ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ডিসিকে নিয়ে স্ট্যাটাস
২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ডিসিকে নিয়ে স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন ফরিদপুর বৈষম্য আন্দোলনের প্রথম ভাগের নেতা (ফরিদপুর জেলার সদস্যসচিব,) ,সোহেল রানা।
তিনি ফরিদপুর জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজপথে বহুবার আহত তুখোড় ছাত্র নেতা, এই বিষয়ে ইনকিলাবের সাথে শুক্রবার(২৫ এপ্রিল) সকালে সোহেল রানার সাথে কথা হলে, তিনি ইনকিলাবকে বলেন, দেশের বৈষম্য দুর করতে রাজ পথে জীবন দিয়েছে আমাদের ভাই বোনরা।
আমরা দেশের রাজপথে ছিলাম,আন্দোলনের ফসলের মাঠের আজকের উপদেষ্টারা। একজন শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুরে আসলেন ডিসি অফিসে মিটিং করলেন অথচ আমাদের কাউকেই বললেন না ।
ডিসির বক্তব্য মিটিংয়ের বিষয় আমি কিছু জানি না। মিটিংয়ের পরিচালনায় ছিলেন সাহিত্য পরিষদের মফিজ ইমাম মিলন, উপদেষ্টা কার?, সবই তো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রক্ত জড়া ফসল। উপদেষ্টা এখনই আমাদের চেনেন না।তা হলে ভবিষ্যৎ কি? এই বিষয় নিয়েই,
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে সোহেল রানা, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যাকে উদ্দেশ করে তিনি এক স্ট্যাটাস দেন। সেটি নজরে আসে ইনকিলাব ফরিদপুর সংবাদদাতার।, সোহেল রানার স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাসছে।
বিষটি নিয়ে ফরিদপুর ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা আনোয়ার জাহিদ একদম খোলামেলা কথা বলার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার সাথে কথা বললে, তিনি ইনকিলাব কে আরো বলেন, আমরা কষ্ট পেয়েছি, অসম্মানিত হয়েছি।
কি ছিলো সোহেল রানার স্ট্যাটাসে?
সোহেল রানা তার স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ফরিদপুরে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এসেছিলেন ভাল কথা । বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তার একটা মিটিং হয়েছে ডিসি অফিসে। কিন্তু যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি উপদেষ্টা হয়েছেন, সেই আন্দোলনের প্লাটফর্মের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। তাহলে তিনি কাদের সঙ্গে মিটিং করলেন? এই নাকি দেশের অবস্থা?'
স্ট্যাটাসের শেষে সোহেল বলেন, ‘না করলেন ১০ জন আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, না করলেন একজন নিহতের কবর জিয়ারত! বাহ রে বিপ্লব, বাহ! জবাবটা দয়া করে ফরিদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক দেবেন?
শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব আ. কুদ্দুস স্বাক্ষরিত সফর সূচি থেকে জানা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুর সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর জেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর মুসলিম মিশন পরিদর্শন, ফরিদপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। পরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে সন্ধ্যা ৬টায় ফরিদপুর ত্যাগ করবেন।
জানা গেছে, সরকারি এ সফর সূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭ জনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের স্বজনদের খোঁজ নেওয়া এবং আহত ১৪৭ জনের কারোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি না রাখায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোহেল রানা।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহেল রানা ইনকিলাবকে আক্ষেপ করে আরো বলেন, একজন উপদেষ্টা আসবেন, আসতেই পারেন। এটা তো আমাদের জন্য একটা ভাল খবর।কিন্তু এটা জেলা প্রশাসক জানেন না, বিষয়টি কি হাস্যকর নয়?
একজন উপদেষ্টা তো মন্ত্রী পদমর্যাদার। শিক্ষা উপদেষ্টা তো আমাদেরই উপদেষ্টা, তিনি আসবেন আমরা জানবো না, এটা কেমন কথা?
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুরে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি একজন শহীদের কবর কি জিয়ারত করতে পারতেন না?
তাদের পরিবারের খবর তিনি নেননি এবং কারো সঙ্গেই কোনো সাক্ষাৎ করেননি, বিষয়টা দুঃখজনক।
এই বিষয়ে, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন ইনকিলাবকে বলেন,আমারা বৈষম্যবিরেধী ছাত্র নেতাকে বলছি ঠিকি। কিন্তু নতুন দলে যোগ দেয়া কাউকে বলিনি। সোহেল নতুন দলে যোগ দিয়েছে। এটা কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়,।ii এটা সাহিত্যিক কবি ও সাংস্কৃতিক মনা শিল্পীদের প্রোগ্রাম ব্যাস।
মফিজ ইমাম মিলনের বক্তব্যের বিপরীতে সোহেল রানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইনকিলাব কে বলেন, আমি আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা ছিলাম এখনও আছি। এই আন্দোলনে রাজপথে যে সকল ভাই বোনেরা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের অধিকার আদায়ে এবং দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি এখনও।আমি কোন নতুন দলে যোগ দেইনি। মফিজ সাহেব আন্তাজে কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টার ফরিদপুর সফর উপলক্ষে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা ইনকিলাবকে বলেন,ঐ প্রোগ্রামটি আমার ছিল না। এটা ছিল সাহিত্য পরিষদের। আমাদের নয়। ডিসি অফিসের হল রুম ছিল মিটিংয়ের ভ্যানু। আমি ছিলাম সাহিত্য পরিষদের আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি। আমার প্রোগ্রাম হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা দাওয়াত পেতো। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব ছিল সাহিত্য পরিষদের। অতএব বিষয়টিও তাদের। এই বিষয় যা- যা- করা দরকার সব করছেন সাহিত্য পরিষদের মফিজ ইমাম মিলন,তিনি সবকিছু বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুর জেলা সাহিত্য পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অথিতি হিসেবে আসছিলেন। ঐ অনুষ্ঠানে ফরিদপুর ডিসি ছিলেন আমন্ত্রিত বিশেষ অথিতি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে তামার বিরোধী প্রশিক্ষণ

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় তুরস্কে শুটিংয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নিষেধাজ্ঞা

মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পুরো ভারত! গদিতে টান পড়লো এবার?

ঝিকরগাছায় কাশেম-ইমরান বাহিনী ফের বেপরোয়া: মানুষ আতঙ্কে, পুলিশ নিবর

ছয় গোলের ম্যাচে ছায়া হয়ে রইলের মেসি

চট্টগ্রাম বন্দরে অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলাম

আন্দোলনে বন্ধ ঢাকার সড়ক, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যা, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান

‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দিব না : মাহফুজ আলম

কুড়িগ্রাম সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় রাজি ইমরান খান

পুঠিয়ায় পুকুর টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বরিশালে আমু, সাদেক, খোকন, জেবুন্নেসা ও লুনাসহ ২৪৭ জনের নামে মামলা

উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

দোয়ারাবাজারে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়!

মবের শিকার নাকি অসুস্থতা! কি ঘটেছে মিশার সঙ্গে

‘সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়’

ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে ২য় দিনের মতো অবস্থান, সড়ক বন্ধ

বরিশালে ছাত্রলীগ কর্মী পালানের ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য ক্লোজড