সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে

Daily Inqilab ড. অজয় কান্তি মন্ডল

০৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:২০ পিএম | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০৬ এএম

মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার ভারে নুইয়ে পড়া নগরী ঢাকা। গেল বছরে প্রকাশিত জনশুমারি প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা নগরীতে ১ কোটি ২ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার এই চাপ ঢাকা নগরীর ধারণ ক্ষমতার পুরোপুরি বাইরে। ফলে পরিবহন সঙ্কট, জলাবদ্ধতা, যানজট, রাস্তা-ঘাটের অপ্রুতলতা, হাঁটা চলার উন্মুক্ত পরিবেশের অভাব, বর্জ্য অব্যস্থাপনা, মহামারী ডেঙ্গু, দূষিত পানি-বায়ু, ভেজালযুক্ত খাবার, গ্যাস-পানির সঙ্কটসহ জীবনধারণের সবকয়টির মানসম্মত অবস্থান থেকে ঢাকা শহর বেশ পিছিয়ে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ঢাকাবাসী অনগ্রসর। এসব কারণে সারাবিশ্বের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী শহরের শীর্ষের দিকে ঢাকা শহর অবস্থান করছে। সম্প্রতি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) কর্তৃক প্রকাশিত বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৬৭তম। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো এবং জীবনধারণের পরিবেশসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের মোট ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার ১৬৭তম অবস্থান আমাদের কাছে বেশ নাজুক বলা যায়। যেখানে প্রকাশিত তালিকার শেষ দিকে ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহর কিয়েভেরও (১৬৬ স্থান) নিচে অবস্থান করছে ঢাকা।

ঢাকা শহরের সার্বিক অব্যবস্থাপনা একসাথে লিখতে গেলে সেটা শেষ করা যাবেনা। তাই আজকের লেখায় শুধুমাত্র ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কিছু দিক উল্লেখ করতে চাই। ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নবনির্মিত কিছু স্থানের বিষয়টি সম্প্রতি নজরে এসেছিল। বলছি আবর্জনা রাখার অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এর কথা। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মোটামুটি স্থায়ীভাবে নির্মিত এই এসটিএসগুলো খুব একটা চোখে পড়েনি। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা শহরের বেশ কিছু জায়গায় যাতায়াতের সূত্রধরে বিষয়টি নজরে এসেছে। পরবর্তীতে এসটিএস-এর বিষয়ে ইন্টারনেট ঘেটে জানতে পারলাম, রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটিতে ৩২টি করে মোট ৬৪টি এসটিএস নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও ঢাকা শহরে প্রতিদিন মোট উৎপাদিত বর্জ্যরে তুলনায় স্থাপিত এসটিএস-এর সংখ্যা অপ্রতুল তারপরেও সিটি কর্পোরেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসানীয়।

কিন্তু আমার আপত্তি আছে এসটিএসগুলোর নির্মাণে অবস্থান নির্ধারণ নিয়ে। যেমন সম্প্রতি আমার নজরে পড়েছিল মালিবাগ মোড়, ধানমন্ডি ৩২ ও শুক্রাবাদ সিগন্যাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হয়ে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়কে উঠার পথে নিচে আনন্দবাজারে কাছে অবস্থিত নির্মিত এসটিএস সমূহের দিকে। ঐ সমস্ত জায়গা সবসময় ট্রাফিক ব্যস্ততা লেগেই থাকে। ওই সব স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগরবাসী ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে গণপরিবহনের মধ্যে এক রকমের নাজেহাল অবস্থায় থাকে। এসটিএসগুলোতে অনবরত ময়লা-আবর্জনার আদান-প্রদান হতে থাকে। যেগুলো থেকে নির্গত পচা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে ঢাকাসহ আশপাশের পরিবেশ দূষিত করছে। ট্রাফিক জ্যামে বসে খেয়াল করলাম, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভ্যানে করে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা নিয়ে এসে রাস্তার ওপর এলোমেলোভাবে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু পোলাপান সেই পচা ময়লার স্তূপ এদিক-ওদিক সরিয়ে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল প্রভৃতি কুড়িয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাচ্ছে।

আমার দেখা প্রতিটি এসটিএস থেকে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মূল রাস্তা ও ফুটপাতের অনেকখানি অংশ জুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাছাড়া ময়লা আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত সিটি কর্পোরেশনের ছোট ছোট ভ্যান এমনভাবে এলোমেলো করে রাখা আছে, যা ট্র্যাফিক জ্যামকে আরও বেশি উসকে দিচ্ছে। ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়া নগরবাসীসহ পথচারী সকলে নাকে রুমাল দিয়ে দুর্গন্ধ নিবারণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ অবশ্য হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। একদিকে ময়লা নিতে আসা সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি থেকে রাস্তা বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি অন্যদিকে পচা আবর্জনা থেকে নির্গত দুর্গন্ধ আশপাশের এলাকাকে দূষিত করে বিষিয়ে তুলেছে। এতে প্রতিদিনই এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ছে। তবে বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে কোমলমতি স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও নিয়মিত অফিসে যাতায়াতকারীদের। এসব এসটিএস ছাড়াও ঢাকার বেশির ভাগ এলাকার ময়লার ভাগাড় প্রধান রাস্তার পাশে হওয়ায় এসব বর্জ্য থেকেও অনবরত দূষণ লেগেই থাকে। এসব ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ভূত দুর্গন্ধ অনেকেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। ঢাকা নগরীর এই সমস্যা অবশ্য দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ পরিস্থিতির উন্নয়নে বা নিয়ন্ত্রণে নগর প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত ছিল বলে প্রতীয়মান হয়।

এসব এসটিএস বা বর্জ্য রাখার স্থান লোকালয় বা সড়কের পাশে স্থাপন করা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা নির্মাণের পূর্বেই ভাববার বিষয় ছিল। বিষয়টি বর্তমানে এমন হয়েছে যে, ঘরের আবর্জনা বাইরে এনে সর্বসাধারণের ভোগান্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। লোকালয় থেকে দূরবর্তী স্থানে সেকেন্ডারি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো স্থাপন করলে এগুলো থেকে দূষণ ছড়ানোর তেমন সুযোগ ছিল না। ঢাকা শহরের ভিতরে অবশ্য এধরণের জায়গার বেশ অভাব রয়েছে। কিন্তু শহরের আশপাশের স্থানগুলো নির্ধারণ করলে ভালো ফল দিত এবং সেগুলো থেকে দূষণ অনেকাংশে কম হতো বলে আশা করা যায়। তাই বলে শহরের আশপাশের পরিবেশও যে দূষণের শঙ্কামুক্ত নয় সেটা সকলের বোধগম্য। উল্লেখ্য যে, রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে থাকা চার নদীও দূষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এসব নদীতে। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার চার নদী ও খাল-বিলে পাওয়া গেছে ৭২ হাজার টনেরও বেশি বর্জ্য। বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকার আশপাশের এসব নদীনালা দূষণের জন্য প্রধানত দায়ী শিল্প-কারখানাগুলো। শিল্প-কারখানা আর শহরের পয়োনিষ্কাশনের সব বর্জ্য নিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীতে। এ কারণেই একসময়ের স্বচ্ছ টলটলে পানির নদীগুলো ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যসহ জলজ পরিবেশ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার ৪৬৪ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহকারী সংস্থার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ল্যান্ডফিলে যায়। ১৪ শতাংশ ফেলা হয় ড্রেন ও অরক্ষিত এলাকায়। আর ৫ শতাংশ বর্জ্য ফেলা হয় নদী ও খালগুলোতে। ৮ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়।

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন করার কৌশল নিরূপণ করা যেতে পারে। বাইরের দেশে এগুলো হরহামেশাই হয়ে থাকে। চীনে কিচেন ওয়েস্ট এবং মিউনিসিপ্যাল ওয়েস্ট থেকে সরাসরি বায়োগ্যাস উৎপাদনের ব্যবস্থা আছে। বাইরের দেশে বহু আগে এই টেকনোলজি চালু হলেও আমাদের দেশে তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়না। তাই বর্জ্য থেকে শক্তি এবং সম্পদ, অর্থাৎ ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ বা ‘ওয়েস্ট টু ওয়েলথ’ রূপান্তরে আধুনিক গবেষণা প্রণয়ন করে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের রূপ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, বার্নিং টেকনোলজি ব্যবহার করে কঠিন বর্জ্য পুড়িয়ে এর পরিমাণ কমিয়ে তাপ, বাষ্প এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যেতে পারে। এই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে শহর ও পরিবেশ দূষণ থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে এবং উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। প্রয়োজনে বাইরের দেশের সহযোগিতা নিয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিজ্ঞ গবেষকদের পরামর্শ সহযোগে বর্জ্যকে শক্তি বা সম্পদে রূপান্তরিত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বই সর্বাধিক। একথা অনস্বীকার্য যে, ঢাকা নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে শহুরে মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করতে হবে।

বর্তমানে ক্রমাগত শিল্পায়ন এবং নগরায়ণের সাথে বর্জ্যরে পরিমাণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জটিলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ওপর বর্জ্য বা আবর্জনার বিরূপ প্রভাব কমানোর জন্য কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জনস্বাস্থ্য, পানি, মাটি ও খাদ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই টেকসই উন্নয়নে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। দুঃখের বিষয় হল, মানুষ কোথায় বর্জ্য ফেলবে সেটি ঢাকার সব ওয়ার্ডে এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত কিছু কিছু জায়গায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও বেশির ভাগ মহল্লায় সেই ব্যবস্থা নেই। নগরবিদদের দাবি, শহরের বর্জ্য অপসারণ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের যথাযথ পরিকল্পনা না থাকায় নগরবাসীর দুর্ভোগ বহুগুণে বাড়ছে। এক্ষেত্রে সরকার, সিটি কর্পোরেশন, রাজউকসহ সরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। সেই সাথে গণসচেতনতার ও দরকার রয়েছে। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সকলেই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে তাহলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন হওয়া সম্ভব।

গৃহস্থালী বর্জ্য, বিভিন্ন ধাতব বর্জ্য, প্লাস্টিক ও ঝুকিপূর্ণ বর্জ্য আলাদা ভাবে ফেললে এগুলো থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। গৃহস্থালী পচনশীল জৈব বর্জ্য থেকে কম্পোস্টিং-এর মাধ্যমে খুব সহজেই সার তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া কাগজ, প্লাস্টিক ও মেটালকে রিসাইকেল করা সম্ভব। এসকল সার্বিক দিক বিবেচনায় এবং সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সহজ মাধ্যম হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন রঙের ডাস্টবিন বা কনটেইনারে ভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ঢাকা শহরে প্রতি ঘরে ঘরে লাল, সবুজ ও হলুদ কন্টেইনার বিনামূল্যে সরবরাহ করেছিল সিটি কর্পোরেশন। আবার রাস্তার পাশেও বর্জ্য রাখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্টেইনার স্থাপন করেছিল। কিন্তু সেগুলো থেকে কাক্সিক্ষত ফল আসেনি। কেননা আমাদের জনসচেতনাতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এই জনসচেতনতা এবং প্রতিটি জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। জনসাধারণকে সবার আগে অনুধাবন করতে হবে সকলের সামান্য সদিচ্ছা এবং সচেতনতা বদলে দিতে পারে সবকিছুকে। বর্জ্যকে যাতে করে শক্তি এবং সম্পদে রূপান্তরিত করা যায় এজন্য সকলকে যার যার স্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বাইরের দেশে দেখেছি সেখানে অল্প দূরত্ব পরপর হাইওয়ে, পার্ক, হাঁটার জায়গায় তিনটি ভিন্ন রঙের কন্টেইনার রাখা আছে। যেখানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ময়লা ফেলে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সেগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা করার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ থাকে। বাইরের দেশ পারলেও আমরা পারি না কারণ আমাদের সেই শিক্ষাটা ছোট থেকে দেওয়া হয়না। সকলকে অনুধাবন করতে হবে যে, নিজের গৃহস্থলির মতো নিজের শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ত্ব আমাদের প্রতিটি নাগরিকের। আর একমাত্র সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই নগরবাসীর এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিহারিরা কেমন আছে
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা
আরও

আরও পড়ুন

ইউএনও কাবেরী, উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক

ইউএনও কাবেরী, উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক

বাংলাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী

খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জমি দখল করে ছাদ ঢালাই

বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জমি দখল করে ছাদ ঢালাই

গুচ্ছ নয়, সঠিক সময়েই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা - জবি শিক্ষক সমিতি

গুচ্ছ নয়, সঠিক সময়েই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা - জবি শিক্ষক সমিতি

২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান

সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান

নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি

রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি

রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত

রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত

স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।

স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন

১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন

মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন

মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি

মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি

মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার

ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ