ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১

স্বৈরাচারী হাসিনার নির্ঘুমের কারণও ছিল কুমিল্লা : হাসনাত আবদুল্লাহ

Daily Inqilab কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার

০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বতীকালিন সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেয়ার জন্য এখানে আনি নাই। আপনাদের এক্সকিউজ দেয়ার জন্য এখানে আনি নাই। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। যে হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ নয়, অন্তর্বতীকালিন সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫আগস্টের পূর্বে আমাদের যে অবস্থান ছিল আমাদের সেই অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা ছিল ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে একটি অন্যতম শক্তি, কুমিল্লার এই শক্তি স্বৈরাচারী হাসিনার নির্ঘুমের কারণও ছিল। কুমিল্লা থেকে স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিধ্বনি সবসময় উচ্চারিত হয়েছে। কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই অব্যাহত থাকবে। ২৪ পরবর্তী সময়ে মানুষের যে আকাঙ্খার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা বলা হচ্ছে, সেটির যাত্রা কুমিল্লা থেকেই শুরু হবে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা নগরীতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে নগরীর পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে কান্দিরপারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। একইসঙ্গে জনগণের যে আকাঙ্খা ফ্যাসিবাদি রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিল, সেই আকাঙ্খার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রণ করেছিল, তারা এই ঘোষণাপত্রে কী চায় আমরা তা তুলে ধরব। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া না দিতে পারে। আমরা দেখেছি জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। আমরা বলতে চাই ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল কিন্তু তা নেয়া হয়নি। তাই আমরা এই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে সকল রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবেন। তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি।আমরা রাজনৈতিক ঐক্যমতকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেইনি। তাই আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুর্ত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পটুয়াখালী জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের সাবেক সভাপতির ইন্তেকাল

পটুয়াখালী জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের সাবেক সভাপতির ইন্তেকাল

আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি হিসেবে যোগ দিলেন নুরে আলম সিদ্দিক

আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি হিসেবে যোগ দিলেন নুরে আলম সিদ্দিক

বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আগুন দেওয়া হয়েছে

বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আগুন দেওয়া হয়েছে

জকিগঞ্জে ক্রসফায়ারের চার বছর পর ওসির বিরুদ্ধে মামলা

জকিগঞ্জে ক্রসফায়ারের চার বছর পর ওসির বিরুদ্ধে মামলা

আজকের মধ্যে ন্যায় বিচারের ইঙ্গিত না পেলে শাহবাগ ব্লকেডে যাবেন বিডিআর পরিবারের সদস্যরা

আজকের মধ্যে ন্যায় বিচারের ইঙ্গিত না পেলে শাহবাগ ব্লকেডে যাবেন বিডিআর পরিবারের সদস্যরা

চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস;স্বাভাবিক জনজীবন আড়ষ্ট

চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস;স্বাভাবিক জনজীবন আড়ষ্ট

কুষ্টিয়ায় ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা ১২ লাখ টাকা

কুষ্টিয়ায় ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা ১২ লাখ টাকা

পদ্মা নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে কারাদণ্ড

পদ্মা নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে কারাদণ্ড

মা-ছেলের মিলনে আবেগাপ্লুত ভক্ত-সমর্থক; অরুণা বিশ্বাসের তেলবাজি, কটাক্ষের শিকার

মা-ছেলের মিলনে আবেগাপ্লুত ভক্ত-সমর্থক; অরুণা বিশ্বাসের তেলবাজি, কটাক্ষের শিকার

শেরপুরে শপিংমলে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ' ও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান: আটক-২

শেরপুরে শপিংমলে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ' ও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান: আটক-২

বিমানবন্দরে নরওয়ের নাগরিকদের হেনস্থা, একজনকে বেধরক মারধর

বিমানবন্দরে নরওয়ের নাগরিকদের হেনস্থা, একজনকে বেধরক মারধর

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার: বকশীবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার: বকশীবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী

এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না : হাসনাত

এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না : হাসনাত

গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হবে না ডেনমার্ক

গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হবে না ডেনমার্ক

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রচণ্ড দাবানল, মৃত্যু ৫

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রচণ্ড দাবানল, মৃত্যু ৫

চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ, প্রতিবাদের ঝড়

চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ, প্রতিবাদের ঝড়

ইবিতে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপনে কমিটি গঠন

ইবিতে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপনে কমিটি গঠন

টিউলিপ মিথ্যা বলেছেন কি না, তদন্ত করবে ব্রিটিশ সরকার

টিউলিপ মিথ্যা বলেছেন কি না, তদন্ত করবে ব্রিটিশ সরকার

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি

দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২