নোমানি হত্যা মামলার আসামী আওয়াল কবির জয় সাময়িক বহিষ্কার
১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
আওয়াল কবির জয়ের বহিষ্কার নিয়ে গত বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জনাব ড. মোঃ আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইন সঙ্গত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শন জনিত কার্য সংগঠন এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাঁর এহেন আচরণ সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জনাব ড. মোঃ আওয়াল কবির কে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পরে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে সেটা দেওয়া হয়নি। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তিনি প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
আওয়াল কবির জয়ের সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা সাময়িক খুশি হয়েছি। তবে আমরা এই খুনির স্থায়ী বহিষ্কার চাই। একজন খুনির জায়গা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারেনা। সামনে যেন এই খুনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ না করতে পারে প্রশাসন যেন সে উদ্যোগ নেয় আমরা সেটাই চাই।’
আওয়াল কবির জয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামী ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সালে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে পাথর দিয়ে দুই হাত-পা থেঁতলে দিলেন স্বামী

৯০ দিন ধরে বন্ধ চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটের ফেরি

শিবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে গণধর্ষণ-নির্যাতনের বিচারের দাবি

জিম্মি মুক্তি নিয়ে নেতানিয়াহুর বৈঠক, আলোচনা বাড়ানোর নির্দেশ

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত বেড়ে ৩১, বেশিরভাগই নারী-শিশু

শিবগঞ্জে প্রেমিক যুগল জনতার হাতে আটক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরছেন হাসিনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ট্রাম্পের! যা জানা গেলো

আমদানি কমলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় বেনাপোল কাস্টমসে

নাটোরে টিসিবির পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

টেসলার বাজারমূল্য হঠাৎ কমলো, বিশ্লেষকরা বলছেন নজিরবিহীন পতন

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের উৎপাত বাংলাদেশের দূতাবাস গুলোতে, এ দায় কার?

কলাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

যে কারণে ম্যাচ বয়কটের হুমকি রিয়াল কোচের

পাংশায় বৈদেশিক মুদ্রা সহ এক চোরাকারবারী গ্রেপ্তার

দ্রুত রায় কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা

‘আবরার ফাহাদ হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা’

পর্তুগালে বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তাদের ঈদ মেলা

ঢাকা ছাড়ার আগে প্রধান উপদেষ্টাকে গুতেরেসের ফোন, যা বললেন

একদিন বন্ধের পরে আজ সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

বাউফলে পিটুনিতে নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া গেছে