মহাকাশে কর্মকা- বাড়ছে
১৬ জুন ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
বিশাল এলাকা মহাকাশের। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের উপরে যেখান থেকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই, সেখান থেকেই মহাকাশের সূচনা। তাই পৃথিবী থেকে মহাকাশের দূরত্ব খুব বেশি নয়, কয়েকশ’ মাইল। মহাকাশে কোন বাতাস, পানি, খাদ্য, বৃক্ষ ইত্যাদি নেই। তবুও মানুষের চলাচল ও নানা কর্মকা- দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে, সব কিছুই ভাসমান। মহাকাশের কর্মকা-ের সর্বশেষ তৎপরতা হচ্ছে, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর আগে ইন্টারনেট তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে মহাকাশ স্টেশন। সেখানে নারী ও পুরুষ নভোচারীরা মাঝে-মধ্যেই যাচ্ছেন, থাকছেন ও সুস্থভাবে ফিরে আসছেন। মহাকাশে থাকাবস্থায় নভোচারীরা সঙ্গে নেওয়া খাদ্য ও পানি গ্রহণ করছেন। কতিপয় দেশ সেখানে পানি উৎপাদন করছে। অনেকেই সেখানে টিকটকও তৈরি করে পৃথিবীতে প্রেরণ করছেন। বহু দেশ মহাকাশে অসংখ্য স্যাটেলাইট স্থাপন করে পৃথিবীতে নানা কর্মকা- পরিচালনা করছে। স্যাটেলাইটগুলোর মেয়াদ শেষ হলে সেখানেই থেকে যাচ্ছে বর্জ্য হিসাবে। ফলে দিন দিন মহাকাশে বর্জ্যের স্তূপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিনিয়োগও বেড়েই চলেছে। মহাকাশে যাওয়ার জন্য অনেক যান রয়েছে। নভোচারীরা, বিশেষ করে মুসলিম নভোচারীরা ধর্মীয় কর্মকা-ও পালন করেন নির্বিঘেœ। মহাকাশে থাকার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। পরিধান করতে হয় বিশেষ পোশাক তথা স্পেস স্যুট। মহাকাশে যাওয়ার যেসব যান রয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে- ওরিয়ন, আর্টিমেস-১, ভয়েজার-১, শেন চৌ-৯, ড্রাগন, সয়ুজ, হায়াবুসা-২ ইত্যাদি। এসব যানে চড়ে বিজ্ঞানীরাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মহাকাশে যান। সেখানে খাদ্য ও পানি না থাকায় পৃথিবী থেকে বহন করা খাদ্য ও পানিই ব্যবহার করতে হয়।
মহাকাশে খাবার সম্পর্কে নাসার অবসরপ্রাপ্ত নভোচারী নিকোল স্টট গত মার্চ মাসে বিবিসিকে বলেন, মহাকাশের খাবার তৈরি করতে হয় শূন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা মাথায় রেখে। অর্থাৎ সেখানে রুটি থাকবে না, রুটির গুঁড়ো থাকবে না, থাকলে রুটির গুঁড়ো তো বাতাসে ভেসে বেড়াবে। কাজেই পিৎজা হবে নরম ময়দার বেস দিয়ে। প্রাতরাশে অবশ্য বিশেষভাবে তৈরি ডিম খাওয়া যায়, ছোট সাইজের ডিম ভাজা বা ওমলেটও দেওয়া হয়। মহাকাশে নভোচারীরা প্রায়ই স্কুলের বাচ্চাদের মতো এ ওর খাবারে ভাগ বসান। লাঞ্চে আমাদের দেয়া হতো স্যুপ ও অন্য কিছু খাবার। তবে সব কিছু মোড়া থাকত ময়দার পাতলা রুটি দিয়ে। আর রাতে জাপানি কারি, যা খুবই সুস্বাদু। নিকোল স্টট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দুটি আলাদা মিশনে ১০০ দিনের বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনো থালা বাটি ব্যবহার করা যায় না, কারণ, সেখানে সবই শূন্যে ভেসে বেড়ায়। নভোচারীরা যেসব খাবার খায়, তা খুবই প্রক্রিয়াজাত এবং খাবারের ওজন কমানোর জন্য খাবার থেকে সব পানি শুষে বের করে নেওয়া হয়। এরপর নভোচারীরা খাবার আগে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাতে গরম বা ঠা-া পানি মিশিয়ে নরম করে নেয়। সব খাবার প্যাকেট করা থাকে, নভোচারীদের সেই প্যাকেট থালা হিসাবে ব্যবহার করতে হয়। আর খাওয়ার জন্য তাদের দেয়া হয় বিশেষ চামচ। সেই চামচে হাতল থাকে খুব লম্বা। লম্বা হাতল দিয়ে প্যাকেটের ভেতর থেকে ভাত টেনে বের করে কারির ওপর রাখতে হয়। ভাতের সাথে কারি মেশাতে গেলে কারির ফোঁটাগুলো ভেসে বেড়ায়। নভোচারীরা পৃথিবী থেকে অবশ্যই কিছু পানি সঙ্গে নিয়ে যান। আর বাকিটা আসে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা পানি থেকে। মহাকাশযানের জ্বালানি কক্ষ থেকে, বাতাসের আর্দ্রতা থেকে এমনকি প্রস্রাব থেকেও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পানি তৈরি করা হয়। কিন্তু সে পানি আমরা পৃথিবীতে যে পানি খাই তার থেকেও অনেক পরিষ্কার। নাসার পুষ্টিবিদ স্কট স্মিথ বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নভোচারীরা ফল আর সবজি পান যখন সরবরাহ মিশনে তাদের জন্য খাবার পাঠানো হয়। নভোচারীদের খাদ্য গ্রহণ এবং তাদের পুষ্টির বিষয়টা অবশ্যই কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ। মহাকাশ ভ্রমণে নভোচারীর শরীর দ্রুত বুড়িয়ে যায়। কারণ, ওজন হ্রাস পায় এবং হাড়ের ক্ষয় হয়। রুশ নভোচারী আলেক্সি অভচিনিন বলেন, আমাদের ধারণা যাই থাকুক না কেন, মহাকাশে কিন্তু নভোচারীরা ভালই খাবার পান। স্পেস স্টেশনে যখন খাবারের সরবরাহ নিয়ে মহাকাশযান যায়, তখন নভোচারীদের পরিবাররাও খাবার পাঠান।
মহাকাশ শুধুমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষারই স্থান নয়। পর্যটনেরও স্থান। মহাকাশের রূপ, সেখানে ভাসমান জীবন যাপনের অবস্থা কী ইত্যাদি অবলোকন করার জন্য বহু মানুষ মহাকাশে ভ্রমণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে। তাই অনেক দেশ মহাকাশে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চীন গত সেপ্টেম্বর জানিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে চীন মহাকাশ পর্যটন শুরু করবে। এই মিশনে যেতে যাত্রীদের খরচ হতে পারে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন ইউয়ান, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। একবারে সাত জন যাত্রী দশ মিনিটের এই যাত্রায় যেতে পারবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। প্রায় সব ধরনের মানুষই এই যাত্রার শরীক হতে পারবে। এর আগে ২০২১ সালে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স চারজন যাত্রীকে নিয়ে মহাকাশ পর্যটনের সূচনা করেছে। জেফ বেজসের ব্লু অরিজিন সংস্থার রকেটও মানুষ নিয়ে গিয়ে মহাকাশ থেকে ঘুরে এসেছে। অন্যদিকে, মহাকাশ পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল নির্মাণেরও চেষ্টা চলছে। অরবিটাল অ্যাসেম্বলি কর্পোরেশন জানিয়েছে, তাদের সংস্থা ২০২৫ সালে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে মহাকাশ হোটেল নির্মাণ শুরু করবে, যা হবে প্রথম হোটেল। এই হোটেলে থাকবে একটি সিনেমা হল, বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট, স্পা, একটি প্রমোদ তরী ও চার শ’ লোকের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা। এখানে অবকাশ যাপনের জন্য প্রত্যেক পর্যটককে খরচ করতে হবে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার। মুসলিম নভোচারীরা মহাকাশে ধর্মীয় বিধান পূর্ণভাবে পালন করতে পারেন। ১৯৮৫ সালে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। তার লেখা ‘সেভেন ডেইজ ইন স্পেস’ বইয়ে মহাকাশে থাকাকালে ইসলামী দায়িত্ব পালনের কথা বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি যাওয়ার দিন সেহরি খাওয়া, উড্ডয়নের আগে নামাজ পড়া এবং মহাকাশে থাকাকালে রোজা রাখা ও পবিত্র কুরআন পাঠের কথা উল্লেখ করেছেন। মহাকাশে তার নামাজ আদায় ও কুরআন পাঠের ছবিও রয়েছে। অপরদিকে, নভোচারীদের অনেকেই মহাকাশে বিনোদনমূলক কর্মও করেন। ইতালির প্রথম নারী নভোচারী সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে টিকটকের জন্য ভিডিও তৈরি করে টিকটক অ্যাপে শেয়ার করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। মহাকাশে এখন সিনেমার শুটিং হচ্ছে। রাশিয়া এটা সম্পন্ন করেছে। সিনেমাটিও হলে প্রদর্শিত হয়েছে। আমেরিকাও ‘মিশন: ইম্পসিবল-ডেড রেকনিং পার্ট ১’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেছে মহাকাশে, যার নায়ক বিশ্বখ্যাত অভিনেতা টম ক্রুজ। এই সিনেমাটি শিগগির হলে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।
পৃথিবীর ন্যায় মহাকাশেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই রয়েছে। মহাকাশের সুরক্ষার জন্য ২০২১ সালে বিশেষ টিম তৈরি করেছে ব্রিটেন। টিমের সকলকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাশিয়া ও চীন জিএসপি এবং টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইটে হামলা করতে পারে, এমন অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। আরো কিছু দেশ মহাকাশে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য তৈরি হচ্ছে।
মহাকাশ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক আইন আছে। সে মতে, আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, কানাডা, ইইউ এর ৫টি মহাকাশ সংস্থা সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) তৈরি করেছে ১৯৯৮ সালে। বিভিন্ন দেশের নভোচারীরা মহাকাশে গিয়ে সে কেন্দ্রটি ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এই স্টেশনের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হতে পারে বলে অনুমেয়। এছাড়া, চীন ২০২১ সালে একটি মহাকাশ স্টেশন-তিয়ানহে তৈরি করেছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০ কিলোমিটার উঁচুতে। এর ভেতরটা ১৭ মিটার লম্বা আর চার মিটার চওড়া। মেয়াদকাল ১০ বছর। ভূপৃষ্ঠ থেকে সেখানে মহাকাশযানের পৌঁছতে ৭ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সেখান থেকে নভোচারীরা ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। উপরন্তু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
মহাকাশে বাণিজ্যিক কর্মও শুরু হয়েছে। সর্বশেষ কর্ম হচ্ছে, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন। এটা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালটেক। গত ৬ জুন ক্যালিফোনিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) গবেষকরা ঘোষণা করেছেন, তাঁদের ভাসমান প্রোটোটাইপ স্পেস সোলার পাওয়ার ডেমোনস্ট্রেটর (এসএসপিডি-১) সূর্যালোক সংগ্রহ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তর করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। তাতে ক্যালটেকের প্যাসিডেনা ক্যাম্পাসের ছাদে ইনস্টল করা বিভিন্ন মাইক্রোওয়েভ রিসিভারে আলোও জ্বলেছে, যা বিশ্বে মহাকাশ থেকে তারহীন প্রথম শক্তি। বিদ্যমান রূপে এটা ব্যয় সাপেক্ষ হলেও সীমাহীন নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই প্রযুক্তিতে, যেখানে মহাকাশে থাকা বিভিন্ন সৌর প্যানেল দিনের যে কোন সময় সূর্যালোক সংগ্রহ এবং বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ প্রেরণ করতে পারবে। এতে মেঘাচ্ছান্ন আকাশও কোন বাঁধা হবে না। আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও ক্যালটেকের ন্যায় মহাকাশে সৌর বিদ্যুৎ তৈরি করে তা পৃথিবীতে এনে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এর আগে ইলন মাস্কের স্টারলিংক মহাকাশে ইন্টারনেট তৈরি করে তা তারহীনভাবে বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করছে। এ ব্যাপারে গত ১৬ মে, ২০২২ এক দৈনিকে প্রকাশ, ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা ও স্টারলিংকের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের অফিশিয়াল টুইটে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের কিছু অংশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে স্টারলিংকের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু রয়েছে। তাদের সেবার ম্যাপ অনুসারে ২০২৩ সাল নাগাদ ব্রাজিল, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে পৌঁছবে স্টারলিংকের সেবা। ৯৯ ডলার প্রি-পেইড ফি’র মাধ্যমেই বাংলাদেশে এই সেবা পাওয়া যাবে। স্পেসএক্স এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৮৮টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। ২০২৭ সালের মধ্যে পৃথিবীর চারপাশে ৪২ হাজার স্যাটেলাইট ভাসিয়ে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি। আর এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় ফাইভজি ও ফাইবারের বিকল্প হয়ে উঠবে স্টারলিংক। চীন পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ফসলের বীজ নিয়ে মহাকাশে অংকুরোদগম করে পৃথিবীতে এনে চাষ করছে। তার ফলনও ভালো হচ্ছে। নাসা ২০২১ সালে মহাকাশে কাঁচা মরিচের চাষ করে সফল হয়েছে। নভোচারীরা সে মরিচ খেয়েছিলেনও। তাতে তাঁদের কোনো অসুবিধা হয়নি। বহু দেশ মহাকাশে অসংখ্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এভাবে মহাকাশের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। বিনিয়োগও বাড়ছে। সিটি গ্রুপের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যে মহাকাশ শিল্পের বার্ষিক আয় ১ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছবে। ২০২০ সালে মহাকাশ শিল্পের বাজার ৪২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছিল। ২০১০ সাল থেকে বাজারটি ৭০ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়েছে। মহাকাশ শিল্পের বাজারের সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে স্যাটেলাইট। এ খাতের আকারই পুরো বাজারের ৭০ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে, পৃথিবীর ন্যায় মহাকাশেও আবর্জনা সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ডিপার্টমেন্টের গবেষক ফেলো ক্যাগ্রি কিলিক জানিয়েছেন, বাতিল হার্ডওয়্যার, নিষ্ক্রিয় মহাকাশযান ও বিধ্বস্ত মহাকাশযান ইত্যাদিতে বর্জ্যের স্তূপ সৃষ্টি হচ্ছে মহাকাশে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলছে ডাকাতির নাটক, বিব্রত পুলিশ!
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভাস্কর্য প্রদর্শনী
এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসি
সোনারগাঁও বুরুমদী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপন
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মামলা- পৌর প্রশাসক ইকবাল হোসাইন
সাদপন্থী তাবলীগের মুখপাত্র মুয়াজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পূর্বাচলে বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু : তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
লক্ষ্মীপুরে সরকারি রাস্তা কেটে যুবলীগ নেতার চাষাবাদ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
কলাপাড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক চোর
এবার পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
মাগুরায় গ্রামবাসির সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শরিফুলের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
সিমকার্ডের আড়ালে সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান
কিশোরগঞ্জের আব্দুল কাহার আকন্দ কোথায়? কেউ জানে না!
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’