আল-হারামাইনের আগুনে ঘি যেন পড়লো নাহিদের চিকিৎসা ঘটনা
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

পা মচকে গিয়েছিল অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। সেই অবস্থায় ঈদে নির্ধারিত সফরে সিলেটের পথে রওয়ানা দেন তিনি। কিন্ত ব্যথা ক্রমশ: অসহ্য হয়ে পড়লে সিলেটে পৌছে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন তিনি। ঈদে সরকারী বন্ধ থাকায়, তাকে যেত হয় সিলেটের বেসরকারী হাসপাতাল আল হারামাইনে। তারপর বিষয়টি চাউর হয়ে পড়ে সর্বত্র। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারেরর সুবিধাভোগী আলোচিত ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসির এই হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার। যদিও গোপন তথ্য রয়েছে, হাসপাতালের অনুমোদন সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে আওয়ামীলীগের লুটেরাদের।
তারা ছিলেন আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে। কালো টাকা বিনিয়োগে আল-হারামাইনকে সামনে রেখে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন পূর্ব পর্যন্ত ওই হাসপাতাল কেন্দ্রিক একটি বলয় ছিল প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের। এছাড়া সম্প্রতি আল হারামাইন হাসপাতালের মালিক মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশে কোটি কোটি পাচারের অভিযোগ উঠে। আতর ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের তথ্য অনুযায়ী, মাহতাবুর রহমান নাসিরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তত। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে। অন্যান্য দেশে তার দৃশ্যমান ব্যবসা মূলত আমদানি-রফতানির। যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মাহতাবুর রহমান নাসিরের পুরো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কই হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পারফিউম বা আমদানি-রফতানি ব্যবসার আড়ালে তার প্রধান ব্যবসা মূলত এক দেশের অর্থ অন্য দেশে পাচার করা।
এমনকি ৫ আগস্টের পর তার বিলাসবহুল বাড়ি কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন অবস্থান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। দুদক ও এনবিআর কাজ করছে তার সম্পদের গোপন রহস্য উদঘাটনে । এই অবস্থার মধ্যে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের চিকিৎসা কান্ডে আগুনে যেন ঘি পড়ে আল হারামাইনে। চিকিৎসার বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে সিলেটজুড়ে শুরু হয় বহুমুখী আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলতে থাকে সমালোচনা। অনেকেই এ নিয়ে লিপ্ত হন নেতিবাচক মন্তব্যে।
তবে হাসপাতালের জিএম পারভেজ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন নাহিদ। অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে সস্ত্রীক সিলেটে পৌঁছে নাহিদ ইসলাম। এরপর চিকিৎসার প্রয়োজনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পরামর্শে তাকে নিয়ে যাওয়ার হয় নগরীর সোবহানিঘাট এলাকার আল হারামাইন হাসপাতালে। তার ঈদ সফরের গন্তব্যস্থল ছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে (বিএস-৫৩৫) স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে সিলেট আসেন নাহিদ ইসলাম। বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে মৌলভীবাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। যাত্রা পথে বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করেন সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত আল হারামাইন হাসপাতালে। তারপর সোজা চলে যান লাইয়াছড়া রেস্ট হাউজে। সেখানে রাত্রিযাপন করেন, সেই সাথে দিনের আলোতে উপভোগ করেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নৈর্সগিক জীব বৈচিত্রের সৌন্দর্য। তার এ সফর একান্ত ব্যক্তিগত ও দলীয় নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গলের সবুজভাগের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব প্রীতম দাস বলেন, পা মচকানো নিয়ে সিলেটে পথে রওয়ান হয়েছিলেন দলের আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। কিন্তু ব্যাথা তীব্র হলে চিকিৎসা নেয়া জরুরী হয়ে পড়ে, কমলগঞ্জ অভিমুখে যাত্রা পথে সিলেট নগরীর আল হারামাইনে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন দলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী। বিষয়টি এ পর্যন্ত-ই। তারপর লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজে এসে দুই রাত্রিযাপন করেন তিনি। মুলত এটা ছিল ঈদ আনন্দ সফর। আজ শনিবার রাতে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন নাহিদ।
তবে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলছে, নাহিদের ঈদ সফর ও আল হারামাইনে চিকিৎসা নিয়ে কিছূ জঠিল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে । অনেকে বলছেন এটা মুলত মাফিয়া টোপ। এই টোপে দেশের বাঘা বাঘা কত আমলা, নেতা, এমপি-মন্ত্রী- প্রেসিডেন্ট কাত হয়েছেন আল হারামাইনের জালে। তবে অন্য কিছূ সূত্র বলছে, মাফিয়ার জাল থাকে খুব গভীরে, আলো আঁধারে ঘেরা। সুতরাং নাহিদের দৃশ্যমান চিকিৎসা সেবা গ্রহন, স্রেফ চিকিৎসাই। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বের অন্যতম পারফিউম আল হারামাইন ব্রান্ডের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাসির) বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের আলােচিত এক ব্যক্তি। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ওঠাবসা পারফিউম জগতের এই ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে সিলেটে ‘কাজী প্যালেস’ নামে রাজকীয় বাড়ি নির্মাণ করে প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। বিলাসবহুল ওই বাড়িতে ভিড় জমাতেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি আমলা ও অলিগার্করা। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ খরচে অতিথি ডেকে এনে আপ্যায়ন ও উপহার সামগ্রী দিয়ে খুশি করার চর্চাও রয়েছে তার। চড়েন হেলিকপ্টারে এবং আমিরাতে বিলাসবহুল গাড়িও চড়তে দেন অতিথিদের। এবার তিনিই নতুন করে আলােচনায় আসেন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কেলেঙ্কারি ও মানি লন্ডারিং ঘটনায়। এর অংশ হিসেবে তার, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে দেশের সবক’টি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীকে চিঠি পাঠিয়ে পাঁচদিনের মধ্যে তাদের সবার ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন মাহতাবুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ ওলীউর রহমান, ছেলে মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বন্ধু সিলেট নগরীর দরগামহল্লা এলাকার নূরজাহান হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. নাসিম আহমেদ ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও তাজবিরুল আহমেদ চৌধুরী, তার স্ত্রী খন্দকার তাসলিমা চৌধুরী ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড-এর সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাসির) ও সংশ্লিষ্টদের নাম তালিকায় থাকলেও সিলেটে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও বন্ধুর নাম থাকায়। সিলেটে বাড়ি মাহতাবুর রহমানের আমিরাতে আল হারামাইন পারফিউম ছাড়াও দেশে তার অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে। সিলেট নগরীর সােবহানীঘাটে প্রতিষ্ঠা করেছেন অত্যাধুনিক আল হারামাইন হাসপাতাল। দেশিয় ব্যবসা ভাই মোহাম্মদ ওলীউর রহমানই দেখভাল করে থাকেন।
বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলােত যে চিঠি পাঠানাে হয়েছে তাতে এক নম্বরে রয়েছে মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমানের নাম। এতে তার তিনটি পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে ঠিকানা দেয়া হয়েছে কাজী ভবন, পূরবী আ/এ, ইসলামপুর, সিলেট এবং আল হারামাইন পারফিউমার এলএলসি, পিও বক্স-১৮৮৫, আজমান, আরব আমিরাত। অন্যদেরও পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
দেশের পুঁজিবাজারে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার কিনে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন। কােম্পানিটির কাছে অনেক ব্যাংকের পাওনাও রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এই উড়ােজাহাজ কােম্পানি যাদের কারণে দেউলিয়া হয়েছে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা।
এদিকে, হুন্ডি কারবারে অভিযুক্ত কোম্পানিটির নাম আল হারামাইন পারফিউমস। কোম্পানির মালিক সিলেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এ ব্যবসায়ী এখন গোল্ডেন ভিসার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাস করছেন। এ ব্যবসায়ীর সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে সম্প্রতি সিআইসির একটি দল ইউএই যায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পাশাপাশি অন্য যেসব দেশে তার সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর তথ্য চেয়েও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে সিআইসি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেটে মাহতাবুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে ১০৪টি সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সিআইসির পক্ষ থেকে মাহতাবুর রহমান নাসির ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা হয়। এ তালিকায় মাহতাবুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, ছেলে মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, ভাতিজা মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও মোহাম্মদ এহসানুর রহমান এবং আল হারামাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদের নাম রয়েছে। ব্যাংক হিসাব ছাড়াও তাদের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা এবং ভূমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমগুলো মূলত হুন্ডির টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত হয়। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির শোরুমে কেউ টাকা জমা দিলে দুবাইয়ের সিটি সেন্টারে সে টাকা দিরহাম আকারে পরিশোধ করা হয়। ছোট কোনো অংকের অর্থ এসব শোরুমে লেনদেন হয় না। বরং বড় ব্যবসায়ী বা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার অর্থ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে শোরুমগুলোয় কেবল বিশেষ একটি খাতায় হিসাব রাখা হয়। হুন্ডি কারবারের পাশাপাশি মাহতাবুর রহমানের স্বর্ণ চোরাচালানের বিস্তৃত নেটওয়ার্কও রয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমরা ঢাকায় ও দুবাইয়ে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দেখেছি, ৩-৪ ঘণ্টায়ও সেখানে পারফিউম কিনতে কোনো গ্রাহক আসেনি।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ছাড়াও মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিস্তৃত হুন্ডি নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও প্রভাবশালীদের অর্থ পাচারে সহায়তাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুশাসনের ঘাটতি ও অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১২ মার্চ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে টানা নয় বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মাহতাবুর রহমান নাসির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেছিলেন, ‘মাহতাবুর রহমান নাসিরকে নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। যেসব নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, সেগুলোরও সত্যতা নিরূপণের কাজ চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলে তবেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।’
প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো কোম্পানিটির সবক’টি শোরুমই লোকসানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে আল হারামাইন গ্রুপ বাংলাদেশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) দায়িত্বে থাকা পরিমল চন্দ্র ধর বলেন, ‘এতগুলো শোরুম থাকলেও বাংলাদেশে আমরা কখনো মুনাফা করতে পারিনি। এখানে পারফিউমের ওপর ১৫০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এত ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে মুনাফা করা সম্ভব নয়। আগে যা ব্যবসা ছিল, গত কয়েক মাসে সেটিও শেষ হয়ে গেছে। আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমে গেছে।’ শোরুমের আড়ালে আল হারামাইন গ্রুপের হুন্ডি তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ধর বলেন, ‘এনবিআর তার দাবি প্রমাণ করে দেখাক।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সদরপুরে জাটকা রক্ষার অভিযানে ৪০০ মিটার অবৈধ বাঁশের বাঁধ উচ্ছেদ

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও’র সাক্ষাৎ

ড. ইউনূসের অনুরোধ রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশে কমবে প্রবৃদ্ধি, বাড়বে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে শীর্ষে সউদী

দাঁত ভাঙ্গা জবাব চীনের

সেনাবাহিনীতে আরও রোবট নিয়োগ করছে রাশিয়া

ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভ

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে টেকসই অর্থনীতির ধারণা উপস্থাপন জামায়াতের

বাংলাদেশে সউদী আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সউদী রাষ্ট্রদূত

ট্রাম্প ও ওবামার মধ্যে জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে?

জাতিসংঘ-ওআইসির নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এনপিপির

তানজির ফাহিম জুম্মার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিকিউরিটি গার্ড আহত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দায় লেজিসলেটিভ অ্যাসোসিয়েশন

পহেলা বৈশাখে ব্যাপক নিরাপত্তার পরিকল্পনা ডিএমপি কমিশনার

ডাকাতির পর হত্যা : ১০ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আশুলিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার মানববন্ধন