বিক্ষোভের মুখে বন্ধ করতে হয়েছে নাটক: সৈয়দ জামিল আহমেদ '
০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পিএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চলছিল নাট্যকার মাসুম রেজার রচনা ও নির্দেশনায় নাটক 'নিত্য পুরাণ'। তবে হঠাৎ করেই নাটক চলা অবস্থায় বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় শো। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ নিজে এসে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটকটি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান।
হঠাৎ কি এমন ঘটলো যে নাটকটাই বন্ধ করে দিতে হলো এমন অসংখ্য প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল দর্শকদের মাঝে। অবশেষে আজ রবিবার (৩ রা নভেম্বর) সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ।
ওই অনলাইন ব্রিফে মহাপরিচালক জামিল আহমেদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ২২ জায়গার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয়েছে। সেসব আমার মাথায় ছিল। ঢাকার শিল্পকলা একাডেমরি ভেতরে দর্শক ছিল। উত্তেজিত কেউ গিয়ে যদি দর্শকদের আক্রমণ করে বসে সে শঙ্কা ছিল। দর্শকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রদর্শনী বন্ধ করি। আমি ভেতরে গিয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
বস্তুত কি ঘটনা ঘটেছিক এ বিষয়ে জামিল আহমেদ বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শিল্পকলার আয়োজনে যাত্রা উৎসব চলছে। আমি এবং নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির সেখানে ছিলাম। নাট্যশালার সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে শুনে আমি সেখানে যাই। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলি।
তারা বলেন, এহসানুল আজিজ বাবু স্বৈরাচারের দোসর। তার নাট্যদলের প্রদর্শনী করতে দেবে না। আমি তাদের বুঝিয়েছি, দেশ নাটকের জনা বিশেক সদস্যও জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধও হয়েছেন।’
প্রসঙ্গক্রমে জামিল আহমেদ আরও বলেন, ‘গত এক মাসে এখানে এমন অনেক নাটকের দল নাটক করেছে, যাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আমি এবং আমার সহকর্মীরা বলেছি, তাদের নাটক করতে দিতে হবে। দর্শক তাদের নাটক দেখে বিবেচনা করবে, তাদের নাটক দর্শক দেখবে কি না।’
এ সময় মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘তারা কিন্তু নাটক করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। দেশ নাটকের “নিত্যপুরাণ” নাটক নিয়েও আপত্তি ছিল না। উত্তেজিত জনতার আপত্তি কেবল একজন ব্যক্তিকে নিয়ে। পরে তারা দেশ নাটকের প্রদর্শনীও বন্ধের দাবি তোলেন।’
জানা যায়, নাটকের শো শুরুর আগে শিল্পকলার গেটে বিক্ষোভকারীরা নাটক বন্ধের জন্য ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এরপর তারা ‘দেশ নাটক’র দলনেতা এহসানুল এজাজ বাবুকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান এবং নাটকটি বন্ধ করে দিতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে এই এহসানুল এজাজ ফেসবুকে নানা রকম কটাক্ষ করেছেন। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টায় ছুটে যান স্বয়ং শিল্পকলা একাডেমির ডিজি। চেষ্টা করেন বিষয়টি সমাধানের কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনগণের কাছে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ থামাতে মঞ্চে চলমান নাটকটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন সৈয়দ জামিল আহমেদ।
দর্শকদের উদ্দেশ্যে মঞ্চে উঠে জামিল আহমেদ বলেন, ‘এতক্ষণ যুদ্ধ করলাম তো, এখন যেটা হবে- এখানে এসে উত্তেজিত জনতা আগুন দিয়ে দেবে। সেটি আরো ভয়ঙ্কর হবে।’
এ বিষয়ে নাটকটির রচয়িতা এবং নির্দেশক মাসুম রেজা বলেন, ‘আসলে পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল এবং জামিল ভাই এসে বললেন বন্ধ করতে হবে, কারণ তিনি ওদের শত চেষ্টা করেও বোঝাতে পারছিলেন না। তখন নাটকটা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমরা আর কিছু ভাবতে পারিনি।’
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তৈরি আছি: হাছান মাহমুদ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দলের কোনো নেতা-কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না : যুবদল সভাপতি
ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে ভর্তি শাজাহান খান
আলোকচিত্রশিল্পী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ মহাসম্মেলন কাল
ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০,০০০ কোটি টাকার রিটেইল ডিপোজিট মাইলফলক
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণায় জোর দিতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শ
ব্রাহ্মণপাড়ায় জেলেকে পিটিয়ে হত্যা
কুয়াকাটায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কলারোয়ায় হাজার হাজার ছাগলের মৃত্যু
হত্যা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদ
শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত ৯
লোহাগাড়ায় ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বন্দরগুলোর অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পঞ্চগড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
ধামরাইয়ে পুলিশ ক্যাম্পে ঝুলছে তালা
ভোগান্তির আরেক নাম আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
যশোরে বিএনপি নেতার আদালতে আত্মসমর্পণ
যশোর শহরজুড়ে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়