সমুদ্রসম্পদ আহরণ জোরদার করতে হবে
২১ জুন ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
‘সমুদ্র বিজয়ে’র পর অনেক আনন্দ-উল্লাস হয়েছে। বিজয়গাঁথার ইতিহাসেও সমুদ্র বিজয়কে যুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কৃতিত্ব লাভের পর এক দশক হতে চলেছে। এর সুফল কী, এমন প্রশ্ন অনেকের। বঙ্গোপসাগরে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে। ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে এ ঐতিহাসিক রায় হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৯০% পণ্য বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে পরিবহণ হচ্ছে। এছাড়া, সমুদ্র থেকে কিছু সম্পদ আহরিত হচ্ছে, যার পরিমাণ বার্ষিক প্রায় হাজার কোটি ডলার, যা জিডিপির ৫ শতাংশের মতো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৫ জানুয়ারি, ২০২২ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ তথা ০.১১ থেকে ০.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস হাইড্রেট পাওয়া গেছে, যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের সমান। এছাড়া, ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লব স্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, দেশের সমুদ্র সৈকতও বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম, যা পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র। সর্বোপরি দেশের সমুদ্র এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর, নৌ যোগাযোগ, উপকূলে বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শহর, মার্কেট ও কৃষি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ উপকূলব্যাপী ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ১.৬৬ লাখ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত বিশাল সামুদ্রিক এলাকায় অফুরন্ত সম্পদ ও সুযোগ রয়েছে। তাই দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক ব্যাপক উন্নতি ও কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ, এই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহারের অগ্রগতি নগণ্য। এ পর্যন্ত তেল-গ্যাস উত্তোলনের টেন্ডারই ওপেন করা হয়নি। শুধুমাত্র সমুদ্র অঞ্চলকে নতুনভাবে বিন্যাস্ত করে ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। তন্মধ্যে অগভীর সাগরে ১১টি এবং গভীর সাগরে ১৫টি। বাপেক্স বলেছে, গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের সক্ষমতা নেই তার। মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে না পারায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও অংশগ্রহণ করছে না তেমন! দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমুদ্রবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞও নেই। ওদিকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর মিয়ানমার ও ভারত তাদের সমুদ্র অঞ্চল থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলন করে ব্যবহার করছে।
তথ্য মতে, দেশের সমুদ্রসীমায় যে ব্যাপক সি-উইড রয়েছে, তা খুবই মূল্যবান সম্পদ। পুষ্টিগুণের বিচারে বিভিন্ন দেশে এটি খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, সি-উইড শিল্পের কাঁচামাল, জমির সার, প্রাণীখাদ্য ও লবণ উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয়। তাই সরকারি উদ্যোগে বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ হচ্ছে সি-উইড। বর্তমানে তার পরিমাণ পাঁচ হাজার টনের অধিক। পটুয়াখালীতে সি-উইডের একটি গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। দেশে ব্যবহার হওয়া ছাড়াও খাদ্য ও শিল্প উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে সি-উইড রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক টোনা মাছের চাহিদা ব্যাপক। মূল্যও অত্যধিক। এটি গভীর সমুদ্র থেকে আহরণ করতে হয়। এছাড়া, আরো অনেক বড় জাতের মাছ রয়েছে সেখানে। এসব আহরণ করতে পারলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করেও রপ্তানি করে বছরে ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।কিন্তু বড় ট্রলারের অভাব এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার দক্ষতা না থাকায় তা হচ্ছে না আমাদের। কিছুদিন আগে একটি বিদেশি কোম্পানি গভীর সমুদ্রের মাছ ধরে অর্ধেক ভাগাভাগির এবং ৫ বছর পর নেট ও বোট দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তা আমরা গ্রহণ করিনি। যা’হোক, দেশের উপকূল এলাকায় ৫০-৬০ হাজার ছোট নৌকা দিয়ে জেলেরা মাছ ধরছে। তাতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে কিছু রফতানি হচ্ছে। উপরন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা চলছে। উপকূলে জেলেরা যে মাছ ধরছে, তারও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। তাই প্রায়ই ভারত ও মিয়ানমারের জলদস্যুরা আমাদের জেলেদের উপর আক্রমণ চালিয়ে মাছ ও জাল নিয়ে যায়। জেলেদেরও ধরে নিয়ে যায় কখনো কখনো! অবশ্য, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।এই প্রকল্প পূর্ণ ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে অনেক কল্যাণ হবে।
দেশের মূল ভূখ-ের (১.৪৪ লাখ বর্গ কিলোমিটারের সামান্য বেশি) প্রায় সমান সমুদ্র এলাকা হলেও দেশে কোন গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। তাই বহির্নোঙ্গর থেকে পণ্য লাইটারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা-নেয়া করা হয়। এতে সময় ও ব্যয় হয় বেশি। দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। উপরন্তু লন্ডন ভিত্তিক লয়েডস লিস্টের সমুদ্র বন্দরের তালিকা-২০২২ মতে, বিশ্বের ব্যস্ততম ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে জাপানের আর্থিক সহায়তায়। ২০২৬ সালে এর কাজ শেষ হবে। এটি ৮ হাজার টিইইউস জাহাজ ধারণ করতে সক্ষম হবে এবং এর বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৬ লাখ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস। পরে কনটেইনার টার্মিনাল প্রসারিত করা হবে ৭০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যায়ে একটি ১,৮৫০ মিটার বার্থ থাকবে এবং এর বার্ষিক ক্ষমতা হবে ২.৮ মিলিয়ন টন। এই বন্দর কার্যকর হলে কলম্বো, সিঙ্গাপুর ও পোর্ট কেলাংয়ের ওপর আর নির্ভরশীলতা থাকবে না আমাদের। উপরন্তু মাতারবাড়ীতে একটি বড় বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেছেন, মাতারবাড়ী হবে ভবিষ্যতের সাব রিজিওনাল হাব। অপরদিকে,চট্রগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন তৈরি করা হচ্ছে, যা এ বছরই চালু হবে। এটা হলে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। তাকে কেন্দ্র করে আর্থিক কর্মকা-ও বাড়বে সেখানে।
খবরে প্রকাশ, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। উপরন্তু সমুদ্র সৈকতে প্রাপ্ত জিরকন, ইলেমেনোইট, ম্যাগনেটাইট, রিউটাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে। এছাড়া, সমগ্র সৈকতে রয়েছে অফুরন্ত বালি।যা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলিকন, ক্রোমিয়ান, প্লাটিনাম ইত্যাদি মহামূল্যবান কাজে ব্যবহ্নত হয়। তাই এই বালি ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামে খ্যাত। দেশের বিশাল সৈকত পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। কিন্তু সেখানে নানা আবর্জনা, নিরাপত্তাহীনতা ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে তা হচ্ছে না। মিরসরাই-টেকনাফ ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হয়েছে। এটি যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে।মেরিন ড্রাইভের কল্যাণে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদ দ্রুত বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যাবে। উপরন্তু মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোকেও বিশেষ সুবিধা দেবে। এছাড়া, বহির্নোঙ্গর থেকে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পতেঙ্গার অয়েল বেল্টের প্রদান ডিপোতে তেল সরবরাহের ডাবল পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এটা সম্পন্ন হলে বিপিসির তেল সরবরাহ দ্রুততর হবে এবং লাইটারিং ব্যয় বাবদ বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে। এছাড়া, উপকূলে অনেক জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প রয়েছে। তাতে অনেক শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। উপরন্তু বড় বড় জাহাজ রফতানি করে বিপুল অর্থ আয় হয়। অপরদিক, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাংলাদেশসহ বহু দেশ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কারণ, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে উপকুল তলিয়ে যাবে। তাতে জীবন ও জীবিকা চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। বাংলাদেশে ২ কোটির অধিক মানুষের বাস উপকুল এলাকায়। মার্কিন এক সংস্থার গবেষণা মতে, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে মহাসাগরগুলোর তাপমাত্রা বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ২২৭ জেটাজুলস, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৮৯ জেটাজুলস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে,প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্র দুষিত হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে, যা খাদ্যচক্রের সাথে মিশে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।
গত বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত বিডার সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনাময় খাত। বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা গেলে এ খাত থেকে বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে অবিলম্বে। সম্ভাবনার অন্যতম হচ্ছে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান। কারণ, বর্তমানে তেল-গ্যাসের মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে, যা সহসাই হ্রাস পাবে না। দেশে গ্যাসের মজুদ শেষ হয়ে আসছে। তাই চাহিদা মাফিক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে দেশ অত্যন্ত ব্যয়বহুল এলএনজি ও কয়লার উপর নির্ভরশীল হয়েছে। তাতেও সংকট চলছে ডলারে অভাবে।তাই অবিলম্বে নতুন গ্যাসকূপ সন্ধান, আবিষ্কার ও উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেটা করতে হবে বাপেক্সের মাধ্যমে। সে জন্য সংস্থাটির প্রয়োজনীয় সক্ষমতা দরকার। এটা যতদিন না হয়, ততদিন বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমেই করতে হবে। এছাড়া, মৎস্য ও অন্য সম্পদ আহরণ এবং পর্যটনের উন্নতি ও সমুদ্র বিষয়ক প্রয়োজনীয় বিজ্ঞানী ও দক্ষ লোক তৈরি করতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। স্বতন্ত্র সমুদ্র মন্ত্রণালয়ের দাবিও বিবেচ্য। এসব হলেই ব্লু ইকোনমির যে স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, তা বাস্তবায়িত হবে। সমুদ্র বিজয় সার্থক হবে। দেশের উন্নতি তরান্বিত ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
গত ১৯ জুন জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সমুদ্রাঞ্চলে জীববৈচিত্র্য রক্ষার একটি চুক্তি হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছে সদস্যদেশগুলো। এই চুক্তির সুবিধা হচ্ছে: ভাগাভাগি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহযোগিতা। এছাড়া, গত ৪ মার্চ,২০২২ জাতিসংঘে বহুল কাক্সিক্ষত সমুদ্র চুক্তি হয়েছে। এতে শতাধিক দেশ স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ‘মুক্ত সমুদ্র’ (হাই সি) অঞ্চলের ৩০% সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি সমুদ্রে মাছ শিকার, জাহাজ চলাচল এবং বিভিন্ন ধরনের অভিযান ও খননে সীমা বেঁধে দেয়া হবে। ১৯৮২ সালের চুক্তিতে সমুদ্রের মাত্র ১.২% এলাকাকে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। চীন ইয়াংজিয়াং সমুদ্র তীরবর্তী বিশাল জলরাশির ওপর দেশটির প্রথম বায়ুচালিত ১৭ লাখ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তাতে ২৬৯টি টারবাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। উপরন্তু চীন ও রাশিয়া সমুদ্র উপকুলে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। দক্ষিণ কোরিয়া সমুদ্র উপকূলে ভাসমান আবাসস্থল ও মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবহার করছে। সৌদি আরব সাগরে একটি ভাসমান শহর তৈরি করছে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের উপকূলে ভাসমান মৎস্য ও সবজি চাষ হচ্ছে। চিপলো নামের ফোন অ্যাপ সাগর-মহাসাগরের প্লাস্টিক মুক্ত করছে। ইসরাইল সমুদ্র সৈকতে সাইটবিট নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা ব্যবহার করে সৈকতের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করছে। আমাদের উপকূলেও এসব করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
মোহনপুর উপজেলা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি মুন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না:সালাম
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
নির্বাচনে কারা যোগ্য, সে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: বদিউল আলম মজুমদার
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ডিসেম্বরের ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার
প্রশাসন ক্যাডারের ‘ইয়াং অফিসার্স’ ফোরামের সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক জয়
ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার বিজয়কে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না
বিপিএল মিউজিক ফেস্ট: যান চলাচলে যে নির্দেশনা ডিএমপির