বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়িবাসী

নালিতাবাড়ী(শেরপুর) সংবাদদাতা

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়িবাসী। হাতি আতংকে কাটছে দিন- রাত। আর ক'দিন পরেই যে ফসল উঠতো গোলায় সেই আবাদী ক্ষেত খেয়ে সাবাড় করছে বন্য হাতি। তিন চারটি গ্রুপে বিভক্ত এসব বন্যহাতি সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই পাহাড় থেকে নেমে আসে আবাদী জমিতে। তান্ডব চালায় লোকালয়ে।

পাহাড়ি অধিবাসী হৈ, হুল্লুর করে, মশাল জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, বাঁশি বাজিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না হাতির আক্রমণ থেকে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুটি গ্রুপের প্রায় ৮০/৯০টি হাতি তান্ডব চালায় উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মায়াঘাসী এলাকায়। সীমান্তসড়ক সংলগ্ন।

এ সময় হারুন- অর রশিদের ৫৫ শতক জমির মিস্টি লাউ এবং মুর্শিদ আলীর ২০ শতক মিস্টি লাউ ক্ষেত খেয়ে একেবারে শেষ করে দিয়েছে। হারেজ আলীর ৩৫ শতক আবাদী ধান,মাওলানা আব্দুস সাত্তারের ৩৫ শতক, জসমিনার ৫০ শতক, কাজীমুদ্দীনের ২৫ শতক ধান ক্ষেত খেয়ে পা দিয়ে মাড়িয়ে শেষ করে দিয়েছে। পাহাড়িবাসী হাতির উপদ্রব থেকে রেহাই চায়।

রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক দেলোয়ার বলেন- সরকারিভাবে স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করে হাতি মানুষের সহবস্থান পাহাড়ে সৃষ্টি করতে পারলে মানুষও রক্ষা পাবে হাতিও নিরাপদ থাকবে।

বিভাগ : বাংলাদেশ