বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
বাংলাদেশের সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র, ইসকনের নেতা এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গত ২৫ নভেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২৬ নভেম্বর চিম্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় চিম্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা তাকে বহনকারী প্রিজনযান অনেকক্ষণ আটকে রাখে এবং বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়, একাধিক গাড়ি ভাংচুর করে এবং এডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের হামলায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। একজন মানুষকে গ্রেপ্তার ও তাকে জামিন না দেয়ায় তার অনুসারীরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়। একই সাথে তারা আইনকে অবজ্ঞা করেছে এবং আদালতকে অবমাননা করেছে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে একজন আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং জামিন নাকচ হওয়ার পরপরই ভারত এর প্রতিবাদ জানায় এবং বলে এতে ভারত উদ্বিগ্ন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা চিম্ময় দাসের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে অংশ নেয়া সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার বিষয়টি উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এসব হামলার পিছনে যারা জড়িত, তাদের বড় অংশকেই বাদ দিয়ে, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।’ বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেবতার অবমাননা, মন্দিরে চুরি-ভাংচুরের একাধিক নথিভুক্ত ঘটনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমন একটি বিষয় নিয়ে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আরো বলেছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিম্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরও অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সাথে সরকার লক্ষ করছে চিম্ময়কে গ্রেপ্তার করার ঘটনাকে কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকেই ভুলভাবে তুলে ধরছে না, পাশাপাশি দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ায় চেতনারও পরিপন্থী। দেশের সব ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সরকারের যে প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা, ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি।
একজন মানুষ যদি কোনো অপরাধ করে থাকে অথবা তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি হয়। অভিযুক্তের পক্ষে বিপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক হয় তাকে জামিন দেন অথবা কারাগারে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়ায় বিচার চলে, নির্দোষ হলে মুক্তি পায় আর দোষী হলে শাস্তি ভোগে কারাগারে থাকে। অপরাধের বিভিন্ন ধরন এবং মাত্রা অনুসারে একজন মানুষের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি যেমন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-, যাবজ্জীবন কারাদ- এমনকি মৃত্যদ-ও হয়। আর দোষী প্রমাণিত না হলে বেকসুর খালাস পায়। এই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থার নিয়ম-কানুন। চিম্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারে এর বিপরীত কিছুই ঘটেনি। নি¤œ আদালত জামিন দেয়নি মানে আর জামিন পাবে না, ব্যাপারটা এমন নয়। জামিনের জন্য হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে যাবার সুযোগ এবং অধিকার অভিযুক্তের রয়েছে। অথচ, ভারত চিম্ময়কে গ্রেপ্তার ও পরদিনই জামিন না দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। ভারতের এই আচরণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হুমকি। অপরদিকে চিম্ময়ের অনুসারীরা একজন আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করে আইন অমান্য করেছে, আদালত অবমাননা করেছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। আশা করব, ভারত এই হত্যাকা-েরও প্রতিবাদ করবে। একজন হিন্দুকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করায় ভারত প্রতিবাদ জানিয়েছে। অথচ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এদেশে সংঘটিত অসংখ্য খুন-গুমের কোনো প্রতিবাদ ভারত করেনি। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ, বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের বহু নেতাকে বছরের পর বছর আটক, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকা-, বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতার ফাঁসি, তিনটি ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচনসহ কোনো অপকর্মের প্রতিবাদ ভারত করেনি। সবসময় বলেছে, এসব বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। অথচ, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নয়?
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়ন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী কয়েক দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। ছাত্রছাত্রীরাই আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে। এই সময়ে এদেশে সংখ্যালঘুু সম্প্রদায়ের লোকজন, তাদের বাড়ি, ঘর এবং উপসনালয়ে যাতে কোনো ধরনের হামলা না হয়, সেজন্য দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক মঞ্চসহ সকল দলের নেতা সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন না করতে এবং তাদের জান-মাল-উপাসনালয় রক্ষায় সার্বিকভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। এসব দলের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে দেখা করেছে, মিটিং করেছে এবং সব সময় তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এসব দলের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে সারা দেশে পালাক্রমে মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। মাদরাসার ছাত্র এবং আলেম ওলামারাও মন্দির পাহারা দিয়েছে এবং এসব ছবি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো মন্দিরে হামলা হয়নি এবং কোনো মন্দির ভাংচুর হয়নি। একইভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর ধর্মীয় কারণে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুন্দরভাবে দুর্গাপূজাও পালিত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের কোনো বড় শহর এবং জেলা-উপজেলার কোনো মন্দিরে হামলা হয়নি। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের বসত বাড়িতেও ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে কোনো হামলা হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কোনো হামলা ঘটনা ঘটলে তার কোনভাবেই ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে হয়নি। সেটা স¤পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কারণে হয়েছে। যেমন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতাকালীন সময়ে এসব নেতার নানা অপকর্মের কারনে নির্যাতিত মানুষ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে এসব হামলা করেছে। এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি যদি আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে এবং এজন্য নির্যাতিত মানুষেরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে তাদের বসতবাড়িতে হামলা করে, তাহলে সেটা নিশ্চয় ধর্মীয় কারণে হয়নি। এটি স¤পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কারণেই হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা যেই কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেই একই কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের আওয়ামী লীগ নেতারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এখানে পুরো ব্যাপারটিই রাজনৈতিক এবং সাম্প্রায়িকতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো ব্যাপার নয়। একজন অপরাধীকে ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত করাটা কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা। অবস্থা দেখে মনে হয়, একজন হিন্দু অপরাধ করলেও তাকে আটক এবং শাস্তি দেয়া যাবে না। ব্যক্তিটিকে অপরাধী হিসাবে গণ্য না করে, তাকে ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত করানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করতেই পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ঐতিহাসিক কাল থেকেই এদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলে মিশে এক সাথে বসবাস করছে এবং প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। এরা সুখে-দুঃখে একে অপরের অংশীদার। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা সবই এদেশে নিরাপদ। অথচ, ভারত সব সময় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলে, যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি। ভারতের এক শ্রেণীর মিডিয়া, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং রাজনীতিবিদ সব সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে এর পক্ষে সাফাই গায় এবং প্রচার-প্রপাগান্ডা চালায়। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও এদেশে প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু বসবাস করে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান এবং চাকমা, মারমা, গারো, মুরংসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠি এক সাথে মিলে মিশে শান্তিতে বসবাস করে। এখানে এক দেশ, এক জাতি, আমরা সবাই বাংলাদেশি। অথচ, ভারত সকল বাংলাদেশিদের স্বার্থে কথা না বলে, সব সময় শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থে কথা বলে। ভারতের এই আচরণ ভারতকে সার্বজনীন না করে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পক্ষাবলম্বী করেছে। ভারতের এসব আচরণ এদেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেয়নি। হিন্দুদেরও বৃহদাংশ ভারতের এই নীতি সমর্থন করে না। আজ এই বাস্তবতা ভারতকে বুঝতে হবে।
লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে আগুন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা দায় এড়াতে পারেনা - এবি পার্টি
পথশিশুদের মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক সংগঠন আলোকিত নরসিংদী
কুলাউড়ায় বিসিএস ডাক্তারদের মানববন্ধন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাত
ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে সিলেট সীমান্তে নিহত এক তরুন : বিজিবির প্রতিবাদ
যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছেন তাদের বিচার হওয়া উচিত.রাজশাহীতে বদিউল আলম মজুমদার
ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় মামলা
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় বাড়ল
মেহেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে কেএমপিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে; কেএমপি কমিশনার
মির্জাপুরে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
বাগেরহাটে ষড়যন্দ্রমূলক মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন
পদবঞ্চিতদের আড়ালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, জবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতায় বিবৃতি
টিকেটে ছাড়াই তারকা খেলোয়াড়দের খেলা দেখার সুযোগ পাবে সিলেটবাসী
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি গঠন
কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ার শাস্তি পেলেন কোহলি
আটঘরিয়ায় ফসলী জমিতে চলছে পুকুর খনন আশঙ্কাজনক হারে কমছে জমি
পাইকগাছায় অসুস্থ গরীবদের জন্য জিয়া প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারের দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
কেশবপুর উপজেলা মৎসলীগের সভাপতি ও সুফলাকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান ডিবি পুলিশের হাতে আটক
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষকের প্রান গেল