রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলারে, বড় ভূমিকা রেখেছে রেমিট্যান্স
২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশের মোট রিজার্ভ বেড়ে প্রায় পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ রয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ডলার। তবে আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৩৯ কোটি ডলার। এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে জানানো হয়। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ বের হয়। রিজার্ভের ইতিবাচক ধারায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত মার্চ মাসে রেমিট্যান্স আহরণে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। যা দেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড, এক মাসে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পরের মাস আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার ও মার্চে সব রেকর্ড ভেঙে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যার প্রভাবেই চাঙা রয়েছে রিজার্ভ।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বেস্ট হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের তদন্তে দুদক

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথ বাহিনী মাঠে নামছে

বিদেশে উন্নত চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ

নতুন ‘স্ট্যান্ডার্ড’ স্থানের নামের তালিকা প্রকাশ করল চীন

ডা. জুবাইদা রহমানের জামিন

থানা ম্যানেজ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি লুৎফর

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সউদীতে ঐতিহাসিক ও বিলাসবহুল অভ্যর্থনা

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পাওয়ার আপিলের রায় ১ জুন

সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি

চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের হলে অর্থনীতি দ্রুতবেগে পরিবর্তন হবে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নির্বাচনের দেখা নেই!

আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদরাসা ফাজিল (ডিগ্রীতে) শতভাগ পাশের ধারা অক্ষুণ্ন

গাজীপুরে মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার

আইজিপির সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আদালতে ‘হেল্পলাইন’ সেবা চালু

উকিল দম্পতির ১৪ ফ্ল্যাট, ৫ দোকান দেখভালে রিসিভার নিয়োগ

রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার : খাদ্য উপদেষ্টা

এমপিদের শিক্ষাগত ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক করার আবেদন

ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছে আজ পরিচয়পত্র পেশ করবেন রিয়াজ হামিদুল্লাহ