জায়েদ খানের ‘লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম
সম্প্রতি সময়ে নানা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জায়েদ খানকে নিয়ে সরব নেটিজেনরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঢালিউডের এই নায়ককে নিয়ে হাস্যরসে মেতে থাকেন তারা। শুক্রবার (২১ জুলাই) হঠাৎ ফেসবুকে আলোচনার মধ্যমণি হয়ে ওঠেন জায়েদ খান। জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দেশের প্রথম সারির পোর্টালগুলো ছাড়াও নানা অখ্যাত মাধ্যমেও খবরটি বেশ ফলাও করে ছাপে।
খবর ছড়ায়, এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ কারণে নজরে পড়ে সবার। আর আলোচনা শুরু হতেই বিষয়টি যাচাই-বাছাই শুরু করে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করা প্লাটফর্ম ব্লিটজ। জাতিসংঘের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর ব্লিটজ এক প্রতিবেদনে জানায়, জায়েদ খানকে পুরস্কার দেয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। মূলত প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া নিয়ে বিভিন্নজনকে পুরস্কার দিয়ে থাকে। কয়েকজন পেশাদার মানুষের উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংগঠনের নামে একটি ডোমেইন নিয়ে ওয়েবসাইট চালু করা হয়।
এরপর থেকে অনেক মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়ে আসছেন আয়োজকরা। পুরস্কারের তালিকায় অনেক বড় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এ তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামও রয়েছে। তবে এই পুরস্কার সম্পর্কে হোয়াইট হাউজ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নিউইয়র্কে ছাড়াও সুইজারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গেও প্রতিষ্ঠানটির একটি অফিস রয়েছে। তবে সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের অফিসের সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০২২ সালে ওয়েবসাইট চালু হলেও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামে আরেকজন এটির প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে নাম উল্লেখ আছে ফ্রেডেরিক অর্ডিন্স নামে একজনের।
বিষয়টির অনুসন্ধান করতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র ব্লিটজকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের নামসর্বস্ব অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো মূলত আফ্রো-আমেরিকানরা পরিচালনা করেন। মূলত অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে তারা আয় করেন। আর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অফিশিসিয়াল ওয়েবসাইট ঘেঁটেও দেখা যায়, সেখানে জায়েদ খানের পদকপ্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। তবে দ্য ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোমেসি রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেখা যায় জায়েদ খানের সম্মাননা প্রাপ্তির তথ্য রয়েছে।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা