কুয়াকাটায় জলকেলিতে মেতেছে রাখাইনরা
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

আলো ঝলমলে সাজে, ঐতিহ্যের রঙে এবং নিখাদ আনন্দে মোরা এক মহোৎসবে মেতে উঠেছে কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়। সম্প্রদায়টির অন্যতম বড় ও বহুল আকাঙ্ক্ষিত উৎসব সাংগ্রাই উপলক্ষ্যে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা অঞ্চলজুড়ে বইছে উৎসবের জোয়ার। গতকাল শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেট মাঠে শুরু হয় মূল জলকেলি বা পানি খেলার অনুষ্ঠান। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত রাখাইন তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে বরণ করে নেন রাখাইন নববর্ষ। পানি খেলার সঙ্গে পরিবেশিত হয় রাখাইনদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশনা— নৃত্য, গান আর আবৃত্তির সম্মিলন। এ যেন এক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক যাত্রা, যা ছুঁয়ে গেছে উপস্থিত শত শত দর্শকের মন।
জমকালো এই আয়োজনে দূরদূরান্ত থেকে এসে শতাধিক রাখাইন পরিবার অংশ নিয়েছে। ঘরে ঘরে চলে রান্না-বান্না, তৈরি হয় বাহারি পিঠা, মাংস, মাছ ও বিশেষ তরকারি। রাখাইন গৃহবধূ ন্যানে জানালেন, জলকেলিতে অংশ নিয়ে প্রাণভরে আনন্দ করেছি।
উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এতে।
জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাখাইন তরুণী লাচো বলেন, সাংগ্রাই শুধু উৎসব নয়, আমাদের জীবনের নতুন সূচনার প্রতীক। সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার এটি। তাই এই দিনটিতে আসলে আমরা আনন্দে মেতে উঠি।
ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা এক নারী পর্যটক বলেন, আমি কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি কিন্তু কখনো কল্পনাও করিনি এখানে এসে রাখাইনদের এই সাংগ্রাই উৎসব দেখতে পারবো। এর আগে এত সুন্দর উৎসব দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তাই আমি খুবই আনন্দিত এবং আমার খুব ভালো লাগছে এখানে উপস্থিত হতে পেরে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রাখাইনদের আমরা কখনোই সংখ্যালঘু ভাবি না। তারা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের গর্ব ও ঐতিহ্য। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকবো।
এবারের সাংগ্রাই উৎসব কেবল রাখাইন সম্প্রদায়ের নয়—এটি পরিণত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের এক সার্বজনীন উৎসবে। যেখানে ধর্ম, বর্ণ, ভাষার পার্থক্য ভুলে সবাই মিলেমিশে উদযাপন করছে সংস্কৃতির এই অপূর্ব রঙিন উৎসব। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

গৌরনদী ইউএনও ওসি’র সামনে মুসল্লীকে মারধর করলেন বিএনপি নেতা

নির্বাচন না করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : দুলু

ইতালিয়ান ওপেনে খেলবেন না জকোভিচ

দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি মির্জা ফখরুলের

ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক, বাণিজ্য চুক্তিগুলি

এশিয়ান গেমসে থাকছে ক্রিকেট

লর্ডসে হবে আসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল

নরসিংদীর শিবপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

ফেসিষ্ট সরকারের দোসররা শ্রমিকদের ব্যাবহার করে ফায়দা হাসিল করেছে, বিএনপি তা করবেনা : -মাহমুদুল হক রুবেল

মাওলানা রইস উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে আনোয়ারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

‘ইয়ামালের মত খেলোয়াড় ৫০ বছরে একবারই জন্ম নেয়’

কুলাউড়ায় অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের ৪ গরু পুড়ে ছাই

কালিয়াকৈরে বকেয়া বেতনের দাবীতে কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মার্তিনেসকে নিয়ে দুর্ভাবনায় ইন্টার

বার্সা-ইন্টার: শেয়ানে শেয়ানে লড়াই

আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ফাতেহা শরিফ সম্পন্ন

ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি

পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইন্স্ট্রাগ্রাম ব্লক করেছে ভারত সরকার

নাঙ্গলকোটে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার

সরাইলে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০