তিনি বলেন, প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী থাকলেও এবছর একজনও নেই কেন তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন নাই, এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন দিচ্ছে না এবং এ বিষয়ে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে না, তাহা পত্রপ্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষা না দেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেন। পরে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেন ধর্মদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ফরম পূরণ করা ১৫ জন পরীক্ষার্থীর কেউই অংশ নেয়নি। সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
কারণ দর্শানো নোটিশ প্রসঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শফিউল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কেন ১৫ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এটা শুধু একটি স্কুল নয়, পুরো উপজেলার শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আঘাত। উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিস এই ঘটনায় যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ধর্মদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে (সেকেন্ডারি) এমপিওভুক্ত হয়।