প্রস্তাবিত বাজেটের ভালোমন্দ

Daily Inqilab মো. মাঈন উদ্দীন

০৭ জুন ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’, শীর্ষক ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেট নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। দেশের অর্থনীতিতে এখন চলছে নীরব মন্দা, ডলার সংকট, আমদানি ও রপ্তানিতে নি¤œমুখী প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তীব্র লোডশেডিংয়ে জনগণ দিশেহারা, এমন প্রেক্ষপটে প্রস্তাবিত বাজেট অনেকগুলো চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে যেমন কিছু ভালো দিক আছে, তেমনি আছে কিছু অসংগতি, আছে চ্যালেঞ্জ এবং উচ্চাভিলাষিতাসহ বাস্তবসম্মত নয় এমন বিষয়ও। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা বললেও অগ্রযাত্রার রূপরেখার কথা বলেননি। বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বেড়েছে। এ সীমা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে সাধারণ করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা বৃদ্ধির উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। বাজেটে সার্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণাটি উৎসাহজনক। বাজেটে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আগের উদ্যোগগুলো অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যা কোনো অবস্থায় অর্জন সম্ভব নয়। কারণ, বর্তমানে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মাত্র এক বছরের ব্যবধান ব্যক্তির খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।

বাজেট গরীবদের জন্য ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভালো। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে রাখার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কীভাবে এই জায়গায় আসবে সেই নির্দেশনা নেই। মুল্যস্ফীতির মাসের পর মাস ৯ শতাংশের ওপরে। ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। রিজার্ভের পরিমাণ কমছে। শিল্পে কাঁচামালের আমদানি ঘাটতি অব্যাহত থাকলে উৎপাদন বিঘিœত হতে থাকবে। ফলে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৬ শতাংশের ঘরে আনা উচ্চাভিলাষী চিন্তা। মূল্যস্ফীতি সর্ম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের একটি উক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯৮১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড রিগ্যান। সেই সময়ের মূল্যস্ফীতি দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ছিনতাইকারীর মতো হিং¯্র, সশস্ত্র ডাকাতের মতো ভয়ংঙ্কর এবং খুনির মতোই প্রাণঘাতী।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে বাঁচতে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক কৌশল হিসেবে পণ্যের চাহিদা কামানোর কৌশল গ্রহণ করে। বাড়ায় নীতি নির্ধারণী সুদহার এবং মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে দেয়। তাই জনগণকে মূল্যস্ফীতির অব্যাহতি বৃদ্ধির আজাব থেকে মুক্ত করতে বাজেটে বাস্তবধর্মী নির্দেশনা থাকা উচিত।

সাধারণ মানুষ চায় একটু স্বস্তিতে জীবন কাটাতে। তারা চায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যাতে তাদের আয় অনুসারে সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলা ইত্যাদির দাম যদি লাগামহীন বাড়তে থাকে তাহলে বাজেটের আকার কী হলো তা জনগণের কাছে গুরুত্বহীন। বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে কর রাজস্ব ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৫০ হাজার ও বৈদেশিক অনুদান থেকে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। মোট করের মধ্যে জাতীয় রাজস্ববোর্ড (এনবিআর) উৎস থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি ও নন এনবিআর থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যদিও চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে এনবিআর। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় ৬টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করলেও তা থেকে উত্তরণের সুর্স্পষ্ট নির্দেশনা উল্লেখ করেননি। বাজেটের মাধ্যমে সুসময়ে ফেরার ব্যবস্থা নেই। নেই তেমন কোনো চমক।

বাজেটে ব্যয় বাড়ানোর বড় ব্যবস্থা থাকলেও আয় বাড়ানোর বড় ব্যবস্থা নেই। বাজেটে মুদ্রা বিনিময় হার সমন্বয়, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, কৃচ্ছ্রসাধন, নীতি সুদ হার বৃদ্ধি, কৃষি ঋণ, ইত্যাদি বিষয়ে বলা হলেও এসব পদক্ষেপের কারণে মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার ব্যয়ের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় নাই। বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নের কোনো দিক নির্দেশনা নেই। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলধনের যোগান শুধু ব্যাংকের উপর নির্ভর না করে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা উচিত। অথচ, বাজেটে পুঁজি বাজারের উন্নয়ন নীতিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা উল্লেখ নেই। অথচ, রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত শ্রমিক বিদেশে পাঠানো, কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা বাজেটে থাকা উচিত ছিল।

বাজেটে কিছুটা স্বস্তি পাবে মধ্যবিত্ত করদাতারা। অনেক দিন পরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে, তবে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে সরকারের কতগুলো সেবা নিতে গেলে রিটার্ন জমা দিয়ে সর্বনি¤œ ২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এখানে প্রশ্ন, যার আয়কর করযোগ্য নয় তার কাছ থেকে কোন যুক্তিতে কর নেওয়া হবে? বাজেটে ব্যাংক খাতকে স্বস্তি দেওয়ার মতো কোনো নিদের্শনা দেখা যায়নি। ২০০৯ সালে ব্যাংক খাতের খেলাপী ঋণ ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে খেলাপী ঋণ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে খেলাপী ঋণ আদায় ও ব্যবসায়ীদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও খেলাপী ঋণের এই ঊর্ধ্বমুখিতা ব্যাংক খাতের জন্য অশনি সংকেত। ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ঋণের বিপরীতে আদায়ের হার কমে যাচ্ছে। তাই অর্থ ঋণ আইন ২০০৩-কে আরও শক্তিশালী করা দরকার এবং আইনের প্রয়োগ র্দীর্ঘসূত্রিতার স্থলে দ্রুত ঋণ আদায়ের হার বাড়ানো যেতে পারে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন থেকে একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের কথা বললেও তার ব্যাপারে বাজেটে কোনো ঘোষণা নেই। বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য একাধিক গাড়িতে পরিবেশ সারসার্জের কথা বলা হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। তবে ভ্রমণ কর বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে বিদেশগামী কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। তবে ৫০ টাকা বাড়ানো প্রস্তাব খুবই নগণ্য।

বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রায় সময় ৩০-৩৫ শতাংশ অনিয়ম দেখা যায়, এই অনিয়ম দূর করতে পারলে এ খাতের আওতায় উপকারভোগীদের সংখ্যাও আরো বাড়ানো যেতো। বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়। অন্যদিকে মানুষের মাথাপিছু বরাদ্দ ৪৪ হাজার ৮৬৩ টাকা। এ হিসাবে ঋণ মাথাপিছু বরাদ্দের প্রায় আড়াইগুণ। বিশ্লেষকদের মতে, সরকার কর আদায় করতে না পারায় ঋণের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখা ও খাদ্য পুষ্টির মান বৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অর্থনীতিতে কৃষির বিরাট ভূমিকা রয়েছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ টাকার অংকে বাড়লেও খাতওয়ারী শতকরা দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে। কৃষি খাতে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের শতকরা ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নতুন কোনো পরিকল্পনার কথা বলেননি। নতুন অর্থবছরে কৃষি খাতে কৃষি উপকরণের জন্য সহায়তার কথা বলা হয়েছে। কাগজে-কলমে কৃষকদের নানা সহায়তার কথা বলে হলেও সরেজমিনে সত্যিকার কৃষকরা এসব সুযোগ-সুবিধা ঠিকভাবে পাবে কিনা সন্দেহ আছে। নানা অনিয়ম ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের প্রভাবের কারণে মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা এর সুফল পেতে অনেকটা বঞ্চিত হয়। বাজেটে বৈশি^ক পরিস্থিতি ও ডলার সংকট নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে। বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য খুব বেশি সুখবর না থাকলেও করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করায় কিছুটা স্বস্তি দেবে। বাজেটের আকার যাই হোক না কেন বাজেট বাস্তবায়ন করাই মূল বিষয়। এটা নির্ভর করবে প্রশাসনিক দক্ষতা, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও সর্বোপরি দেশপ্রেমের ওপর।

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিহারিরা কেমন আছে
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা
আরও

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী

আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী

রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো

রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো

জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়

জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন

কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন

বিহারিরা কেমন আছে

বিহারিরা কেমন আছে

লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন

আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন

মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে

মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে

১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর

১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর

আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি

মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি

কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ

সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ

আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি

নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি