বাংলাদেশ-লাতিন আমেরিকার মধ্যে উন্মোচিত হলো বাণিজ্যের নতুন দ্বার
১৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এলএবিসিসিআই)। বুধবার (১৫ মার্চ) এ লক্ষ্যে বিডার সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। ফলে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বাড়াবে বলে আশা করি।
এসময় লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আনোয়ার শওকাত আফসার, ব্রাজিল অ্যাম্বাসির কমার্সিয়াল স্পেশালিস্ট নাহিদ ফেরদৌসী ও বিডার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এলএবিসিসিআই এখন বিডার থেকে অধিভুক্তি পেয়েছে। এখন লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ব্যবসায়ীরা এলএবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে আরও আত্মবিশ্বাসী হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৬ থেকে ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) ইভেন্ট ইন লাতিন আমেরিকা ২০২৩’। বিডা, ডিবিসিসিআই ও এলএবিসিসিআই যৌথভাবে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে আয়োজন করবে। এ মেগা ইভেন্টে অংশ নেবেন বাংলাদেশি ও ইউরোপের ব্যবসায়ীরা।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সম্ভাব্য খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ, লাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেক্সটাইল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, লৌহ আকরিক, পেট্রোলিয়াম পণ্য, সার, আরএমজি, কাঠের লগ, পাট, চামড়া ও ওষুধ রফতানির মতো সেক্টরগুলোর ওপর বিটুবি নেটওয়ার্কিং ও সেমিনার আয়োজন করবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গত ১৫ বছরে আমাদের অর্থনীতির বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে, মানুষের আয় বৃদ্ধি ও জীবনযাপন উন্নত হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে আরও ৩ দশমিক ৫ কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণির আওতায় চলে আসবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের বিশাল ডোমেস্টিক মার্কেটই নয়, বরং যথাযথ বিনিয়োগ করলে এখান থেকেই ভারত-চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৩০০ কোটির কনজুমার মার্কেটে প্রবেশ করা যাবে। সেইসঙ্গে আমাদের রয়েছে দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠী, যা বিনিয়োগকারীদের সহজেই আকর্ষণ করতে পারে। ১০০টি ইকোনমিক জোন, ২৮টি হাইটেক পার্ক ও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার দেশ বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্য।
বিভাগ : অর্থনীতি
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন