গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল সরকারের ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক এ অভিযোগ করেন। পরে তারা বাঘের বাজার এলাকার সাফারিপার্ক সড়কে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের বিচার দাবী করেন।
বুধবার রাত পৌণে ১২ টায় গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক কাউসার মোল্লার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ফখরুল সরকারের ওপর অতর্কিতে হামলা করে মারাত্মক আহত করে। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক তার বক্তব্য বলেন, দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে অন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ১৭ বছর যারা লুটতরাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেসব ফ্যাসিবাদের দোষররা আমাদের চারপাশে এখনো আছে এবং ষড়যন্ত্র করছে। স্বৈরাচারের দোষররা আমাদের দলের কারো কারো ওপর ভর করে নিবেদিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। বিভিন্ন ধরনের অন্যায় অত্যাচার করে স্থানীয় বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এখনো পর্যন্ত তারা সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করছে। ইতিপূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দলের নিবেদিত কর্মী ফখরুলের ওপর হামলা করে তাকে আহত করেছে। সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পরিকল্পিত এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। স্বৈরাচারের দোষর এবং সন্ত্রাসীদেরকে বিএনপি কখনো প্রশ্রয় দেয়নি এবং দিবে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী গাজীপুর জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন বলেন, কাউসার মোল্লার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলের সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল সরকারের উপর হামলা করে তাকে মারাত্মক আহত করে। এসময় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা কবির এবং জাসাস নেতা জসীমকেও আহত করে হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক কাউসার মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হলো বাঘের বাজারের ময়লা পরিষ্কার নিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ময়লা নিয়ে হামলা বা মারামারির ঘটনা সম্পর্কে
আমি কিছুই জানি না।
জয়দেবপুর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, বাঘের বাজারের ময়লা পরিষ্কার নিয়ে একজন অভিযোগ দিয়েছিল। বুধবার মীমাংসাও হয়েছে। যদি দলীয় নেতাকর্মীরা বাজারের ময়লা পরিষ্কার নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় সেটা দলীয়ভাবেই সমাধান করবে নেতৃবৃন্দ।