর্টের উপর আপত্তি দিলে মামলাটি পুনরায় তদন্ত হয় পিবিআই এ। পরে পুনরায় মামলাটি তদন্ত করলে চুরির ঘটনার সঙ্গে আমাদের তিন জনের সম্পৃক্ততা নেই বলে আবারো প্রমাণিত হয়। এভাবেই আমরা ৩ বছর যাবত কোর্টে হাজিরা দিয়েছি। অবশেষে ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর আমরা তিন জনই কেন্দুয়া থানায় দায়ের করা চুরির মামলা- ২১/২৬৫ হতে অব্যাহতি পাই। আমরা এ ঘটনায় সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া সেকান্দর আলীর ভাতিজা রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুসের সাড়া মেলেনি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত