শেষ মুর্হুতের কেনাকাটায় সিলেট নগরীর রাজপথ থেকে শপিংমলে ক্রেতারা

বহুদলীয় মানুষের ঈদ আনন্দ

শেষ মুর্হুতের কেনাকাটায় সিলেট নগরীর রাজপথ থেকে শপিংমলে ক্রেতারা

সিলেট ব্যুরো

৩০ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

রাত পােহালেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন। দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার পর সারা বিশ্বের মুসলমানের মতো ঈদ উদযাপন করবে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানও। কিন্ত এবারকার ঈদ আনন্দ ভিন্ন মাত্রায় উদযাপিত হচ্ছে দেশজুড়ে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে ঈদ আনন্দ মুলত ছিল একপেশে, অনেকটা নিরানন্দ। ভিন্নমতালম্বীদের ঈদ আনন্দ কেড়ে নিয়েছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার ও তার দল। বিশেষ করে বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর নির্মম নির্যাতনে তাদের পরিবারগুলো থাকতো তটস্থ। দিশেহারা পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দ মাঠি হয়ে যেত প্রশাসনের চক্ষৃু রাংগানীতে। বছরের পর বছর পরিবার পরিজন ছাড়া ঈদ করেছে কোটি কোটি মানুষ। কেউ দেশান্তীর হয়েছেন, কেউ গা-ঢাকা দিয়ে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন পরিবার থেকে। সেকারনে ওই সব পরিবারে ছিল না ঈদ আনন্দের বিন্দু পরিমান খুশিবাসী। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। এবার মাঠে বহুদলীয় কর্মী সমর্থকরা। ভিন্ন এক পরিবেশ প্রতিবেশ সার্বিকভাবে লক্ষনীয়। সিলেটের অনেক অনেক প্রবাসী পরিবার দেশে চলে এসেছেন ঈদে আনন্দে শরীক হতে। অথচ তারা একসময় দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যতন থেকে রক্ষায়। নেই শেখ হাসিনা, নেই তার জুলুমবাজ প্রশাসন। যারা কোন উৎসব আসলেও বিএনপি জামায়াত পরিবারগুলো থেকে চাঁদা নিতো, জেলের ভয় দেখিয়ে অসহায় করে রাখতো।

তাদের বুক চাপা কান্নায় ভারী হয়ে যেত ঈদ আনন্দ। ঈদে নতুন কাপড় কেনায় ছিল না তাদের আগ্রহ। কিন্তু এবার ষোলআনা পূরণ হচ্ছে দীর্ঘ বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের ঈদ খুশি। ঈদে নতুন কাপড় কেনায় এখন হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সিলেটে বিপনী বিতানে। সকাল থেকে শেষ রাত অব্দি সিলেটের শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। চাপ বেড়েছে কসমেটিকসের দোকানেও। আজ রোববার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে শেষ মুর্হুতের মার্কেটিং। মহানগরীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেননি কেনাকাটা, তারা সেরে ফেলছেন আজ-ই। এদিকে শেষ সময়ের ক্রেতা উপস্থিতিতে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

মহানগরীর জিন্দাবাজর, নয়াসড়ক, কুমারপাড়াসহ বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের শেষ মুহূর্তে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন শপিং প্রেমীরা। ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেননি কেনাকাটা, শেষ সময়ে তারা সেরে নিচ্ছেন সেটি। ফলে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস কিংবা গহনার দোকান, সবখানেই দেখা গেছে ক্রেতার চাপ।

কোম্পানীগঞ্জের লিটন আহমদ বলেন, এতো বছর একদলীয় ঈদ ছিল, সেভাবে পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরী করেছিল তারা। মানুষ ঈদ আনন্দ তো দুরের কথা নিজকে টিকিয়ে রাখা নিয়েই মুসিবতে ছিলো। কিন্ত এবার একদলীয় স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে, বহুদলীয় সমর্থক ও আমজনতার ঈদ, তাই জমজমাট।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, বরাবরের মতো এবারও রোজার শেষ দিনগুলোতে শেষ পর্যন্ত খোলা রাখা ছিল শপিংমল ও বিপনি-বিতানগুলো। আর এতে সকাল থেকে রাত, দিনের সবটা সময় কেনাকাটা করতে পারছেন ক্রেতারা। সার্বিক নিরাপত্তায় আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এবার বাজার বেশ জমজমাট। ক্রেতাদের উপস্থিতি অকল্পনীয়।

বিভাগ : বাংলাদেশ