আর্থিক ভীতি কাটলেও পাঁচ মাসের অর্জনে খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক: ইডি শিখা
০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
আর্থিক ভীতি কেটে গেলেও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গত পাঁচ মাসের অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংক খুশি নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
হুসনে আরা শিখা বলেন, গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, ডলার বাজার স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে। আবার কিছু ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খুশি না হলেও আর্থিক ভীতি কেটে গেছে।
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ইডি বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এ বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন না।
মূল্যস্ফীতি না কমলে আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই একাধিকবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছি। আশা করছি, জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। এমন না হলে হয়তো আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তবে এই বিষয়টাতে ব্যবসায়ীরা মোটেই খুশি নন। কারণ, ব্যাংক ঋণের জন্য তাদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হয়। বিনিয়োগেও ধীরগতি নেমে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলোকে ঠিকঠাক মতো কাজ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার এককভাবে দায়ী নয়। অবকাঠামগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপুরিভাবে কমানো সম্ভব নয়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে তলানিতে নেমেছে ঋণ প্রবৃদ্ধ। গত নভেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেনামি-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমে আসায় এবং দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ও পর্ষদে পরিবর্তন হয়েছে এমন ১১টি ব্যাংকের নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলো অবশ্য আমানতকারীদের টাকার চাহিদা মেটাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ, সম্পাদক মাহফুজ
নাজিরপুরে বাজার উন্নয়ন কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার অংশু
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা, আতঙ্কিত স্থানীয়রা
শহীদ আবু সাঈদের কবরে তিন উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
রামগড়ে হত-দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন নবজাতক জন্ম দিলেন এক গৃহবধূ
একনেকে অনুমোদন পেল ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প
নরসিংদীতে জুলাই ঘোষণাপত্র বিতরণ করছেন সারজিস আলম
বিডিআর জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা
ব্রাহ্মণপাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ শীত বাড়ছে মৌসুমি রোগবালাই
এ বছর থেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু : শিক্ষা উপদেষ্টা
স্কুলে না থেকেও বেতন নিচ্ছেন নিয়মিত
সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে ফজল আনসারীর সাক্ষাৎ
কম্বলডা পায়া শান্তিতে ঘুমামু
ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
সিরাজদিখানে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব ছুরিকাঘাতে ২ জন আহত
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাশিয়ার সাইবার ইউনিট পোল্যান্ডে হামলার লক্ষ্যে সক্রিয়: মন্ত্রী গাওকোভস্কি
সিংগাইরে সিসিডিবি'র উদ্যোগে কম্বল বিতরণ