বিভেদ-বিভাজনের ফাঁদে মুসলিমবিশ্ব
২৬ মে ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ১২:১০ এএম
মুসলিমবিশ্ব থেকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিকতা শুরু হয় ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর। তার আগে নয়। মুসলিম দেশগুলোকে বিভিন্ন রীতিনীতি এবং চুক্তিতে বেঁধে ফেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করবার পরই সেখান থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ তুলে নেওয়া আরম্ভ হয়। কালের বিবর্তনে সাম্রাজ্যের পোক্ততা এবং ক্ষমতার বিশালতার সংজ্ঞা বদলে গেছে। কোনো দেশ ও জাতি এখন আর কোনো ভূখ- কিম্বা জনপদের বিস্তৃতির মাধ্যমে দুনিয়ার উপর প্রভাবক হতে পারে না। বরং এখন অধিক ক্ষমতাধার তারাই, যাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল, যারা শিক্ষা, সমরাস্ত্র, শিল্প-কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কর্তৃত্ববান। এ কারণে কেবল ভূখ-ের বিস্তৃতিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আর কোন আগ্রহ নেই। ঘটনা এই, প্রাচ্যের সম্পদের ‘বানর-বণ্টনের’ পরিসমাপ্তিতে শেষমেষ চোরদের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পুঁজির একটি বড় অংশ শেষ হয়ে যায় এই যুদ্ধে। তারপরে এই দেশগুলো নিজেদের ব্যয় সংকুচিত করে আনতে একপ্রকার বাধ্য হয়ে পড়ে। এদিকে তখন ইসলামী দেশগুলোতে আজাদী আন্দোলনও উদ্দামের সাথে শুরু হয়েছে। তখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উপলব্ধি হয় যে, ইসলামী বিশ্বকে ভিন্ন ভিন্ন ভূখ-ে ভাগ করে দিয়ে নিজেদের প্রত্যাবর্তনে আর বিলম্ব করা ঠিক হবে না। এই কারণে যুদ্ধের পরপরই একের পর এক মুসলিম দেশ রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করতে থাকে। স্বাধীনতা দেয়া সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলিম দুনিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সাধারণ্যের মানসিকতা, ভবিষ্যতে সেখানে প্রাপ্ত সম্পদ এবং সবধরনের উৎপাদিত পণ্যে নিজেদের অধিকার ধরে রাখবার চিন্তা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করেনি। ইসলামী বিশ্বে স্বাধীনতা আসে এভাবে, আগে যেখানে একটি রাষ্ট্র ছিল, এখন তা একাধিক ছোট্ট ছোট্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কিছু জনপদ যেখানে ঔপনিবেশিক শাসনের পূর্বে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, বছরের পর বছর সেখানে খৃষ্টবাদ-এর প্রচার এবং প্রসার এবং নতুন সীমানা নির্ধারণের ফলে তা অমুসলিম প্রধান অঞ্চল হয়ে ওঠে; ফিলিপাইন যার জলন্ত দৃষ্টান্ত। সীমান্তের বণ্টনে অভাবনীয় প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। ভারত উপমহাদেশে পাকিস্তানের সাথে যা করা হয় তা স্পষ্টই অনাচার। কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়। দাক্ষিণাত্যের হায়দ্রাবাদ এবং জুনাগড় ভারতের অধীনে চলে যায়। ডুরান্ড লাইন অপরিবর্তনীয় রেখে পাখতুনবাসীকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়েছে কেবল নয়; বরং আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে চিরস্থায়ী শত্রুতার বীজ বপন করে রাখা হয়। বেলুচিস্তানকে ভাগ করে দেয়া হয় আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে। মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় এবং ফিলিস্তিনের ভূখ-ে ভিত্তি স্থাপন করা হয় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের। আফ্রিকায় অকল্পনীয় আকারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এই সীমানা নির্ধারণ যে কতটা অবাস্তব ভিত্তিতে করা হয়েছে মানচিত্রে দৃশ্যমান লম্বমান রেখা থেকেই তা প্রতিয়মান করা সম্ভব।
এই পর্যায়ে এসে আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন হাজির হয়, যখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগমন ঘটেছিলো তখন মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবস্থা কীরূপ ছিল আর প্রত্যাবর্তনের সময় বা কেমন ছিল? সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যখন বণিকবেশে মুসলিম দুনিয়ায় আগমন করে, মুসলিমবিশ্ব তখন রাজনৈতিক ও অর্থনীতিক উভয় দিক দিয়ে সম্পূর্ণ স্থিতিশীল ছিল। রাজনৈতিক শক্তিমাত্রার প্রমাণ হিসাবে বলা যেতে পারে পূর্ব থেকে নিয়ে পশ্চিম পর্যন্ত মুসলমানদের বড়-বড় সাম্রাজ্য তখন বিদ্যমান। মরক্কো থেকে দাজলার তীর পর্যন্ত এবং ইয়ামেন থেকে বলকান পর্যন্ত ওসমানী খেলাফতের পতাকাই সমুন্নত ছিলো। আলজেরিয়া, লিবিয়া, তিউনিস, মিশর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ফিলিস্তিন, আরব উপদ্বীপ, ইরাক এবং এশিয়ামাইনর ছিল তারই অংশ। ইউরোপের বহু দেশ গ্রীস, মাকদুনীয়া, রোমানিয়া, আলবেনিয়া, বলকান, বসনিয়া, কসোভো এবং বুলগেরিয়ার আকাশেও তুরস্কের পতাকা তখন পতপত করে উড্ডীন ছিল। পাকিস্তান, ভারত, কাশ্মীর, নেপাল, বাংলা এবং বার্মা একসাথে তখন মুঘল সাম্রাজ্যের অধীন। আফগানিস্তানের ভূখ- আমুদরিয়া থেকে শুরু করে সিন্ধু এবং হাবনদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠা ছিল আবদালিদের নিয়ন্ত্রণ। মধ্য এশিয়ায় বোখারা, সমরকন্দ, উজবেকিস্তান, দাগিস্তান এবং কাজাকিস্তান স্বাধীন সার্বভৌম সুখী সমৃদ্ধ উজবেক আমিরদের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত ছিল। অর্থনীতির কথা বলতে গেলে বলতে হয় মুসলিম বিশ্বের সমৃদ্ধি দেখে ইউরোপ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়তো। মুসলিম বিশ্বের সম্পদ ও প্রাচুর্য দেখেই তো ইউরোপ তার উপর হামলে পড়ে। উপমহাদেশ, যা আজকাল দুনিয়ায় কেবল একটি ফসলি ভূখ- হিসেবে পরিচিত, তৎকালে ছিল পৃথিবীর সবচাইতে বৃহৎ শিল্পাঞ্চল। তার তুলনামূলক কম সমৃদ্ধ অঞ্চল সিন্ধুর শিল্পোন্নয়নের চিত্র ছিল এই, ইউরোপের রাজরাজড়াগণ এখানকার উৎপাদিত ‘কাপড়’ গর্বের সাথে পরিধান করতো। থাট্টার তৈরীকৃত পালঙ্কের চাদর ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির রাজারা তাদের আভিজাত্য প্রকাশের জন্য ব্যবহার করতেন। হিন্দুস্তানের ‘চিকেন’ এবং ‘মখমলকে’ গণ্য করা হতো অত্যন্ত দামী ও মূল্যবান উপহার হিসাবে। লন্ডনের রানী ও শাহাজাদী ‘ঢাকাই মসলিনের’ জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিতেও রাজি ছিলো। মসলিনের সম্পূর্ণ একথান কাপড় একটি আংটির মধ্যে এঁটে যেতো। সমস্ত হিন্দুস্থানের স্থানে স্থানে মক্তব এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত ছিলো। শিক্ষিতের হার ছিল ৭০ শতাংশের বেশি। কিন্তু ইংরেজ যখন উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায় তখন এই ভূখ-ের অবস্থা কেমন ছিল, স্বয়ং ইংরেজদের ভাষাতেই শুনুন। ইংরেজ ঐতিহাসিক ম্যাকডোনাল্ড এর ভাষ্য, ‘হিন্দুস্থান নিঃস্ব দারিদ্র্যের জনপদ হয়ে পড়ে থাকে’। আমেরিকান ট্যুরিস্ট জেমস মেডস, হিন্দুস্তান সফরকালে দেখেন, ‘ইংরেজ শাসকেরা কলকাতার রেসের জন্য ঘোড়ার এন্তেজামে মশগুল। আর শহরের বুকে অসংখ্য মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণায় প্রাণ হারাচ্ছে’। কেবল বাংলা অঞ্চলেই দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা ১৮ লাখে দাঁড়ায়। সারা দুনিয়ায় কাপড় সরবরাহকারী বাংলার জীবিত মানুষের পরিধানের জন্য এবং মৃতের কাফনের জন্য কাপড় পাওয়া যাচ্ছিল না।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলিম বিশ্বকে টুকরো টুকরো করে ফিরে চলে গেলেও মুসলিম বিশ্ব নিয়ে তাদের চক্রান্তের সমাপ্তি টানেনি। বরং ফিরে যাবার পূর্বে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে যায়, যার ফলে মুসলমানদের মধ্যকার অরাজকতা ও বিশৃংখলা অব্যাহত থাকে, বিভেদ-বিসংবাদের পথ থেকে তারা বেরোতে না পারে। ইসলামী বিশ্বে নৈরাজ্য জারি রাখবার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দুইটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে: এক. মুসলমানদের স্বতন্ত্র কোন কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ানো। দুই. আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যকার বিরোধ যথাসম্ভব কমিয়ে আনা। মোটকথা, সাম্রাজ্যবাদী যেই দস্যু দীর্ঘ তিন শতক ধরে ইসলামী বিশ্বে বিভিন্নভাবে লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো, এবারে লুণ্ঠনের সেই কাজটি তারা করে যেতে চাচ্ছিলো একটি সংস্থার আদলে, একটি সংগঠনের ছায়ায় থেকে, যাতে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতন ট্রাজেডির আর সৃষ্টি না হয়। জাতিসংঘের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী লুটেরারা প্রথমবার একসাথে বসলো এবং সিদ্ধান্ত নিলো, আপসে, কোন প্রকারের লড়াই-সংঘাত ব্যতিরেকেই সবাই মিলেমিশে লুটতারাজ চালিয়ে যাব। এই সংস্থার যেই সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা প্রচার করা হয়, সংস্থার কার্যক্রম তাকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে। সংস্থাটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃত ক্ষমতা পাঁচটি বুড় দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনের হাতে, যাদের বলা হয়ে থাকে পিস কাউন্সিলের স্বতন্ত্র সদস্য, যাদের হাতে রয়েছে ভেটো (আমি এটা মানি না) প্রদানের মত ক্ষমতা। আর তার জোরেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইসলামী বিশ্বের সমস্যাগুলোকে নিষ্পত্তির অযোগ্য করে রেখেছে। ইসলামী বিশ্বের পারস্পরিক বিরোধ ও ভুল বোঝাবুঝি, গৃহযুদ্ধ এবং অন্যান্য যন্ত্রণার উৎসও এই সংস্থার অযৌক্তিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত।
জাতিসংঘ মুসলিম বিশ্বের উপর এমন সব আইন চাপিয়ে দিয়েছে যা একেবারেই হাস্যকর। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, পাকিস্তানে মুসলমানদের নবীর অবমাননায় যদি কাউকে হত্যা করা হয় তাহলে তাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন দাবি করে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফিলিস্তিনের অজস্র মুসলমানকে যে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে জাতিসংঘ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি কখনো কখনো জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আবার কখনো সরাসরি মুসলিম বিশ্বের উপর নানান চুক্তি সম্পাদন করে। ফলে মুসলিম বিশ্বে অস্থিতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং মুসলমানেরা রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে আরো দুর্বল হতে থাকে। যেমন- কাশ্মীর সমস্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সমস্যার নিষ্পত্তির বদলে তাকে আরো জটিল করে তুলেছে। একইভাবে ডুরান্ড লাইনের সমস্যা আজ পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে স্থিতির পথে প্রধান বাঁধা হয়ে আছে। আলজেরিয়া এবং মরক্কো তিনদুফ মরুভূমিতে লড়াই করে। মিশর এবং সুদানের মধ্যবর্তী হালাইব এবং সালাতিন অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আম্মান এবং আরব আমিরাত আল-বুরেইমি মরুভূমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরব আর ইয়ামান নাজরান এবং আসীর অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সিরিয়া এবং জর্ডানে হাম্মাহ উপত্যকার কারণে বিরোধ শুরু হয়ে যায়। ঘটনাগুলোর যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে, এই ধরনের অধিকাংশ লড়াইয়ের পিছনে থাকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্ররোচনা। ইরান-ইরাক যখন শাতিল আরবের জন্য যুদ্ধংদেহি হয়ে পড়ে তখন আমেরিকা ইরাককে আর রাশিয়া ইরানকে লাগাতার অস্ত্র সরবরাহ করে আট বছর পর্যন্ত সেই যুদ্ধের স্ফুলিঙ্গে হাওয়া দিয়ে যায়। লেবাননের গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়া হয় শিয়া-সুন্নি বিরোধ উসকে দিয়ে। ইরাকে একদিকে শিয়া-সুন্নি আরেক দিকে আরব-কুর্দি লড়াই চলে আসছে। মরক্কোতে আরব এবং বার্বারদের মাঝে গৃহযুদ্ধ উসকে দেওয়া হয়েছে। ইয়েমেন উত্তর-দক্ষিণ এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম। মিশরে মুসলমান এবং কিবতিদের মধ্যকার লড়াই চলমান। সুদানে মুসলমান এবং খ্রিস্টানদের লড়াই থামার নাম নেই। চাঁদ এবং মালিতি আরব ও আফ্রিকার টানা-হেচড়া চলছেই। বাহারাইন, ইরাক সিরিয়ায় শিয়া সুন্নি বিরোধ ক্রমে আরো বাড়ছে। ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ তাতে হতাহতের শিকার। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কিছু কিছু মুসলিম দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নামে নিজেদের সৈন্য মোতায়েন করে রাখে, যা সেই দেশের সাথে ঘোষিত যুদ্ধের চাইতে কোন অংশে কম নয়। যেমন- সৌদি আরবের সাথে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এই চুক্তি করা হয়, সৌদপরিবারের নেতৃত্ব এবং শাসনক্ষমতার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমেরিকার। বিনিময়ে সৌদিআরবকে এ মর্মে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় যে, সে কখনো আমেরিকাকে তেল সরবরাহ বন্ধ করবে না।
লেখক: গবেষক, কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে নিরাপদ ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক পুলিশী নিরাপত্তা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫০ বছরের চুক্তি বাতিল করল সৌদি আরব
মিশিগানে শিশুদের ওয়াটার পার্কে অতর্কিত হামলা, ২৮ বার গুলি! জখম একাধিক
দুই দশকেরও বেশি সময় পর কাল উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
অতীত তিক্ততা ভুলে মুইজ্জুকে মোদির ঈদ অভিনন্দন
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগাডের টহল জোরদার -ভীতি ও আতঙ্ক কেটেছে দ্বীপবাসীর
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ১৫
ইজরায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভা বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার অবনতি, উত্তরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়ছেই
কেউ মাংস দিতে চায় না, তাড়িয়ে দেয়
পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ৯৪
হরিরামপুরে সাপের কামড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
ফৌজদারহাাটে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত
৭ দিনে পদ্মা সেতুতে ২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা টোল আদায়
যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন নেতানিয়াহু
কাদেরের বক্তব্যের জবাব দিতে ‘রুচিতে বাধে’ ফখরুলের
ইউরোয় ‘বড় কিছুর’ লক্ষ্য রোনালদোর
ছোট পুঁজি নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম: শান্ত
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা সোহাগ তালুকদার আর নেই