পানির অপচয় ও দূষণ রুখতে হবে

Daily Inqilab ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

২২ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮ এএম

নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে-অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল, তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি, যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পানির অপর নাম জীবন। জীবন বাঁচাতে পানির কোনো বিকল্প নেই। এক চুমুক পানির জন্য জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত মানুষ। এ প্রতিযোগিতা এখন বর্তমান বিশ্বের দৈনন্দিন দৃশ্য। পানি সমস্যার সমাধান কল্পে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় এবং ১৯৯৩ সালের ২২ মার্চ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়। এর পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি এই দিনটিকে নিজ নিজ রাষ্ট্রসীমার মধ্যে জাতিসংঘের পানিসম্পদ সংক্রান্ত সুপারিশ ও উন্নয়নপ্রস্তাবগুলির প্রতি মনোনিবেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করে। আর আমাদের জীবনযাত্রার ন্যূনতম মান নির্ধারণ করতে গেলে পানির অধিকারকে অন্যতম মৌলিক পূর্বশর্ত হিসেবে মানতে হবে। বেঁচে থাকার জন্য এটিকে একটি মৌলিক পূর্বাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালে বিশ্বে পানির চাহিদা বাড়বে ৪০ শতাংশ। এখন যে পরিমাণ পানি আছে, তাতেই আমাদের প্রচ- হাহাকার। ফলে নতুন করে বিশুদ্ধ পানি কোথা থেকে আসবে, তা কেউ জানে না। বিদ্যমান পানির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার আর পানির অপচয় রোধ করেই আমাদের এগোতে হবে। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোয় ৯০ শতাংশের বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ভূ-উপরস্থ পানিতে ফেলা হয়। এর অর্থ আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি শিল্পবর্জ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শহর এলাকায় অর্ধেকের বেশি মানুষ বস্তিতে বসবাস করবে, যেখানে বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থাকবে না। বিশ্বের ৮৮৪ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ খাওয়ার পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন লোক বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানির অধিকার এবং পানির কথা আমরা বলি। এখানে সাম্য প্রতিষ্ঠা একটি বড় ব্যাপার, যা বাংলাদেশ এবং বিশ্ব বাস্তবতায় একইভাবে প্রযোজ্য। বলা হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে একজন দরিদ্র নাগরিককে প্রতি লিটার পানির জন্য অবস্থাসম্পন্নদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। এটি বৈশ্বিক পরিসংখ্যান। বলা হচ্ছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন গ্যালন পানির অপচয় হয়।

আমরা নদ-নদীর ওপর নির্ভরশীল। ভূগর্ভস্থ পানি চোখে দেখা যায় না বলে পানি বললেই মানুষ সাধারণত নদ-নদীর পানিকে বোঝে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির ওপর আমাদের অনেক বেশি নির্ভরতা। পানি রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা সুরক্ষার কথা বলতে গেলে সবাই শুধু নদী রক্ষার কথা বলে। দৃশ্যমান হওয়ায় নদীর পানির বিষয়টি দ্রুত আমাদের সামনে আসে সত্য। কিন্তু কৃষি, সুপেয় পানি ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর আমাদের নির্ভরতা অনেক। অথচ ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণে আমরা একেবারেই মনোযোগী নই। এগুলো সংরক্ষণে নাগরিক আন্দোলনের অভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক নদী বিশ্বের ৬০ শতাংশ মিঠা পানির চাহিদা পূরণ করে। ১৪৫টি আন্তর্জাতিক নদীর ওপর বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। বিশ্বের জলরাশির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফসল উৎপাদনে, শিল্প-কারখানায় এবং পানীয় জল হিসেবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও আমরা পানি ব্যবহার করি।

এবার বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে আসি। শুধু ঢাকাতেই ওয়াসার গভীর নলকূপ আছে এক হাজার। আর বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে সাত হাজার। প্রতি বছর তিন মিটার করে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। খরায় আক্রান্ত ভূমির পরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ হেক্টর। ঢাকায় প্রতিদিন পানির চাহিদা প্রায় ২৫০ কোটি লিটার এবং এটি বাড়ছে। ঢাকার সঙ্গে পাহাড়ি এলাকা বা উপকূলীয় অঞ্চলের তুলনা করলে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকায় একজন মানুষকে পানি সংগ্রহের জন্য গড়ে ২ ঘণ্টা হাঁটতে হয়। আর মোট আয়ের ২৫-৩০ শতাংশ খরচ হয় শুধু পানির জন্য। তার পরও উপকূলীয় এলাকার ২৩ শতাংশ মানুষ লবণাক্ত ও অনিরাপদ পানি পান করে। জাতিসংঘের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ৭৪ শতাংশ পানি সংগ্রহের কাজ নারীরা করেন। ৬৩ শতাংশ মানুষের খাওয়ার পানি পেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ৭৫ শতাংশ মানুষ হ্যান্ড টিউবওয়েলের ওপর নির্ভর করে, যদিও অনেক এলাকায় সেগুলো থেকে ঠিকমতো পানি মিলছে না। প্রায় ৪১টি জেলায় আর্সেনিকের প্রভাব রয়েছে। আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পয়োবর্জ্য দিয়ে দূষিত পানি পান করে ৪১ শতাংশ জনগোষ্ঠী। কেবল ৩৪ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পায়। ১ কোটি ৯৪ লাখ মানুষ আর্সেনিক দূষিত পানির মুখোমুখি। বাংলাদেশের বাস্তবতায় পানি একটা সাম্যের বিষয়। খুব রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও দেখা যায়, উপকূলের মানুষ পানি পেতে ঢাকার মানুষের চেয়ে চার গুণ বেশি খরচ করে। ৭০ শতাংশ বস্তিবাসীর পানি পাওয়ার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। একজন নগরবাসী হিসেবে ১৪০ লিটার পানি পেলেও সেই অনুপাতে একজন বস্তিবাসী পায় ২০ লিটার পানি। সরকার পানির জন্য যত অর্থ ব্যয় করে, তার ৮০ শতাংশই খরচ করে শহরের মানুষের জন্য। মাত্র ২০ শতাংশ খরচ করে গ্রামের মানুষের জন্য। কৃষি খাতে পানি বেশি অপচয় হয়। বাংলাদেশে পানি প্রাপ্যতার আরেকটি উদীয়মান সমস্যা জলবায়ু পরির্তনের চ্যালেঞ্জ ও প্লাস্টিক দূষণ। সমুদ্রের আগ্রাসনের জন্য আমাদের সুপেয় পানির অনেক আধারই লবণাক্ত হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এটি আরো বাড়বে। আমাদের জলাশয়গুলোয় প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে। কেউ বলছে, বাংলাদেশে নদ-নদীর সংখ্যা ৭৭০। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ৪০৫টি। নদনদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ খুবই জরুরি।

দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপেয় পানির বড় সংকট তৈরি হচ্ছে। এশিয়া প্যাসিফিকের নদীর পানির মধ্যে বাংলাদেশের নদীর পানি সবচেয়ে বেশি দূষিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এর মধ্যে ২৯টি নদী মারাত্মকভাবে দূষণের শিকার। তাছাড়া বাংলাদেশে জলাভূমি হারানোর হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আমাদের সংবিধানে জলাশয় রক্ষাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষার কথা রয়েছে। জীবনের অধিকার পানি অধিকারের সমার্থক। পানি ও সুস্থ বাতাসের অধিকার না থাকলে জীবনের অধিকার অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। পানি সরবরাহের জন্য শহর এলাকায় ওয়াসা আছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো। পানি নিয়ে কায়কারবার করে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকা বেশ দীর্ঘ। নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে উচ্চ আদালতে রায় হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে নদ-নদী ও জলাশয়ের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করতে হবে। ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে এ রায়ে। তার পরও নদী দখল থেমে নেই। দখলের কারণে মেঘনা থেকে ঢাকা শহরে পানি আনার প্রকল্প থেকে দাতা সংস্থা অর্থ প্রত্যাহার করছে। মেঘনায় দখলদারদের উচ্ছেদে সরকারের দৃশ্যত উদ্যোগ নেই। উপকূলীয় এলাকা, দক্ষিণাঞ্চল ও বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সংকট প্রকট। এ তিন অঞ্চলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক বনায়ন করার কারণে সব ঝরনা শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব প্লান্টেশনের একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সমীক্ষা করে এগুলো বন্ধ করে সেখানে প্রাকৃতিক বনায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য এলাকার নদীগুলো থেকে বালি ও পাথর উত্তোলনে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো নদীর পানি ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। উপকূলীয় এলাকার জন্য অবশ্যই বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথা ভাবতে হবে। গোটা দেশের পানি প্রাপ্যতা ম্যাপিং করে সেই তথ্যগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। নইলে মানুষ সচেতন হবে না। ডিপ টিউবওয়েল নিরুৎসাহিত করতে হবে। জলাধারের ব্যবস্থা করতে হবে।

মারাত্মক দূষণের শিকার ২৯টি নদীকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষণা করতে হবে। দূষণকারী ও দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এখন পর্যন্ত একটি নদীও সরকার পূর্ণ দখলমুক্ত করতে পারেনি। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ করতে হবে, প্রয়োজনে প্রণোদনা দিয়ে হলেও নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। নদী দূষণ ও দখলের শিকার হলে কীভাবে প্রাণবৈচিত্র্য হারিয়ে যায়, তার একটা মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি। জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। দূষণ ও দখল বন্ধে সোচ্চার হতে হবে। পানি ব্যবহারে রেশনিং করতে হবে।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গাজীপুরের দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

গাজীপুরের দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে

৭ মাসে গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে

৭ মাসে গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনের পটুয়াখালীতে দাফন সম্পন্ন

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনের পটুয়াখালীতে দাফন সম্পন্ন

আচমকাই খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, পাকিস্তানে নিহত ২০

আচমকাই খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, পাকিস্তানে নিহত ২০

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বাংলাদেশি ছাত্রী

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বাংলাদেশি ছাত্রী

ভারতকে ‘অপমান’ বাইডেনের, যা বলল হোয়াইট হাউজ

ভারতকে ‘অপমান’ বাইডেনের, যা বলল হোয়াইট হাউজ

নিয়মভঙ্গের অভিযোগে আদানির ৬ সংস্থাকে শোকজ নোটিস

নিয়মভঙ্গের অভিযোগে আদানির ৬ সংস্থাকে শোকজ নোটিস

কষ্টের ‘স্মৃতি’ ভুলে রায়বরেলিতে রাহুল, আমেঠিতে নতুন মুখ কংগ্রেসের

কষ্টের ‘স্মৃতি’ ভুলে রায়বরেলিতে রাহুল, আমেঠিতে নতুন মুখ কংগ্রেসের

পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মীয় মেরুকরণ উস্কে দেয়ার চেষ্টা মোদির

পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মীয় মেরুকরণ উস্কে দেয়ার চেষ্টা মোদির

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে বিএনপি'র লিফলেট বিতরণ

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে বিএনপি'র লিফলেট বিতরণ

দুই ভারতীয় গুপ্তচরকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে যা জানাল অস্ট্রেলিয়া

দুই ভারতীয় গুপ্তচরকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে যা জানাল অস্ট্রেলিয়া

শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাইডেন

শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাইডেন

লন্ডনের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক জয়ের পথে সাদিক খান

লন্ডনের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক জয়ের পথে সাদিক খান

গাজীপুরে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষঃ চালকসহ আহত ৪

গাজীপুরে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষঃ চালকসহ আহত ৪

পশ্চিম তীরে দুই শিশুকে হত্যা, সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইল

পশ্চিম তীরে দুই শিশুকে হত্যা, সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইল

মুক্তি পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

মুক্তি পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য