ঢাকা   মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থাপনা যাত্রীবান্ধব হতে হবে

Daily Inqilab ড. অজয় কান্তি মন্ডল

১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম

ঈদের ছুটিতে সচরাচার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। কর্মস্থল বন্ধ থাকলেও ছুটির আগে ও পরে পরিবহন সঙ্কট, যাত্রাপথের ভোগান্তি, যানজটের হয়রানি এবং সর্বোপরি পরিবহনের বাড়তি ভাড়া দাবির জন্য ঈদের বন্ধে ঢাকার বাইরে যাওয়া একরকমের যুদ্ধ করা বলে নিজের কাছে মনে হয়। তারপরেও এবারের ছুটিতে যেতেই হয়েছিল। কেননা বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান ছিল। ঈদের সময়ে টিকিটের সঙ্কট চিরকাল আছে এবং থাকবে। তাই ছুটির এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে অনলাইনে বাসের টিকিট কেনার চেষ্টা করলাম। আমার স্ত্রী, কন্যা ও বাবাসহ মোট ৪টি টিকিট কেনা দরকার ছিল। গন্তব্য ছিল পদ্মাসেতু হয়ে সাতক্ষীরা। বাসে উঠতে হবে গুলিস্তান বাস কাউন্টার থেকে। গুলিস্তান থেকে বাসা অবশ্য খুব বেশি দূরে নয়। দশ টাকা বাস ভাড়া দিয়েই সহজে যাওয়া যায়। কিন্তু যানজটের একটা বিষয় ছিল। আবার আলাদা করে সময় বের করার মতো ব্যাপার তো আছেই। এসব দৃষ্টিকোণ থেকে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করার কথা চিন্তা করলাম।

অনলাইনে সার্চ দিয়ে কাক্সিক্ষত পরিবহনের টিকিট পেয়ে গেলাম। কিন্তু সমস্যা বাঁধল এই অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে। অন্য সময়ে টিকিট ৭৫০ টাকা থাকলেও অনলাইনে টিকিটের মূল্য দেখাচ্ছে ৮০০ টাকা। ভাবলাম হয়ত ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ৫০ টাকা যোগ করা হয়েছে। মাত্র তো ৫০ টাকা, তাই বিষয়টাকে ততটা গুরুত্ব দিলাম না। টিকিট সিলেক্ট করে পরবর্তী স্টেপে গেলাম। পেমেন্ট অপশনে যেতেই প্রতি টিকিটের জন্য বাড়তি ১০০ টাকা করে যোগ হলো। অর্থাৎ ৪টি টিকিট অনলাইনে কাটতে গেলে আমার টিকিটের মূল্য বাবদ ৩২০০ টাকার সাথে অনলাইন চার্জ ৪০০ টাকা যোগ হয়ে সর্বমোট ৩৬০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। টিকিট প্রতি এই বাড়তি ১০০ টাকা অনলাইনের প্রসেসিং চার্জ। এখন যদি আমি অনলাইনে ১০টি টিকিট ক্রয় করি তাহলে বাড়তি ১০০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ দিতে হবে। বিষয়টি আমাকে বেশ অবাক করল।

কিছুদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে ভ্যাট ও প্রসেসিং চার্জ মিলিয়ে প্রায় ১০০ টাকা বাড়তি দিতে হয়েছিল। এখানে প্রসেসিং চার্জ কেন একজন যাত্রীকে বহন করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। টিকিট প্রতি প্রসেসিং চার্জের নামে যে বাড়তি ১০০ টাকা, এটার পরিমাণই বা এত বেশি হবে কেন? একই ট্রাঞ্জেকশানে যদি ৩ বা ৪টি টিকিট ক্রয় করা হয় তাহলে প্রত্যেক টিকিটের জন্য আলাদা আলাদা পরিমাণ প্রসেসিং চার্জ কেন যোগ হবে? এসব নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। বাংলাদেশ রেলওয়ে, পরিবহন মালিক কিংবা লঞ্চ মালিক যখন কোনো কোম্পানিকে অনলাইনে টিকিট মেইন্টেনেন্সের দায়িত্ব দেয় তখন তাদের বিষয়গুলো অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত। একই ট্রানজেকশনে একের অধিক টিকিট ক্রয় করলে প্রসেসিং চার্জ বাবাদ যে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে, সেটা শুধুমাত্র একটি টিকিটের সমপরিমাণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা, এখানে অনলাইনে একটি টিকিট ক্রয় করতে যে কাজ ৪টি টিকিট ক্রয় করতেও একই কাজ করতে হচ্ছে।

একই সাথে প্রশ্ন থেকে যায়, প্রসেসিং চার্জের নামে যে মাত্রারিক্ত অর্থ যোগ করা হচ্ছে সেটা কি কোনো নিয়ম মেনেই করা হয়েছে, নাকি কোম্পানি ইচ্ছামত বাড়তি অর্থ যোগ করছে? নাকি যেহেতু প্রসেসিং চার্জ যাত্রীদের উপর চাপানো বিধায় এটা কম না বেশি সে বিষয়ে পরিবহন মালিকের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই? যে সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে পরিবহন মালিকগুলো চুক্তিবদ্ধ, তারা কি সামান্য এইটুকু কাজের জন্য ১০০ টাকা দাবি করতে পারে? বিষয়গুলো অবশ্যই পরিবহন মালিকের সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। পরিবহন মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ যেকেউ অনলাইনে টিকিট বিক্রির অপশন রাখতে পারে। জনগণ তথা যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থাটুকু যেকোন পরিবহন মালিকের করা বাঞ্ছনীয়। এতে করে জনগণের তথা যাত্রীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক সমিতিরও বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন, পরিবহন মালিক সমিতির কাউন্টারগুলোতে বাড়তি লোক বসিয়ে টিকিট বিক্রির ঝামেলা খুব একটা থাকবে না। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিকের ঐসব লোকের বাড়তি বেতন বাবদ যে ব্যয়, সেটা বহন করা লাগবে না। তদুপুরি জনগণ স্বাচ্ছন্দে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবে। কালোবাজারি বা দুই নাম্বারি একেবারে থাকবে না বললেই চলে। সর্বোপরি প্রযুক্তিনির্ভর যুগে অনলাইনে টিকিট বিক্রি একটি সর্বাপেক্ষা স্মার্ট পদ্ধতি।

এই বিষয়ে আমার চীনে থাকার সামান্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। চীনের সকল পরিবহনের টিকিটের আগাম বুকিং অনলাইনে করার ব্যবস্থা আছে। ফাস্ট ট্রেন তথা বুলেট ট্রেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বুলেট ট্রেনের প্রায় শতভাগ টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হয়। দূরপাল্লার কোনো স্থানে যাত্রার মাসখানিক পূর্ব হতে অনলাইনে টিকিট কিনতাম। অনলাইনে বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকিট কেনার অপশন থাকত। সবকয়টি সোর্সই ছিল অথেনটিক। তবে জনগণ সবচাইতে বেশি ব্যবহার করত তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইচ্যাট। প্রায় ক্ষেত্রেই অনলাইনে টিকিট কেনার সময় বেশ ডিস্কাউন্ট পেতাম। এরপর নির্ধারিত যাত্রার পূর্বের দিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পূর্বে মোবাইলে একবার রিমাইন্ডার মেসেজ পাঠাত। ট্রেন বা বিমানের টিকিট অনলাইনে কাটার পরে এমন ঘটনা চীনাদের খুবই কমন। তবে প্রসেসিং চার্জ টিকিটের ভিতর থাকত কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেনার চেয়ে অনলাইনে টিকিট কেনা বেশ সাশ্রয়ী ছিল। সেকারণে জনগণ এই সহজ অপশনটি সর্বদাই বেছে নিত।

কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ১০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ দিয়ে টিকিট কিনলেও, কেনার সময় একটা নিশ্চিতকরণ মেসেজ আসে। আবার অনেক সময় সেটিও আসে না। নেটওয়ার্কের সমস্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কোম্পানির দায় শেষ। তবে এখানে মজার একটি বিষয় আছে। অধিকাংশ পরিবহনে অফলাইন বা ম্যানুয়ালি টিকিট বুকিং বা টিকিট ক্রয় কিন্তু অনলাইনের ঐ একই কোম্পানির মাধ্যমে হয়ে থাকে। যে কোম্পানি কাউন্টার ব্যতীত অনলাইনে টিকিট কাটতে গেলে ১০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ নেয়। এখানে একটা বিষয় আমার কৌতূহল আছে। একই কোম্পানি যখন একজন যাত্রী নিজে থেকে অনলাইনে প্রবেশ করে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে যাচ্ছে তখন ১০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ নিচ্ছে। কিন্তু যখন পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ টিকিট করে দিচ্ছে তখন প্রসেসিং চার্জ বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা হতে প্রমাণিত হয় যে, মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কোম্পানির হয়ত সেভাবে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু চুক্তিটি যদি প্রসেসিং চার্জ যাত্রীর উপর না চাপিয়ে মালিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভিতর রাখত তাহলে যাত্রীরা অধিকতর খুশি হতো। কিংবা প্রসেসিং চার্জের পরিমাণ মাত্রারিক্ত না করে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে পারত। এসব বিষয় বুঝিয়ে দেয় যে, যেহেতু যাত্রীরা এই প্রসেসিং চার্জ বহন করবে সেহেতু মালিক কর্তৃপক্ষের এটা নিয়ে হয়ত কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

বিশ্বব্যাপী রেল ভ্রমণ মানুষের কাছে অধিকতর পছন্দের। নির্দিষ্ট সময়ে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য রেলের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আমাদের দেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় তেমন কোনো উন্নতি লক্ষ করা যায় না। দুর্নীতি, কালোবাজারি, অনিয়ম, সিন্ডিকেট রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একেবারে উঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না বলে প্রতীয়মান হয়। সিন্ডিকেট এবং কালোবাজারির দৌরাত্ম্যে টিকিট বিড়ম্বনা বরাবরই লক্ষ করা যায়। ঈদ এলে বিষয়গুলো আরও বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। গেল জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে সারাদেশে রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ একটি গ্রুপকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রেলের টিকিট কালোবাজারি করতো। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চক্রটি প্রথমত রেলের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করত। এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো। পরে সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব টিকিট দেড় থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করত।

র‌্যাব জানায়, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কাটার সময় জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা প্রতিটি পরিচয় পত্র দিয়ে ৪টি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করত। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় ৫ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করত। এছাড়াও রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী ও টিকিট বিক্রির অনলাইন কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং সার্ভার রুম ও আইটি সদস্যদের সহযোগিতায় জনসাধারণের সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যবহার করে সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করত।

র‌্যাবের তথ্যমতে, ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করে। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ আসামিদের এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনলাইনে টিকিট বিক্রির কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো। কালোবাজারির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছে। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও তারা টিকিট কালোবাজারির কার্যক্রমে লিপ্ত হয়। অনলাইনের আওতায় এনেও টিকিট কালোবাজারি রুখতে এখনো রেলস্টেশনে পুলিশ এবং র‌্যাবের টহল দিতে হচ্ছে। অপরাধীরা অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো সত্যিই অবাক করার মতই।

প্রতি বছর রেলে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। অবকাঠামো সুবিধা বাড়ছে কিন্তু রেলের সার্ভিস কোয়ালিটি বাড়ানোর দিকে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মনোযোগ কম। এখানে রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় লিপ্ত। শর্ষের মধ্যের ভূত তাড়ানো না হলে রেলের কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য যেমন কমবে না, তেমনি জনপ্রিয় সেবাটিকে লাভজনকও করা কঠিন হবে। কর্তৃপক্ষের অবশ্যই এ দিকটায় নজর দিতে হবে।

সরকার এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পরবর্তী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। সেখানে জনগণ সকল সুবিধা পাবে স্মার্ট পদ্ধতিতে। সেখানে অর্থের লেনদেন থেকে শুরু করে সকল সেবা হবে স্মার্ট। স্মার্ট দেশের মূল লক্ষ্য যদি এগুলো হয় তাহলে বাস, রেল, লঞ্চ, বিমানসহ সকল পরিবহনের টিকিট চেকিং, বুকিং এবং ক্রয় থেকে শুরু করে যাবতীয় সুবিধা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। পরিবহনের টিকিট ব্যবস্থাপনা যাতে যাত্রীবান্ধব হয় সেদিকে নীতি নির্ধারকদের সুনজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। পরিবহনের টিকিট বিড়ম্বনা তথা টিকিট কালোবাজারি, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রির অপশন থাকতে হবে, যেখানে জনগণ অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই নামে মাত্র প্রসেসিং চার্জ দিয়ে সহজেই ঘরে বসে টিকিট ক্রয় করতে পারে। সর্বোপরি শতভাগ টিকিট অনলাইনে ক্রয় করতে পারলে টিকিটের কালোবাজারি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা লাগত না। র‌্যাব বা পুলিশের টহল দেওয়া লাগত না। জনগণের অযথা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হওয়া লাগত না। ক্যাশ টাকা লেনদেনের পরিমাণ অনেকাংশে কমে এসে অনলাইনে অর্থের লেনদেনের পরিসর বাড়বে। কিন্তু আমরা সর্বদাই এগুলো পছন্দ করি। পছন্দ করি বলেই সহজ পন্থা বাদ দিয়ে সেই মান্ধাতার আমলের নিয়ম-নীতিতে এখনো অভ্যস্ত। নীতি নির্ধারকদের বিষয়গুলো নিয়ে আরও ভাবতে হবে। জনগণের যাতে সুবিধা পায় হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ হিটস্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ হিটস্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু

চকরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি জাফরের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ আহত

চকরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি জাফরের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ আহত

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে লন্ডনে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে লন্ডনে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে অচেনা রিকেলটন ও বার্টমান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে অচেনা রিকেলটন ও বার্টমান

মীরসরাইয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

মীরসরাইয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

মাগুরায় হত্যা মামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ!

মাগুরায় হত্যা মামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ!

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার জোরালো ভূমিকার ওপর মুখ্য সচিবের গুরুত্বারোপ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার জোরালো ভূমিকার ওপর মুখ্য সচিবের গুরুত্বারোপ

কুবি উপাচার্য একটি আমদানিকৃত পঁচা মাল: মানববন্ধনে কুবি শিক্ষক

কুবি উপাচার্য একটি আমদানিকৃত পঁচা মাল: মানববন্ধনে কুবি শিক্ষক

শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এর ৩৯০তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এর ৩৯০তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে আর্চার

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে আর্চার

৬৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

৬৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

ভারতের বিশ্বকাপ দলে পান্ত, দুবে, স্যামসন, রাহুল বাদ

ভারতের বিশ্বকাপ দলে পান্ত, দুবে, স্যামসন, রাহুল বাদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

আগামীকাল কেন্দ্রীয় বিএনপির, ৫ সদস্যের একটি টিম মধুখালি চোপরঘাট নিহত দুই সহোদরের বাড়ী আসছেন।

আগামীকাল কেন্দ্রীয় বিএনপির, ৫ সদস্যের একটি টিম মধুখালি চোপরঘাট নিহত দুই সহোদরের বাড়ী আসছেন।

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু

প্রিমিয়ার লিগে ফিরল লেস্টার

প্রিমিয়ার লিগে ফিরল লেস্টার

স্বর্ণ কিনতে ছুটছে চীনের তরুণরা

স্বর্ণ কিনতে ছুটছে চীনের তরুণরা

রাশিয়া-চীন সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে

রাশিয়া-চীন সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে

সউদির আগ্রহের পরও সালাহর ব্যাপারে আশাবাদী লিভারপুল

সউদির আগ্রহের পরও সালাহর ব্যাপারে আশাবাদী লিভারপুল

যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি, তিন দশকে সর্বোচ্চ

যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি, তিন দশকে সর্বোচ্চ