তেঁতুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে দলিল সম্পাদন,দলিলে হাতের নকশা পরিবর্তন,দলিলে কম মূল্য দেখানোসহ কাগজ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।এতে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার,ক্ষতিগ্রস্থ ক্রেতা বিক্রেতা। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়,তেঁতুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জেলা প্রশাসকের জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে দলিল লেখক আনিছুর রহমান ও রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি জুলেখা বেগমের সহযোগিতায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে করতোয়া সোলার লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসিকুল ইসলাম গত বছরের ১১ জুলাই ৪৫ বিঘা জমি রেজিস্ট্রির কাজ সম্পাদন করে।দলিল নং-১২৫৩।
রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্যানুযায়ী, করতোয়া সোলার লিমিটেড জমি রেজিস্ট্রির সময় জেলা প্রশাসকের জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্রে, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে।খোঁজ নিলে যার নথি জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখায় নাই।তারা জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে রাজস্ব শাখা থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে স্বারক নং- ৪১৪। সেখানে এক বছরের মধ্যে জমি ক্রয় সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।এছাড়াও অকৃষি জমি কেনার কথা বলা হলেও দুই ফসলি জমি ক্রয় করেছে করতোয়া সোলার লিমিটেড।
জমি দাতা ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন দিপু বলেন, চার কোটি ষাট লক্ষ টাকা জমির মূল্য নির্ধারনের পর, দুইকোটি টাকা দিয়েই করতোয়া সোলার লিমিটেড এর সুজা মিয়া, তৎকালীন সরকারের দাপট আর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহীনির লোকজন আসে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়।বিষয়টি থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল।যদিও দলিলে মূল্য দেখানো হয়েছে এক কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।
করতোয়া সোলার লিমিটেড এর প্রশাসক সুজা মিয়া বলেন,জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্রটি আগের আমরা দলিল লেখককে জমা দিয়েছি কিন্তু কে কি করেছে সেটা জানিনা।
জমি ক্রেতা তেঁতুলিয়া এলাকার ওমের আলী বলেন,জমি রেজিস্ট্রি করতে সব ধরনের কাগজপত্র থাকলেও অফিস খরচ বাবাদ দিতে হয় ৮০০-১ হাজার টাকা।কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত আরো গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা।
এদিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ সাহেরা শাহরিনকে দলিলে হাতের নকশা পরিবর্তনের দায়ে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন,আমাকে ভলিয়ম বের করে দেয় নকল নবীশ আহম্মেদ আলী।ভলিয়মে যা ছিল তাই দেওয়া হয়েছে।দলিলের দাতা ক্রেতার সাথে আমার ব্যাক্তিগত পরিচয় নাই।তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি ও বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান।
তেঁতুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার রাশেদুজ্জামান এ কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি, বিষয়গুলো জানা নাই।তবে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আনসার ভিডিপি দেশপ্রেম, মানবিকতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক
দেশে বেকার সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার
সোহাগ পরিবহনের হেলপার হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে কি গোপনেই বিয়ে সেরে ফেললেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
সোনারগাঁওয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণ করে জমি দখল
কুমিল্লার মুরাদনগরে কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের মতবিনিময়
থাইল্যান্ডে হাতির আক্রমণে মর্মান্তিক মৃত্যু স্প্যানিশ পর্যটকের
মাদারীপুরে ইউপি সচিবকে ঘুষি মারলেন চেয়ারম্যান
৫০ বছরে পদার্পণ করল মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ
ভয়াবহ তুষার ঝড়ের কবলে যুক্তরাষ্ট্র
নাইট মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ৪ দল চূড়ান্ত
ঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও শীতবস্ত্র বিতরণ
হেলস-সাইফ টর্নেডোয় সিলেটকে উড়িয়ে রংপুরের চারে চার
ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হামলায় ৮ সেনাসহ নিহত ৯
কয়েক দিন সাগরে ভাসার পর অবশেষে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাল ২৬৪ রোহিঙ্গা
গুরুদাসপুরে পুকুরে ডুবে বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু
মেট্রোরেল সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি
মতলব উত্তরে সাংবাদিকেদর সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময়
কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি
ফরাসি সুপার কাপ পিএসজিরই