জীবনের সঙ্গে আচার-আচরণও পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে
০৯ জুলাই ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
মানুষের সমাজ আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তার জন্য তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু দুর্গম পথ, বহু পাথরের মতো ভারী দিন-রাত্রি। এক-দু’দিনে মানব সমাজ এ অবস্থায় এসে পৌঁছেনি। মানুষের এই দুর্গম পথযাত্রায় ও অগ্রগতির দীর্ঘ সময়ে ইতিহাসের অনেক মলিন পৃষ্ঠা ঝরে গেছে। মানব সমাজে সংঘটিত হয়েছে অনেক পরিবর্তন। সেইসব পরিবর্তন ও রূপান্তর এমনই ব্যাপক, বিস্তৃত ও বিস্ময়কর যে, হাজার বছর আগের কথা দূরে থাক দুই-তিনশো বছর আগের কোনো মানুষকে যদি এই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো, তাহলে বর্তমান পৃথিবীর রূপ ও তার পরবর্তী বংশধর এই মানুষের জীবনযাত্রা দেখে সম্ভবত তার তৎক্ষণাৎ বাকরূদ্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকতো না। একইভাবে আজকের পৃথিবীর কোনো মানুষকে যদি দুই-তিন শতাব্দী পরের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় তাহলে তার পরিণতি এ ছাড়া আলাদা কিছু হবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তব সত্য। পৃথিবী ও সমাজ নিত্য পরিবর্তনশীল। মানুষের সমাজ কোথাও থেমে নেই। প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন এমনই সূক্ষ্ম, যা আমরা সর্বক্ষণ অনুভব করতে পারি না। হঠাৎ বহু বছর পর একদিন দেখে চমকে উঠি, ভাবি কোথায় গেল আমাদের সেই সময়, আমাদের সেই সোনালি দিনগুলো? মানুষের একটি সহজাত প্রবণতাই এই যে, সে তার সময়কে আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়, মনে করে তার ফেলে আসা দিনগুলোর কোনো তুলনা হয় না। এই অভ্যাস ও প্রবণতার জন্যই পরিবর্তনকে সে সহজে স্বীকার করে নিতে পারে না। তার অভ্যাস চোখে সবকিছুই কেমন বেখাপ্পা লাগে। একটি যুগের মূল্যবোধ অন্য যুগে প্রায় অচল হয়ে গেলেও তাকেই সে প্রাণপণে ধরে রাখতে চায়। মানুষের সংস্কার এমনি দুর্বার। সব যুগে সব সময়ই কিছু মানুষ সংস্কার মুক্ত থেকে যায়। সংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে পরিবর্তিত মূল্যবোধ ও জীবনকে স্বাগত জানাতে পারে দু’একজন মুক্ত মানুষ।
এবার মূল্যবোধের কথায় আসি। মানুষের সমাজে তার সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক জীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার রুচি, আদর্শ ও মূল্যবোধেরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এক সময় মানুষ ছিল গভীরভাবে আধ্যাত্মবাদী। তার জীবন, চিন্তাধারা ও মূল্যবোধও ছিলো সেভাবেই গড়ে ওঠা। শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনও ছিলো সীমাবদ্ধময়। এই যুগের মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ, রুচি, আদর্শ ও চিন্তাধারার সঙ্গে ফরাসী বিপ্লব, রুশ বিপ্লব, শিল্প বিপ্লব ও আধুনিক গণতন্ত্রের বিকাশ-পরবর্তী যুগের মানুষের মূল্যবোধ বা নীতি-আদের্শের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য ঘটাই তো স্বাভাবিক। কেবল অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও কৃষিভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা ও শিল্প প্রযুক্তির বিকাশ পরবর্তী যুগের মানুষের জীবনাচরণ ও মূল্যবোধের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান লক্ষ্য করাই স্বাভাবিক। অথনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের ক্ষেত্রেও পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। কৃষিভিত্তিক জীবন, যন্ত্র শিল্পের প্রথম যুগ, পরে শিল্প বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি, পুঁজিবাদ, লেসেকেয়ার, সাপ্লাই সাইন ইকোনমি, বাজার অর্থনীতি এমনি নানা মতবাদ ও চিন্তা মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে। এইসব প্রভাব এমনি গভীর ও ব্যাপক যে, মানুষের ব্যক্তিজীবনের আদলই প্রায় বদলে গেছ্ েঅনেক নৈতিক মূল্যবোধ ও প্রচলিত বিশ্বাস অচল মনে হয়েছে তার কাছে। গ্যালোলিও ও কোপার্নিকাসের বৈজ্ঞানিক সত্য মানুষের বিশ্বাসের ভিতকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে দারুণভাবে। তছনছ হয়ে গেছে তার সেই বিশ্বাসের জগৎ। একদিন যে মানুষ বিশ্বাস করতো যে, সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে এবং যা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দেখতেও পায়। সে যখন জানতে পারলো যে সূর্য স্থির আর পৃথিবীই ঘুরছে সূর্যের চারদিকে তখন তার এতোদিনের অর্জিত বিশ্বাস তারই সামনে ভেঙে খান খান হয়ে গেলো। এই সত্যকে স্বীকার করতে অনেক দিন সময় লাগলো তার। নিউটন কিংবা আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষকে কেবল চমকেই দিলো না সে হয়ে পড়লো এইসব আবিষ্কার ও সত্যের মুখোমুখি হতচকিত অনেকটাই বিভ্রান্ত ও বিচলিত। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা এমনি দ্রুত ও বিস্ময়কর গতিতে অগ্রসর হতে লাগলো যে, সে সব কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে ঘটে চললো একেকটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। প্রথমে তার চোখ ছানাবড়া হলো ঠিকই, কিন্তু এই বিজ্ঞানের সত্যকে অস্বীকার করাও আর সম্ভব হলো না তার পক্ষে। সৃষ্টি হলো মনোজগতের সংকট। সে এই পরিবর্তনকে স্বীকারও করতে পারলো না, পুরোপুরি অস্বীকারও করতে পারলো না। কারণ তার নিজের জীবনও এই বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত সত্য জগতের মধ্যেই আবর্তিত। এভাবেই তৈরি হয়েছে বর্তমান পৃথিবীর বিজ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর মানুষের মনোজগতের দ্বন্দ্ব ও সংকট।
মানুষের মনোজগতের এই সংকট আজ শুরু হয়নি। এই সংকট খুবই পুরানো। বলা যায়, প্রায় সব যুগেই মূল্যবোধের এই অবক্ষয় সেই যুগের মানুষকে ভাবিত করে তুলেছে। তারা উদ্বিগ্ন ও বিচলিত হয়েছে; মূল্যবোধের পরিবর্তনকে তারা আখ্যায়িত করেছে অবক্ষয় বলে। এ ঘটনা কিন্তু প্রায় সব যুগেই ঘটতে দেখা গেছে। মানুষের কাছে তার নিজের সময় সবচেয়ে ভালো সময়। এভাবেই মানুষ তার নিজের সময়কে দেখতে অভ্যস্ত। আসলে মানুষের জীবন কোনো সময়ই খুব বেশি ভালোও ছিলো না, খুব বেশি খারাপও ছিলো না। সব যুগ ও সব ভালো-মন্দ মিলেই মানুষের জীবন। কিন্তু মানুষ ভাবে মূল্যবোধের পরিবর্তন মানেই মূল্যবোধের অবক্ষয়। এই ভ্রান্ত ও আবেগগ্রস্ত চিন্তার ফলে মূল্যবোধ নিয়ে মানুষের এই আক্ষেপ ও হাহাকার। যুগে যুগে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন হওয়াই স্বাভাবিক। সেটা হওয়াই উচিত। মানুষ যদি আজ পাঁচশো বছর আগের সেই রীতি-নীতি ও মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে বসে থাকতো, যেসব মূল্যবোধ গড়ে উঠেছিলো সে সময়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে, তাহলে আজ অবস্থাটা কী হতো? কী হতো মানুষের এই সভ্যতার অবস্থা?
মানুষ যে ক্রমান্বয়ে আধুনিক হয়ে উঠেছে, যুক্তিবাদী, সংশয়প্রবণ, কৌতূহলী ও জিজ্ঞাসু হয়ে উঠেছে, এই অনুসন্ধানই তাকে আজ এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। বস্তুজগতের মধ্যে সে সন্ধান করেছে জীবনের রহস্য। মানুষ আজ আর কেবল রহস্যবাদী অলৌকিকত্বে বিশ্বাসী হয়ে তৃপ্ত থাকতে চায়না, সে জীবন রহস্যের সন্ধান করতে করতে বস্তুর রহস্যভেদ করেছে, আবিষ্কার করেছে অনেক অজ্ঞাত-সত্য। এই সত্যানুসন্ধানী মানুষ আজ মহাশূন্য পর্যন্ত তার করতলগত করেছে, সে পৌঁছেছে চাঁদে, মঙ্গলগ্রহে। পানি, স্থল ও অন্তরীক্ষের বহু রহস্যই আজ তার কাছে উন্মোচিত ও উদঘাটিত। এই মানুষের মূল্যবোধেরও পরিবর্তন ঘটবে, তার চিন্তাজগতেও যে অনেক রদবদল হবে এতে বিস্মিত বা বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আর এই পরিবর্তন ও রূপান্তরের সবকিছুকেই এক কথায় অবক্ষয় বলে খারিজ করারও কোনো অর্থ হয় না। জীবন যেমন পরিবর্তনশীল, মানুষের আচার-আচরণ, অভ্যাস, রুচি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধও তেমনি পরিবর্তনশীল। যুগের সঙ্গেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধেরও বিচার হয়ে থাকে। ¯েœহ, প্রীতি, বাৎসল্য, হৃদয়ানূভূতি এমনি যেসব শাশ্বত মানবিক গুণাবলীর কথা আমরা এতোদিন জেনে এসেছি আজ এমনকি তারও আবেদন সংকুচিত হচ্ছে কিনা কিংবা এসব মানবিক সম্পর্কের মধ্যেও চিড় ধরার উপক্রম হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কেও সম্ভবত আজ আর সঠিকভাবে কিছু বলতে পারে না।
এ কথা সত্য যে, সমাজের এই গভীর সংকট, তার সব সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া, এই অন্তঃসারশূন্যতা, দেউলিয়া হয়ে পড়া, মানবিক অনুভূতির এই দৈন্য বিবেকবান চিন্তাশীল ব্যক্তিদের উদ্বিগ্ন ও আতংকিত করে তুলছে। মানব সমাজের এই পরিণতি নিয়ে তারা হতাশ না হয়ে পারছে না। আসলে মানুষের সমাজ বিবর্তন একটি গভীর পর্যবেক্ষণের বিষয়। এই বিবর্তনের ধারায় মানুষের সমাজ ও সভ্যতা একুশ শতকের প্রথম ভাগে এমন এক স্তরে এসে পৌঁছেছে, যেখানে আগের অনেক কিছুই আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। আধুনিক মানুষ আজ এসে দাঁড়িয়েছে উত্তর-আধুনিকতার মুখোমুখি, যেখানে সে প্রায় নিরালম্ব, সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, স্মৃতিহীন, ঐতিহ্যবিমুক্ত। এই উত্তর-আধুনিক যুগের মানুষ সমস্ত প্রাচীন মূল্যবোধ ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় সম্পূর্ণ শূন্যতায় পৌঁছাতে চাচ্ছে, নিজেকে এভাবে সবকিছু থেকে মুক্ত করে শূন্যে স্থাপন করা-এও এক কঠিন কাজ। সামাজিক, পারিবারিক বন্ধন আজ তার কাছে অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। নারী-পুরুষ সম্পর্ক, সন্তান ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যে পারিবারিক ঐতিহ্যগত সম্পর্ক, বয়স্কদের প্রতি তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গী, সেই অবিচল শ্রদ্ধার আসনÑ এসবও আজ অনেকটাই এলামেলো ও ওলোটপালোট হয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে শিল্পোন্নত উন্মুক্ত সমাজে। আর তাই এসব অনেক কিছুই আজ অনেকের কাছেই ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
মানুষ পরিবারিক জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, সে হয়ে উঠছে অনেকটাই উন্মুখ। মনে হয়, এই সমস্যার আলোকেই মার্কিন সাময়িকীতে লেখা হয়েছে, There are daily Confrontations with almost everyone in, authority, Children against parents, mothers against matrimony, fathers against child support. এই সমস্যা আজ শিল্পোন্নত সমাজেই অধিক প্রকট। হয়তো এই মুহূর্তে একে মূল্যবোধের সংকট বলেই মনে হবে, উদ্বিগ্নও করে তুলবে প্রাচীন অভ্যাস মূল্যবোধে বিশ্বাসী অনেক মানুষকেই। একথাও সত্য, সমাজ বিবর্তনের ধারায় এ সবকিছুই হয়তো একদিন স্বাভাবিক বলেও মনে হবে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে তা-ই কিন্তু হয়। পুরাতন মূল্যবোধ ভেঙ্গে তৈরি হয় নতুন মূল্যবোধ। এভাবেই হয়তো নতুন সমাজ ও নতুন মানব সভ্যতাও গড়ে ওঠে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইউএনও কাবেরী, উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক
বাংলাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জমি দখল করে ছাদ ঢালাই
গুচ্ছ নয়, সঠিক সময়েই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা - জবি শিক্ষক সমিতি
২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান
নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি
রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত
স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন
১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন
মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ