কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেত্রীকে মঞ্চে বসিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের মতবিনিময়
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ এএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ এএম

কিশোরগঞ্জে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীকে বিশেষ অতিথি করে মঞ্চে বসিয়ে ছাত্র, সাংবাদিক ও সূধীজনের সাথে মতবিনিময় করলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তারকে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে বসিয়ে ছাত্র, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফাতেমা জোহরা আক্তারও বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সংস্কারের জন্য আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে কাজ করেছি, বিএনপির সঙ্গে কাজ করেছি। আমরা যুগপত আন্দোলনে ছিলাম। আমরা কেবলমাত্র সংস্কারের জন্য বিভিন্নজনের সঙ্গে ঐক্য করেছি। সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে যার তার সঙ্গে ঐক্য করতে রাজি আছি। তবে জামায়াতে ইসলামি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য নয়। কারণ এরা গণহত্যাকারী।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ঘোষিত দুটো শত্রু রয়েছে। একটা গণহত্যাকারী এবং অপরটি পাচারকারী। এরা যতক্ষণ পর্যন্ত গণহত্যা এবং এটার জন্য বিচারের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে ঘোষণা না দিয়ে সরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারেনা। ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নেœ প্রয়োজনে যার তার সাথে সমঝোতা করবো।’
উত্তরে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কিংবা রাষ্ট্রচিন্তার দুইটারই ঘোষিত শত্রু আছে। একটা হচ্ছে গণহত্যাকারী কিংবা গণহত্যাকারীর আদর্শ যারা লালন করে। আরেকটা হচ্ছে যারা পাচারকারী। আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী দুইটা দলকে আমরা মনে করি গণহত্যাকারী দল। আমার দুইটা শত্রুর সাথে আসলে কখনো ঐক্যবদ্ধ হবো না।
এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তার বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে যার তার সঙ্গে সমঝোতা করবেন উল্লেখ করলে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আওয়ামী লীগের সঙ্গেও সমঝোতা করবেন। উত্তরে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী দুইটা দলকে মনে করি গণহত্যাকারী দল। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে প্রথম গণহত্যাকারী দল এবং তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ আজকে গণহত্যাকারী দল। আমার দুইটা শত্রুর সঙ্গে আসলে কখনো ঐক্যবদ্ধ হবো না। আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কিংবা রাষ্ট্রচিন্তার দুইটারই ঘোষিত শত্রু আছে। একটা হচ্ছে গণহত্যাকারী কিংবা গণহত্যাকারীর আদর্শ যারা লালন করে।
আরেকটা হচ্ছে যারা পাচারকারী। এর বাইরে আমাদের কোনো শত্রু নাই। তখন এক সাংবাদিক জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তারের মতবিনিময় সভার মঞ্চে বসা এবং বক্তব্য রাখার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমার জানা নাই আসলে এখানে কোনো সহ-সভাপতি আছে কিনা। ফাতেমা জোহরা তার পজিশন ক্লিয়ার করবে। আমরা যদ্দূর জানি, আমরা যখন থেকে সংস্কারের আলাপ করতেছিলাম, সংস্কারের রাজনীতি করতেছিলাম, তখন থেকে আমরা দেখছি আমাদের রাজনীতির প্রতি সহানুভূতিশীল। উনি আওয়ামী লীগের পদ-পদবিতে আছে বলে আমি শুনি নাই। যদি থাকে তাইলে উনারটা উনি পরিষ্কার করবেন। আর এই না জানার জন্য আমি আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতেছি, ক্ষমা প্রার্থনা করছি। হাসনাত কাইয়ুমের বক্তব্য শেষে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তার বলেন, আমি মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পরিচয় কখনো দেইনি। আমি কখনো আওয়ামী লীগ করিনি। মিটিং, মিছিলে কোনোদিন যাইনি।
উইম্যান চেম্বারের পরিচয়ে চলেছি। জাতিসংঘে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়ে তখন প্রশ্ন করা হলে ফাতেমা জোহরা আক্তার বলেন, আমি এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে গিয়েছি। স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ফাতেমা জোহরা আক্তারের স্বামী এডভোকেট শাহ আজিজুল হক কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং পিপি ছিলেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে ফাতেমা জোহরা আক্তার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফাতেমা জোহরা আক্তার জেলা উইম্যান চেম্বারেরও সভাপতি।
‘দেশ বাঁচাতে প্রয়োজন-সংস্কার, সমঝোতা ও নির্বাচন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহেল আহমেদ।
মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক বিমল চন্দ্র সরকার, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভানেত্রী ফাতেমা জোহরা, এডভোকেট শামসুল আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য হরিপদ দাস নান্টু, সেলিম পারভেজ, নিকলী উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক খায়রুল মোমেন স্বপন প্রমুখ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিককে বাধা দিলো সহ-সমন্বয়করা

মানিকগঞ্জে আ.লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর উজ্জ্বল হোসেনে গ্রেফতার

পেকুয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত- ২০

ছয় গোলের রোমাঞ্চ শেষে বার্সা-ইন্টার

চেন্নাইয়কে বিদায় করে শীর্ষ দুইয়ে পাঞ্জাব

সেমিফাইনালে হেরে আল নাসেরের বিদায়

দুদকের মামলা : আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার