ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মোদি-বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২৬ জুন ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

অবশেষে কি তিনদিনের রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার অবসান হলো? আমার মনে হয়, সম্ভবত হলো। আবার বাংলাদেশে কেউ কেউ মনে করেন, পর্দা এখনো সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয়নি। নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন ২১ জুন। ২২ জুন তাকে হোয়াইট হাউজে রিসিভ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানেই স্টেট ভিজিটের আনুষ্ঠানিকতাসমূহ সম্পন্ন হয়। অতঃপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অফিসিয়াল বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকের ওপর অন্যান্য দেশের যাই থাক, বাংলাদেশের সচেতন মানুষের তীক্ষ্ন দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল। কারণ, একটি সংবাদের উৎপত্তি। উৎপত্তিটা হয়েছিল প্রথমে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ নামক ভারতের মর্যাদাশীল এবং সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ইংরেজি দৈনিকের সিস্টার কনসার্ন ‘ইকনোমিক টাইমসের’ একটি রিপোর্ট থেকে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, মোদি এবং বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হবে। এরপর ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দি হিন্দু’, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ প্রভৃতি পত্রিকায় এ সম্পর্কিত খবর প্রকাশিত হয়। ওই সব খবরে বলা হয় যে, কয়েকদিন আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যে, মোদি-বাইডেন বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যেন বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকর বাংলাদেশ হাই কমিশনারকে আশ্বাস দেন যে, ভারত সরকার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ৭ জন অফিসারসহ র‌্যাবের ওপর মার্কিন স্যাংশন আরোপিত হয়। ভারতীয় পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, বাংলাদেশ নাকি এই স্যাংশন প্রত্যাহারে ভারতীয় গুড অফিস ইউজ করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করে। ভারত কথা দেয় যে, সে এটা করবে। তারপর দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। ভারতীয়রা বিষয়টি মার্কিন সরকারের সাথে উত্থাপন করেছিল কিনা জানা যায়নি। কিন্তু এই দেড় বছরেও স্যাংশন উইথড্র হয়নি। এরপর চলতি বছরের ৩ মে আমেরিকা বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি প্রণয়ন করে এবং ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে আমেরিকানদের ভাষায় ‘নোটিফাই’ করে। ২৩ মে পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কিছুই জানতে পারেননি। ২৪ মে ওয়াশিংটন থেকে স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি বিøংকেন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। এই ভিসা নীতি নিয়ে গত দেড় মাস থেকে বাংলাদেশের সব মিডিয়াতে এবং পলিটিশিয়ানদের মাঝে তুমুল আলোচনা চলছে। আমি তাই আর ওই ভিসা নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় যাবো না।

দি হিন্দু এবং হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট মোতাবেক, কয়েকদিন আগে ভারতে বিশে^র ২০টি ধনী দেশের সরকার প্রধানদের বৈঠক হয়। এই ২০টি ধনী দেশের গোষ্ঠিকে বলা হয় ‘জি-২০’। ভারত এই মুহূর্তে জি-২০’র সভাপতি। সভাপতির প্রাধিকার বলে পর্যবেক্ষক হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে এই বৈঠকে যোগদানের আহবান জানান। পর্যবেক্ষকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু তারা কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না। যাই হোক, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে যোগদান করেন। বৈঠকের সাইড লাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সাথে বৈঠক করেন। হিন্দুস্তান টাইমস, দি হিন্দু এবং ইকনোমিক টাইমসের রিপোর্ট মোতাবেক, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যে, আসন্ন মোদি-বাইডেন শীর্ষ বৈঠকে ভারত যেন স্যাংশন এবং ভিসা নীতি নিয়ে আমেরিকার সাথে কথা বলে।

আসলে বাংলাদেশ চাচ্ছে যে, ভিসা নীতির ব্যাপারে আমেরিকা যেন তার সুর নরম করে। এজন্য ভারত যেন আমেরিকার ওপর তার প্রভাব খাটায়। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ^াস দেন যে, ভারত বিষয়টি উত্থাপন করবে।

এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষের মনে তেমন কোনো আলোড়নের সৃষ্টি হতো না। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তত তিনটি পত্রিকা ভারতীয় আশ^াসের খবর প্রথম পৃষ্ঠায় কোনোটায় প্রধান সংবাদ হিসেবে, আবার অন্যগুলিতে প্রথম পৃষ্ঠায় অত্যন্ত ফলাও করে ছাপা হয়। পত্রিকাসমূহ হলো বাংলা দৈনিক ‘প্রথম আলো’, ইংরেজি ‘ডেইলি স্টার’ এবং বাংলা দৈনিক ‘সমকাল’। প্রথম আলো তার দিল্লি প্রতিনিধি সৌম্য বন্দোপধ্যায়ের পরিবেশনায় সংবাদটি প্রথম পৃষ্ঠায় প্রথম সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের আরো কয়েকটি দৈনিকে এই বিষয়টি ছাপা হয় এবং এটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।
\দুই\
এই ধরনের খবরে বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। আগ্রহ হলো, ২২ জুন দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে মোদি বিষয়টি উত্থাপন করেন কিনা। আর উদ্বেগের সৃষ্টি হয় এজন্য যে যদি মোদি এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং বাইডেনেরে সুর তার ফলে নরম হয় কিনা। এই আগ্রহ এবং উদ্বেগের আরেকটি পটভ‚মি ছিল। সেটি হলো, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবার নিয়ে ৫ বার সফর করলেন। কিন্তু এবার অর্থাৎ পঞ্চমবার তিনি যাচ্ছেন স্টেট ভিজিটে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সফরে। এই রাষ্ট্রীয় সফরে তাকে সম্বর্ধিত করা হবে ২১টি তোপোধ্বনির মাধ্যমে। তাছাড়া তাকে দেওয়া হবে স্টেট ব্যাঙ্কুয়েট বা রাষ্ট্রীয় ভোজ। তার আগে তাকে বিমানবন্দরে এবং হোয়াইট হাউজে রিসিভ করা হবে লাল গালিচা পেতে দিয়ে। আসলে স্টেট ভিজিটের এগুলোই নিয়ম। রাষ্ট্রীয় সফর এবং সরকারি সফরের মধ্যে এটিই হলো পার্থক্য। জো বাইডেনের আড়াই বছরের শাসনামলে মাত্র তিন জন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকে এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মানে বরণ করা হলো। এই তিনজন হলেন ফ্যান্সের প্রেসিডেন্ট মাখো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে মোদিকে সম্মান দেওয়া হয়েছে সেগুলোর তোড়জোড় দেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল ভেবেছিলেন যে, নরেন্দ্র মোদি কোনো অনুরোধ করলে হয়তো আমেরিকা সেটি নাও ফেলতে পারে।

\তিন\
কিন্তু ব্যাপারটি সেভাবে ঘটেনি। ২২ জুন মোদি-বাইডেন বৈঠকের আগের দিন অর্থাৎ ২১ জুন হোয়াইট হাউজের সিনিয়র নিরাপত্তা অফিসার জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সম্মেলনে তাকে বাংলাদেশের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পর্কে আমেরিকা যে অবস্থান গ্রহণ করেছে সেটি পরিবর্তিত হবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে কথা বলবেন কিনা সে ব্যাপারে বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক, যিনি হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে অ্যাক্রেডিটেডেট, অর্থাৎ হোয়াইট হাউজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘে যার রয়েছে অবারিত দ্বার, তিনি জন কিরবিকে প্রশ্ন করেন। জন কিরবি পরিষ্কার ভাষায় বলেন যে, বাংলাদেশের ইস্যুটি বাংলাদেশ এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। এখন আমেরিকা সরাসরি বাংলাদেশের সাথে এনগেজমেন্টে রয়েছে। তেমনি ভারত যদি মনে করে, তাহলে তারা আলাদাভাবে অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিকভাবে অন্য কোনো এক সময় বাংলাদেশের সাথে কথা বলতে পারে। এটি ভারতের নিজস্ব ব্যাপার।

বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের নাম মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান। তিনি একটি থিংক ট্যাংকের সভাপতি। মুনিরুজ্জামান পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, তিনি হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট পড়েছেন। সেই ওয়েবসাইটে মোদি ও বাইডেনের বৈঠকের আলোচ্য সূচির বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। সেই আলোচ্য সূচিতে বাংলাদেশের কোনো নাম নাই। তাই তিনি মনে করেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ মোদি-বাইডেন বৈঠকে আলোচিত হবে না।

\চার\
এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশের শিক্ষিত-সচেতন মানুষ মোদি-বাইডেন শীর্ষ বৈঠকের আউটকাম বা ফলাফল জানার জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে ২৪ জুন তাদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি পত্রিকা তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে যে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি। সমকালে বলা হয়েছে যে, বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার যৌথ ইশতেহার প্রকাশিত হয়েছে। ওই যৌথ ইশতেহারে রয়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি শব্দ। আর ওই সাড়ে ৬ হাজার শব্দে রয়েছে ৫৮টি দফা। এই ৫৮ দফার কোনো দফাতে বাংলাদেশ নামটি নাই। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ শীর্ষ বৈঠকে আলোচিত হয়নি। এসব পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, ওই ৫৮ দফায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং মিয়ানমারের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। এই ৪টি দেশ নিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি, তা বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নামও সেখানে উল্লেখ না করায় তারা ধরেই নিয়েছেন যে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আলোচিত হয়নি।

প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় মোদি-বাইডেন বৈঠক সম্পর্কে রিপোর্টটি পরিবেশন করেছেন সেই সৌম্য বন্দোপধ্যায়, যিনি এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস এবং ইকনোমিক টাইমসের রেফারেন্স দিয়ে বলেছিলেন যে, শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ আলোচিত হতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সৌম্য বন্দোপধ্যায় দিল্লিতে নাম করা সাংবাদিকদের একজন। তাকে আর যাই বলা হোক, বিজেপিপন্থী সাংবাদিক মোটেই বলা যাবে না।

সুতরাং যৌথ ইশতেহার, ৫৮ দফা এবং বাংলাদেশের ৩/৪টি পত্রপত্রিকার রিপোর্ট দেখে একথা এখন বলা অসঙ্গত হবে না যে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি। আমারও তাই ধারণা। তবে বাংলাদেশের কয়েকজন ইউটিউবার ২৪ তারিখ বিকাল বেলা এবং রাতে তাদের যে, ভিডিও আপলোড করেছেন সেখানে তারা একটি স্পেস রেখেছেন। সেই স্পেসটিতে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের শীর্ষ বৈঠকে কিছু থাকে অন রেকর্ড, আর কিছু থাকে অফ দ্য রেকর্ড। একটি বৈঠকে উভয় পক্ষ যত কথা বলেন তার সব কথা তো হুবহু যৌথ ইশতেহারে আসে না। প্রবাদবাক্যে বলা হয়, There are many a slips between the cups and the lips. অর্থাৎ চা খাওয়ার সময় চায়ের কাপ এবং ঠোঁটের মধ্যে কিছু ফাঁক থেকে যায়। এখানেও যদি ওই রকম কোনো ফাঁক থেকে থাকে তাহলে সেটা যৌথ ইশতেহারে আসে না। তবে তারা একই নিঃশ^াসে একথাও বলেন যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর Slow and steady ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম থেকে এপর্যন্ত তার অবস্থানে পূর্ণ সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়েছে এবং বিগত দুই বছরে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, রাজনীতি এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে তার অবস্থান অবিচল এবং অটল।

বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচন সম্পর্কে রাশিয়া, চীন এবং ভারতের অবস্থান জানা গেছে। অন্যদিকে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থাও জানা গেছে। এখন আখেরে দেখতে হবে যে, আগামী দিনগুলিতে আওয়ামী লীগ এবং তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং অন্যদিকে বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন ৫৯ দল তাদের নিজ নিজ অবস্থানে কতদূর অবিচল এবং অটল থাকে। যদি অবিচল এবং অটল থাকে তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে ভীষণ দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাবে। মানুষ তাদের ফিঙ্গার ক্রস করে বসে আছে।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল