পাকুন্দিয়ায় দিন দিন বাড়ছে ভুট্টার আবাদ
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ এএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

কম খরচে বেশি উৎপাদন হওয়ায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় দিন দিন ভুট্টার আবাদ বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভজনক, ঝুঁকিহীন, কম পরিশ্রমে বেশি ফসল, অল্প সেচ ও সার প্রয়োগের সুবিধা রয়েছে। সে কারনে তাঁরা দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাছাড়া গবাদি পশুর খাদ্য তৈরিতে ভুট্টার ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি হওয়ায় সারা বছর এর চাহিদা থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলসহ বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। চারদিক সবুজের সমারোহ। ভুট্টার সবুজ ক্ষেত দোল খাচ্ছে বাতাসে। অধিক ফলনের আশায় এখন স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে ৪৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল। এতে উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ভুট্টা। চলতি মৌসুমে ৫৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরই ভুট্টার আবাদ বাড়ছে। এছাড়াও কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ১৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ২কেজি ভুট্টা, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা আবাদের সময় বীজ বপণের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রথমে সেচ প্রয়োগ ও আগাছা দমন, ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর দ্বিতীয়বার এবং ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর তৃতীয়বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমন খুবই কম হয় ভুট্টাতে।
উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভুট্টা চার মাসের ফসল। ডিসেম্বরের শুরুতে বীজ বপন করতে হয়। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। যদি আবহাওয়া অনুক‚লে থাকে আর ভালো ফলন হয় তাহলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৫ থেকে ৩০ মন ভুট্টা উৎপাদন করা সম্ভব।
পৌর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন, আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। গাছগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আশা করছি সন্তোষজনক একটা ফলন পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম বলেন, গত বছর উপজেলায় আশানুরোপ ভুট্টার ফলন হয়েছিল। তাই গত বছরের তুলনায় এ বছর ভুট্টার আবাদ অনেক বেড়েছে। এবছরও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যাতে কৃষক সর্বোচ্চ ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

রাজধানীতে আইবিডব্লিউএফ’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ফেনীতে ইনকিলাব সাংবাদিককে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি জামাই ফারুক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগে এনে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ছাড়া সচিবালয়ে যানবাহন প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত

ইফার প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই

ইউআইইউ বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান : জরিমানা আদায়

হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

বনশ্রীর মেরাদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না

দিল্লি আর আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না : রাশেদ প্রধান

নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, ভাবনাসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

মিয়ানমার সীমান্ত সংক্রান্ত পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন : বাংলাফ্যাক্ট

দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ঋণমান সংস্থা ফিচকে জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু

দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার : তথ্য উপদেষ্টা

সউদী নুসুকে কাঙ্খিত হজ ভিসা হচ্ছে না

কোম্পানির মুনাফার জায়গা গো-খাদ্য হতে পারে না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই : উমামা ফাতেমা

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা