ভারতের দাদাগিরির দিন শেষ
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
প্রতিবেশীদের ত্যক্ত-বিরক্ত করতে করতে ভারত এখন নিজেই কোণঠাসা। সুপার পাওয়ার হওয়ার মোহগ্রস্থ দেশটি দক্ষিণ এশিয়াতেই দুষ্টরাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানও এড়িয়ে চলছে ভারতকে। সবগুলো দেশেই ভারতীয় মর্জির বিপরীত সরকার। পাকিস্তান, চীন এবং শেষতক বাংলাদেশও ছেড়ে কথা বলছে না। বিশেষ করে, বাংলাদেশকে পিষে মারতে মারতে এখন বিশ্বময় ভারতের স্বরূপ উদাম হয়ে গেছে। এক সময় বলা হতো, বাংলাদেশের দম ফেলার সুযোগ নেই। কারণ, এর তিনদিকেই ভারত। আর এখন ভারতের চারদিকেই তার প্রতিপক্ষ। শেখ হাসিনা ইস্যুতে তার আচরণ শুধু বাংলাদেশে তিরষ্কৃতই নয়, একটা সমূহ আতঙ্কেও ফেলেছে।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের নাটক ও অভিযোগ সাজাতে গিয়ে একদিকে ভারতের চরিত্রের কদাকার দিক প্রকাশ পেয়েছে। আরেকদিকে হিন্দুদের হাতে ধরে অনিরাপদ করেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর ভারতের অযাচিত উদ্বেগ প্রকাশ থেমে নেই। ভারতের নিজের মাটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটে চলেছে। অথচ, সেটা নিয়ে তার সংকোচ বা অনুশোচনা নেই। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে না পেরে ভারত দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য।
এরপরও হাল ছাড়ছে না। তাই ঠুনকো অস্ত্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে ঘায়েল করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। হাল না ছেড়ে খেলছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসÑ ইসকনকে নিয়ে। এটি মূলত গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। জন্ম ১৯৬৬ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে। অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এর প্রতিষ্ঠাতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দুত্ববাদের কথা বলে আশেপাশের দেশগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের সারথী করেছেন ইসকনকে। এদের বাড়াবাড়ির কারণে চট্টগ্রামে একজন মুসলিম আইনজীবী নিহত হয়েছেন। সেদিন ইসকনের কোনো কর্মী নিহত হলে ভারত একটি মওকা পেয়ে যেত। পেয়ে যেত আন্তর্জাতিক ইস্যু। আরো নানা উইংয়ে ইস্যু পয়দার চেষ্টায় ব্যস্ত ভারত। হিন্দুসেনা প্রধান স্থানীয় একটি আদালতে পিটিশন দাখিল করে দাবি করেছে আজমির শরীফ দরগার নিচে শিবমন্দির আছে। পাগলামি কাকে বলে!
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পেছনে দেশের ভেতর-বাইরের ইন্ধনের কথা লুকায়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। এটি একটা সতর্কবার্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যে তা-বলীলা চালানো হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক প্রতিবাদ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি চট্টগ্রামে, দেশের ভেতরে-বাইরে ইন্ধন দেয়ার ঝামেলাটা সেখান থেকেই শুরুর মাঝে একটা বার্তা আছে। এ ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ার একটি সূত্রপাতও এরমধ্যে হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসস্থ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস সার্টিফিকেট প্রদান শেষে বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। এরপর সংলাপে বসেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। তার এই জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়ার আলাদা অর্থ রয়েছে। আধিপত্যবাদী শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন এখন সামরিক এবং বেসামরিক শক্তির শক্ত সেতুবন্ধন তৈরি। এ তাগিদ আসছিল বিভিন্ন মহল থেকেই। এখন কার্যকর বাস্তবায়নের অপেক্ষা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নেতা এবং জাতীয় ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণ একটি ভালো নমুনা।
সেইক্ষেত্রে ভারত প্রশ্নে একটি অবস্থানে পৌঁছবে বাংলাদেশ। অবিরাম তিক্ততায় ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের জায়গাও নষ্ট করে দিয়েছে। দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বদলে সে সম্পর্ক টেনেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে, শেখ হাসিনার সঙ্গে। যে কারণে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক সামনের দিনগুলাতে আরও তিক্ত হওয়ার সমূহ শঙ্কা ভর করেছে। আগরতলায় বাংলাদেশের হাই কমিশনে হামলা, লুট পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে বাংলাদেশ ও ভারতের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বাকযুদ্ধ ক্রমান্বয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। চিকিৎসা সেবা ও সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থেকে শুরু করে পতাকা পোড়ানো বা পদদলিত করা, বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি, ভিসা বন্ধ বা সীমিত করার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক অস্থিরতা বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি হলেও অচিরেই সেই লক্ষণ নেই। অবশ্য ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বহুমুখী, এখানে কথা বলার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এই সম্পর্ককে শুধু একটি মাত্র বিষয়ে সীমাবদ্ধ করা যায় না।’ কূটনীতির ভাষা এমনই হয়। কিন্তু, বাস্তব এমন নয়। ভার্মার এ বক্তব্যের আগে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে সোমবার হামলার প্রতিবাদ জানাতে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তলবে হাজির শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি জানান, তারা সত্যিকার অর্থে একটি গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়।
আসলে তারা কী চান, তা প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে। ক্রিয়াবিক্রিয়াও পরিষ্কার। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ। আবার নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন। এ ঘটনায় ত্রিপুরায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিয়েছে ভারত সরকার। এর আগে আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থায় লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
কূটনীতির মারপ্যাঁচে যত কথাই বলা হোক বাস্তবতাটা ভিন্ন। গত ১৫-১৬ বছর ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত নানা স্বার্থ রক্ষা করেছে শেখ হাসিনা সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এগিয়ে তারা কেউই ভারতের সাথে রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত নয়। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত-বিরোধিতা আগেও ছিল, এখন তা বরং বেড়েছে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে বড় ভূমিকা রাখছে প্রধানত বিজেপি ও ভারতের উগ্রবাদী সংগঠনগুলো। গত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো তুলনামূলক ভালো করেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন করা হচ্ছে, এমন প্রচার চালিয়ে ভারতের জনগণকে আরও বেশি মুসলিমবিদ্বেষী করার এজেন্ডায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই ইস্যুটি জিঁইয়ে রাখতে চায়। একইভাবে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন সম্পর্কে ভূয়া ও অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা আরও বাড়াচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত কারণে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় দিল্লি দেখতে চায় না। সেই সমীকরণে ভারতের খাস পছন্দ আওয়ামী লীগ। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছেন, ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন, তারা তা আজীবন মনে রাখবে। এর মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরো আগেই পরিষ্কার। সেখানে গণআন্দোলনে শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। ভারত ছাড়া দুনিয়ার কোনো দেশ আশ্রয় দেয়নি তাকে। এটি ভারতের জন্য কতো লজ্জার তা ভারতই জানে।
শেখ হাসিনাকে কেবল সুরক্ষা নয়, আবার ক্ষমতাসীন করার কাজও ভারত করবে, এটি স্বাভাবিক। ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, হাসিনা ভারতে বসে ক্ষমতায় ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও তুলেছেন, রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরছে ভারত। ইউনূস সরকারের কর্মকর্তারা সব বাংলাদেশির জন্য সমান সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির পছন্দের নেতা হাসিনার পতন ঘটিয়েছে যে আন্দোলন, তাকে খাটো করে দেখাতে ভারত বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশাকে একটি আবেগপূর্ণ রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করেছে। বিএনপি, জামায়াতসহ ডান-বামের রাজনৈতিক দলগুলোরও একই মত। এ অবস্থায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোন পথে এগোচ্ছে তা বুঝতে খুব বড় কূটনীতিক বা বিশেষজ্ঞ না হলেও চলে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গত সপ্তাহে তা আরো পরিষ্কার দিয়েছেন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে। সেখানে তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন স্বীকার করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির কারণ শেখ হাসিনাকে ভারতের সুরক্ষা দেওয়া এবং ভারতের অপপ্রচার।
হিন্দুকে সনাতন ধর্ম হিসেবে প্রচার করে ভারত বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছে। ফলে ভারত বাংলাদেশের বিষয়টিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তবে এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক। যদি ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠে, তাহলে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ নেপালেও ভারত বিরোধিতা কেন বাড়ছে?
ভারতের ভেতরেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি নির্যাতনের বিষয়ে সে কখনো নজর দেয় না, অথচ বাংলাদেশের মতো একটি উদার ও সম্প্রীতিময় দেশে ভারতের এমন অভিযোগ অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। এটি এক ধরনের কৌশল, যার মাধ্যমে অপরাজনীতিকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী এই নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে নয়; এটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চেতনা এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইচ্ছার প্রতিফলন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নিজস্ব রাজনীতি এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোই এখন ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত