ছাতকে ধ্বংসের পথে রেলপথ, রজ্জুপথ ও কংক্রীট স্লীপার প্লান্ট
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
সুনামগঞ্জ ছাতক রেলওয়ে বিভাগের রেলপথ, রজ্জুপথ ও কংক্রীট স্লীপার প্লান্ট আজ ধ্বংসের পথে। এ কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অনিয়ম-দূর্নীতি, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কারণে বিভাগটি ধ্বংস হচ্ছে।
জানা যায়, ছাতক শহরটি বৃট্রিশ আমল থেকে ব্যবসায়ী কেন্দ্র-বিন্দু হিসেবে দেশ-বিদেশে বেশ পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। এ হিসেবে এখানে ১৯৫৪ইং সালে স্থাপিত হয় ছাতক-সিলেটে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ। শুরু থেকে ১৯৮৫ইং পর্যন্ত যাত্রী সেবায় ট্রেন ছিল একনিষ্ট। ছাতক থেকে প্রতিদিন চারটি ট্রেন সিলেটে বিভাগীয় শহরে যাতায়াত করতো। এগুলোর সাথে মালামাল পরিবহনের জন্য ৪টি বগিতে সিমেন্ট, পাথর, চুনাপাথর, তেজপাতা ও কমলা লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল কম খরচে পরিবহন করা হতো। ছাতকসহ সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর যাতায়াতের এক মাত্র প্রধান মাধ্যম ছিল এ ট্রেন পথ। অনিয়ম-দূর্নীতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিভাগটি আজ ধ্বংসের পথে। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের সাথে এ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ পথে ট্রেন পূনরায় চালু হয়নি। এর মধ্যে ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় রেল পথের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যা আজও সংস্কার হয়নি। পাথর, স্লীপারসহ বিভিন্ন যত্রাংস প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে। ছাতকবাজার রেলওয়ে স্টেশনসহ রেল বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনায় অপরাধিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
ছাতকবাজার রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৪ থেকে ১৯৭০ইং সালে নির্মিত হয় ছাতক-ভোলাগঞ্জ ১৯ কিলোমিটার রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের নিজস্ব খনি থেকে রেললাইনে ব্যবহৃত পাথরের চাহিদা মেটাতে ১২০টি ট্রেসেল (এক ধরণের খুঁটি)’র উপর ভর করে পাথর পরিবহনের জন্য এ রজ্জুপথটি স্থাপিত হয়। রজ্জুপথে পাথর পরিবহনের জন্য ৪২৫টি বাকেট (পাথর ধারণের পাত্র) ছিল। এ বাকেটে চড়ে রজ্জুপথে ছাতক-ভোলাগঞ্জ যাতায়াত করতেন সংশ্লিষ্টরা। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেসময় রজ্জুপথে পাথর পরিবহন সহজ উপায় ছিল এ রজ্জুপথ। সুরমা নদীর কূল ঘেঁষে ১২০টি ট্রেসেলের উপর এটি স্থাপনের পর কিছুদিন চালু থাকলেও ১৯৭১সালে স্বাধিনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ রজ্জুপথ পূনর্বাসন করে পূনরায় চালু হয়েছিল ১৯৮০ সালে। দীর্ঘ বছর চালু থাকে এ রজ্জুপথ। মাঝে মধ্যে যান্ত্রিত ক্রটিসহ বিভিন্ন দূর্ঘটনার কারণে বন্ধ হলেও পরবর্তীতে চালু করা হতো। কিন্তু ২০১৩ সালে এসে থেমে যায় রজ্জুপথ। এর পর থেকে আজও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ১৯৮৮ সালে ছাতকবাজার রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ৬ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় প্রি-স্ট্রেসড (এমজি) কংক্রীট স্লীপার প্লান্টি যান্ত্রিক ক্রুটি, কাঁচামাল সঙ্কটসহ বিভিন্ন অযুহাতে বন্ধ রয়েছে। সিলেট রেলওয়ে বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) রেজাউল হক জানান, সরকার পরিবর্তন হওয়ায় সিলেট-ছাতক রেল লাইনের সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। পূর্বের টেন্ডার বাতিল করে নতূন করে আবারও টেন্ডার দেওয়া হতে পারে। সংস্কার কাজ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালু হচ্ছে না। বন্ধ হওয়া রজ্জুপথ, রেলপথ ও কংক্রীট স্লীপার প্লান্টি দ্রুত চালু হলে ঐতিহ্যের ঠিকানা ফিরে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা ছাতকবাসীর।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমার মতো চুটিয়ে প্রেম বোধহয় কেউ করেনি—পরীমণি
কলাপাড়ায় ছয় ব্যবসায়ীর জরিমানা
বাগমারায় প্রাথমিকের অবসরপ্রাপ্ত ২৬ প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিকল্প নেই : জামায়াত আমির
৩০ যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে ২৪৬৬ সেনা ফেরত পেল রাশিয়া
'নেইমারকে ছাড়া বিশ্বকাপ জিততে পারবে না ব্রাজিল'
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
বিদায়ী ভাষণে যা বললেন বাইডেন
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নেবে না জনগণ: সারজিস আলম
কালিয়াকৈরে শিক্ষকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও মালামাল লুটপাট
সিংগাইরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে অর্থদন্ড
ঢাকায় পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
গোড়ারকান্দা দরবার শরীফের ওয়াজ মাহফিল ১৭-১৮ জানুয়ারি
সাটুরিয়ায় ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করে এতিমখানায় বিতরন, দুই বিক্রেতাকে জরিমানা
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সাহাদত হোসেনের ইন্তেকাল
দুর্বার রাজশাহীকে বিসিবির কড়া বার্তা
কুষ্টিয়া সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি
চীনের আধিপত্য রুখতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ
সর্বদলীয় সভায় অংশ নিবেন বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ
নারী পুলিশ-আওয়ামী লীগ ডান্স পার্টি, ভাইরাল ভিডিওতে কি আছে?