লক্ষ্মীপুরে এখনো স্বাভাবিক হয়নি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম, সড়কে জনদুর্ভোগ

Daily Inqilab লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম

জুলাই আগস্ট আন্দোলনের পরবর্তী সময় হতে অবদি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক শূন্যতা দেখা দিয়েছে। ট্রাফিকে পুলিশের মধ্যে অনেকটাই স্থবিরতা কাজ করছে। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলছে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে। অল্প সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে কোন রকম দায়সারা কার্যক্রম চলছে। অথচ শহরের উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী, চকবাজার ও ঝুমুর ট্রাফিক চত্বর এলাকায় সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে যানজট লেগেই থাকে। তবে দুই একটা স্থানে ট্রাফিক পুলিশ দেখা গেলেও অল্প সংখ্যক দিয়ে যানজট নিরসন হয়না। ফলে মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়তেই থাকে।

 

 

সাম্প্রতিক লক্ষ্মীপুর আউট স্টেডিয়ামে মাস ব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। দক্ষিণ তেমুহনী হতে ঝুমুর চত্বর পর্যন্ত রামগতি ডাইভারশন সড়কে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে নেই ট্রাফিক পুলিশের উল্লেখযোগ্য নেই কোন কার্যক্রম। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৃষ্টি হয় যানজট, ভোগান্তির শিকার ওই সড়কে যাতায়াতকৃত জনসাধারণ।

 

 

শহীদ আফনান চত্বর থেকে চকবাজার, চকবাজার থেকে সামাদ স্কুল ও কলেজ সড়কের মাথা এবং দক্ষিণ তেমুহনী পর্যন্ত বিগত সময়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও এখন সেইভাবে দেখা যাচ্ছেনা। সবচেয়ে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয় সদর হাসপাতালের প্রবেশ পথ, আদর্শ সামাদ উচ্চবিদ্যালয় মোড়, হাসপাতাল সড়কের মাথা, গোডাউন সড়কের মাথা, চকবাজারের তিনটি স্থান, শাখারী পাড়া সড়কের মাথা এবং শহীদ আফনান চত্বর গোল চক্করসহ পুরো এলাকা।

 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। তারা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম ধীরগতি এবং অল্প সংখ্যক পুলিশ দিয়ে যানজট নিরসন সম্ভব নয়। পাঁচ মিনিটের সড়ক আধা ঘণ্টাও লেগে যায়। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষতিও হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

 

 

পথচারীরা বলেন, দূরদূরান্ত থেকে জেলা শহরে কেনাকাটা করতে এসে যানজট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গাড়ি তো দূরের কথা হেটেও রাস্তা পার হতে সময় লাগে অনেক। এছাড়া স্কুলকলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি। পরীক্ষার সময় সবচেয়ে বেশি বিপাকে অনেক শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী।

 

জানাগেছে, আন্দোলনের পরে পালিয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের ঘোষণা দিয়ে কাজে ফেরার আহবান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বিভিন্ন দাবি উপস্থাপনের মাধ্যমে পুনরায় কিছু সংখ্যক পুলিশ কাজে ফিরলেও এখন অনেক পুলিশ কাজে ফিরেনি। পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

দেশের সংকট মুহূর্তে যখন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি করছে। ঠিক তখনই শিক্ষার্থীরা নতুন করে দেশ গড়ার শপথ নিয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছে তারা। তখন তাদের তাদের হাতে ছোট লাঠি, মুখে বাঁশির সুর। মনে হচ্ছে আসল ট্রাফিক পুলিশের সদস্যেরা দায়িত্ব পালন করছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের আস্থা যত তাড়াতাড়ি ফিরবে, তাড়াতাড়ি সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। এর আগে ট্রাফিক না থাকায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে সড়কে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করছে, সেটাও অনেক ভালো উদ্যোগ ছিল।

 

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সচেতনতার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল বাড়াতে হবে, ট্রাফিক পুলিশের প্রতি আস্থা ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

 

জেলার ৫টি উপজেলায় প্রত্যেকটি সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে কাজ ট্রাফিক পুলিশ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক। যথাযথ কাজ করে সড়কে চলাচলের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরাবে। এমনটাই প্রত্যাশায় জনসাধারণ।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা
বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী
ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু
আরও

আরও পড়ুন

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

বিরতির প্রথম দিন :  গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী  ট্রাক

বিরতির প্রথম দিন : গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু

আল-কাসসাম মুখপাত্র গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেন

আল-কাসসাম মুখপাত্র গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেন

ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ নিঃশ্বাসে ঢুকছে বিষ

ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ নিঃশ্বাসে ঢুকছে বিষ