পোশাক অ্যাকসেসরিজ আমদানি নিষিদ্ধ চায় বিজিএপিএমইএ
১১ জুন ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম

তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত যেসব প্যাকেজিং এবং অ্যাকসেসরিজ পণ্য দেশে উৎপাদিত, সেগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। এ খাতের জন্য উৎস ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আধা শতাংশ করা এবং এ হার অন্তত আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত রাখারও দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় আরও কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ইসিবি চত্বরে বিপিজিএমিএর নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের এসব দাবি তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা সেলিম। সহসভাপতি মনির উদ্দিন আহমেদ এবং জহির উদ্দিন আলমগীরসহ অন্য নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সেলিম বলেন, পোশাক উৎপাদনে প্যাকেজিং এবং অ্যাকসেসরিজের চাহিদার শতভাগ জোগান দিতে সক্ষম স্থানীয় প্রায় আড়াই হাজার কারখানা। তারপরও পোশাক উৎপাদনে এসব পণ্য আমদানি করেন কোনো কোনো পোশাক প্রস্তুতকারক। তিনি বলেন, এ কারণে একদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে আমদানি বাবদ বড় অঙ্কের ডলার ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। আবার স্থানীয় অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্যও অবিক্রীত থাকছে।
বস্ত্র ও পোশাক খাতের সহায়ক খাত বিজিএপিএমইএর ভূমিকা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, শতভাগ রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রায় অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে সময় এবং ব্যয়সাশ্রয়ী সরবরাহ করে আসছে। এর ফলে তৈরি পোশাক রফতানিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিডটাইমের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাচ্ছেন উদ্যোক্তা রফতানিকারকরা। স্থানীয়ভাবে অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং দেশে উৎপাদিত হওয়ার আগে এসব পণ্য আমদানি করতে অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি লিডটাইমে অনেক পিছিয়ে ছিল দেশের পোশাক খাত।
তিনি বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি, রফতানি নীতি ও বস্ত্রনীতিতে সমজাতীয় খাতের জন্য সমসুযোগের কথা বলা আছে। অথচ অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতকে সমান সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে কিছুটা সংকট চলছে। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডলার পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে পরিমাণ অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিংয়ের চাহিদা তৈরি হবেÑসে পরিমাণ জোগান দেয়া সম্ভব হবে না।
বাজেট পাসের আগে বিবেচনার জন্য বিজিএপিএমইএর পোশাক খাতের মতো এ অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতকেও পরিপূর্ণ বন্ডেড সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছে। সাবকন্ট্রাক্টসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে এখন এ সুবিধা পাওয়া যায় না। আধুনিক প্রযুক্তির অ্যাকসেসরিজ শিল্প গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা হিসেবে যন্ত্রপাতি আমদানিতে সহজ শর্ত এবং স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে টেকসই অর্থনীতির ধারণা উপস্থাপন জামায়াতের

বাংলাদেশে সউদী আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সউদী রাষ্ট্রদূত

ট্রাম্প ও ওবামার মধ্যে জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে?

জাতিসংঘ-ওআইসির নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এনপিপির

তানজির ফাহিম জুম্মার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিকিউরিটি গার্ড আহত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দায় লেজিসলেটিভ অ্যাসোসিয়েশন

পহেলা বৈশাখে ব্যাপক নিরাপত্তার পরিকল্পনা ডিএমপি কমিশনার

ডাকাতির পর হত্যা : ১০ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আশুলিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার মানববন্ধন

সড়কের মৃত্যুদূত মোটরসাইকেল

দায়ের করলেন ‘গোপন অভিযোগ’ দুদকে হঠাৎ হাসনাত-সারজিস

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি : সালাহ উদ্দিন আহমেদ

গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির আহ্বান ইউজিসির

ড্যাবের ভোটে সরব ১ ডজন প্রার্থী

বিচার হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় এনসিপি-হেফাজত

সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ ৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঘুষসহ গ্রেফতার নৌ অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের কারাদন্ড

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক