পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়

Daily Inqilab ব্রি. জে. (অব.) রোকন উদ্দিন

২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম

‘আদিবাসী’ এবং ‘উপজাতি’ শব্দ দুটিকে প্রায়ই পরস্পর প্রতিস্থাপনযোগ্য মনে করা হয়, তবে এটি সমাজবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব এবং আইনি প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। এই পার্থক্যগুলো সমাজের সাংস্কৃতিক গতিশীলতা এবং সম্প্রদায়গুলোর আইনি অধিকার বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে, বিশেষ করে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে, উপজাতি জনগোষ্ঠীর একটি বিশেষ পরিচয় রয়েছে এবং তারা নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এই প্রবন্ধে ‘আদিবাসী’ ও ‘উপজাতি’ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সম্প্রদায়ের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হবে।

আদিবাসী জনগোষ্ঠী: আদিবাসীরা একটি অঞ্চলের মূল বাসিন্দা, যারা উপনিবেশ স্থাপন রাষ্ট্র গঠনের পূর্বে সেই অঞ্চলে যুগ যুগান্তরে ঐতিহাসিকভাবে বসবাস করতেন। তাদের সংস্কৃতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পূর্বপুরুষদের ভূমি এবং ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। উদাহরণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের নেটিভ আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবরিজিনাল।

উপজাতি জনগোষ্ঠী: উপজাতি গোষ্ঠীগুলি সাধারণত দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের অনন্য সামাজিক কাঠামো, ভাষা ও ঐতিহ্য বজায় রাখে। যদিও সব উপজাতি গোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয় না, তবে তাদের প্রান্তিকতার কারণে একই ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অঞ্চল হতে একটি স্থানে বসবাস শুরু করে।

আইনি স্বীকৃতি: আদিবাসীরা প্রায়শই আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় স্বীকৃতি পায়। যেমন জাতিসংঘের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণা (ইউএনডিআরআইপি), যা তাদের অধিকার ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে নির্দেশনা প্রদান করে।

উপজাতি জনগোষ্ঠী কখনও কখনও জাতীয় সংবিধান বা নির্দিষ্ট আইনি বিধানের আওতায় স্বীকৃতি পায়, তবে এটি দেশে দেশে ভিন্ন হয়ে থাকে।

ওভারল্যাপ এবং পার্থক্য: যদিও সমস্ত আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তাদের অনন্য সামাজিক কাঠামোর কারণে উপজাতি হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, কিন্তু সমস্ত উপজাতি গোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, কিছু উপজাতি গোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর আগমনের পরে একটি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে।

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায়:
১। জাতিগত বৈচিত্র্য: পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় ১১টি উপজাতি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল, যার মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো এবং অন্যান্য গোষ্ঠী রয়েছে। প্রতিটি গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলন রয়েছে, যা অঞ্চলের বৈচিত্র্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি বিশেষ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী, যারা ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে, তাদের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থান নিয়ে কিছু বিতর্ক ও ভুল ধারণা রয়েছে।

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায় ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমার, চীন এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময়ে এসে বর্তমান দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চলে বসবাস শুরু করে। তাদের আগমন কেবল স্থানান্তরের কারণ নয় বরং সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়া এবং অঞ্চলের বহুজাতিক পরিচিতির একটি অংশ। এটি তাদের স্থানীয় জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে বিতর্ক উত্থাপন করে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, তারা এই এলাকার আদিবাসী নয় বরং পরবর্তীতে বসতি স্থাপনকারী। তাদের প্রধান জীবিকা ছিল জুম চাষ, যা পাহাড়ি অঞ্চলের একটি প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি এবং এটি তাদের জীবনের কেন্দ্রীয় উপাদান ছিল।

আন্তর্জাতিক প্রচারণা এবং আদিবাসী দাবির উত্থান: ২০০৭-২০০৮ সালের ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটি বিশেষ প্রচারণা শুরু করেন। তার প্রচারণায় চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। জানা যায়, এই প্রচারণার পেছনে আন্তর্জাতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্য ছিল। এর পর থেকে উপজাতি জনগোষ্ঠী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুবিধা ও সমর্থন পাওয়ার জন্য নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করতে থাকে। এই প্রচারণা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরেই নয়, বরং স্থানীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। তাদের দাবিগুলোর ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সমর্থন লাভ করেছে।

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায় সরকারি কোটা সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষা, চাকরি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ পেয়েছে। এই সুবিধাগুলোর মাধ্যমে তাদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতায় সহায়ক হয়েছে। তারা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তবে, এই উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে উত্তেজনা এবং ভূমি অধিকার নিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাঙালিদের অভিযোগ, এই সুবিধাগুলি প্রায়শই পক্ষপাতমূলক এবং অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে।

ব্রিটিশ শাসনামলে চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল একটি বিশেষ প্রশাসনিক কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতো, যা এর অধিবাসীদের একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করত। ব্রিটিশ প্রশাসন পাহাড়ি অঞ্চলের সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে মান্য করত। তবে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পর এই বিশেষ মর্যাদা হ্রাস পায় এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য উপজাতি সম্প্রদায়ের আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৯৭ সালের চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল শান্তিচুক্তি কিছু সমস্যার সমাধান আনলেও এর পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও সম্পন্ন হয়নি। শান্তিচুক্তির প্রধান লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের ঐতিহ্য, সম্পদ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা করা। তবে, এর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

৩। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ: উপজাতি সম্প্রদায়গুলি তাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। আধুনিকায়নের ফলে তাদের ঐতিহ্যগত জীবনধারা হুমকির মুখে পড়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহ্যগত ভাষা এবং প্রথার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অনেক উপজাতি জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোতে প্রবেশাধিকার অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে, যা দারিদ্র্য ও অনুন্নয়নের চক্রকে স্থায়ী করে।

৪. বর্তমান অবস্থা ও প্রচেষ্টা: সিএইচটি শান্তিচুক্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিষ্ঠা উপজাতি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি প্রোগ্রাম উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবিকা উন্নয়নে কাজ করছে। তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নথিভুক্ত ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টাও চলছে। উপজাতি নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা তাদের অধিকার স্বীকৃতি এবং আরও বেশি স্বায়ত্তশাসনের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণ এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস এবং তাদের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক এবং চ্যালেঞ্জ দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান। যদিও তারা সরকারি ও আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে উন্নতি লাভ করেছে। তবে, তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি, স্থানীয় বাঙালি এবং উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহাবস্থানের একটি টেকসই মডেল তৈরি করা সময়ের দাবি।

লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে
বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ হোক
জিয়া : স্বাধীনতার ঘোষক
আরও

আরও পড়ুন

ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড

ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড

‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই

‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই

নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের

নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের

রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা

রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা

পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি

পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি

বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত

রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব

রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব

এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার

এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার

কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন

কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান

বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি

বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি

শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।

নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।

কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী

কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী

নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ

নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ

বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা

বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা

সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা

সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে

ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী

ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী

চার দিনের সফরে সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সফরে সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা