নগদের বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে- গভর্নর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা বোর্ড যে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত স্বতন্ত্রভাবে নিতে পারবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এমন আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নগদের ব্যবস্থাপনা বোর্ড। এসময় গভর্নর এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড আজকে গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গভর্নর নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডকে আশ্বস্ত করেছেন, বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে যে সিদ্ধান্ত সমীচীন মনে করবে তাই গ্রহণ করবে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ‘ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ’ করার লক্ষ্যে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে।
ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট নগদ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ছয়জন কর্মকর্তাকে ‘সহায়ক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা নগদের কার্যালয়ে গিয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বর্তমানে নগদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৯ সালে। গ্রাহক ধরতে প্রতিষ্ঠানটিকে একচেটিয়া সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় নিয়মনীতিকে পাশ কাটানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সব সরকারি ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নেয়। ফলে সরকারি ভাতাভোগীদের বাধ্য হয়ে নগদের গ্রাহক হতে হয়। নগদকে ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও বাস্তবে এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কোনো মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নগদের মালিকানা ও অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া নগদে যে পরিমাণ টাকা জমা আছে, নিয়মের বাইরে তার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অর্থ তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় এবং কেউ প্রতারিত না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
গুজবে কান দেবেন না : জনপ্রশাসন সচিব
কোয়াড সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এনজিও,নাস্তিকদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সংগ্রাম চলবে- চরমোনাই
লৌহজংয়ে দিনমজুর যুবকের আত্মহত্যা
তিন সপ্তাহেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ
রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম গ্রেপ্তার
পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
শ্রীলঙ্কার সামনে রাচিন বাধা
বৃহৎ স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমোদন: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পুলিশিং কার্যক্রমে গতি আনতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু
ফারাক্কা বাঁধের কারনে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির সদস্য হলেন ডুজার সাবেক সভাপতি তুষার
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে -কক্সবাজারে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ
আইবিটিআরএ-তে ‘সার্টিফিকেশন কোর্স অন ট্রেজারি ডিলিংস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় হর্ন বাজানোয় নতুন নির্দেশনা
খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জরুরী মতবিনিময় সভা