আসছে সমকালীন বাস্তবতা ও অভ্যুত্থানের নাটক ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য’

Daily Inqilab তরিকুল সরদার

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে পনের দিনব্যাপী প্রযোজনা কেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা’র অংশ হিসেবে পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে নাটক ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য’। ঘটনাক্রমের অমসৃণ গাঁথুনিতে নির্মিত এই নাটকের একটি অংশে দেখানো হয়েছে, নিকটজনের অপ্রাকৃত মৃত্যুতে ব্যক্তির একান্ত বিহ্বলতা, ক্ষোভ আর স্মৃতিকাতরতা। পাশাপাশি ফুটে উঠেছে একের মৃত্যুতে সমষ্টি কীরূপে আক্রান্ত হয় অথবা কীরূপে মৃতকে পুঁজি করে গোষ্ঠীগত ফায়দা হাসিলে নিযুক্ত হয়।

 

 

নাটকের অপর অংশে উপস্থাপিত হয়েছে বহুপদী দৈত্যের পদপিষ্ঠ পেশাজীবীর নিদারুণ সয়ে যাওয়া যাপনের আখ্যান, এবং প্রতিবাদের বয়ান। অভ্যুত্থানের স্পৃহাকে পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে নির্মিত এই নাটকটি কর্মশালার মাধ্যমে নির্মিত একটি প্রযোজনা। প্রযোজনায় ক্রমাগত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ক্লান্ত, দিশাহীন মানুষ বা পিঁপড়ারা দর্শকদের কাছে প্রশ্ন হাজির করে, ‘ঠিক কতবার মরলে বাঁচার স্বাদ পাওয়া যায়’?

 

 

 

নাট্যকর্মশালার মূখ্য প্রশিক্ষক ও নাটকটির নির্দেশক আশরাফুল ইসলাম সায়ান প্রযোজনা নির্মাণের নেপথ্যের ভাবনা প্রসঙ্গে বলেন, “ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে বৃহত্তর পরিণ্ডলের সর্বত্রই নিজের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়। নিজেদের যাপনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বুঝতে পেরেছিল যে, এই দুনিয়া হামেশাই আমাদের প্রতিকূলে থাকবে। ফলে, তারা আমাদের লড়াকু হিসেবে তৈরির যাত্রার সূচনা ঘটিয়ে দেন আমাদের অজ্ঞানেই, সেই ‘স্বরে অ-তে, অজগরটি আসছে তেড়ে’ থেকেই। অথচ, জগত মানবিকও তো হতে পারতো। যেখানে বাঁচতে হলে লড়াই করার প্রয়োজন পড়তো না। জীবন দিয়ে প্রমাণ করতে হতো না যে, ‘আমরা বাঁচতে চাই”।

 

 

প্রযোজনাটির নির্দেশনা সহযোগী, সংগীত ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আশিক চৌধুরী। পোশাক ও দ্রব্যসম্ভার পরিকল্পনা করেছেন নৃত্যশিল্পী রিমি রফিক। নাটকটিতে অভিনয় করছেন জিকরুল ইসলাম, দুরন্ত বাবু, ধনেশ চন্দ্র বর্মন, মেঘলা দাস, জসীম উদ্দিন, জামিল জুলফিকার রাহাত, তামিম ইকবাল মিরাজ, মাসুদ রানা, রাদিয়াত ইসলাম, রায়হান ইসলাম, সেলিম হোসেন, হাবিবুর রহমান শাওন, রুখসাদ বিনতে আলম স্নেহা, শাহিন ইসলাম ও স্মৃতি রানী। প্রযোজনাটির মঞ্চ ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন মোস্তাক আহমেদ, গীত রচনা, দেহ বিন্যাস ও চলন পরিকল্পনা করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান এবং মহড়া ব্যবস্থাপনায় যুক্ত আছেন এটিএম মাহমুদুল আকতার মীম। নাট্যকর্মশালা ও প্রযোজনা সমন্বয় করছেন পঞ্চগড় জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন।

 

 

প্রযোজনা সম্পর্কে নির্দেশক আরো বলেন যে, “আমাদের পুরাণ ও লোকগাঁথার অন্দরে তালাশ করলে, সৃষ্টির জন্য বিসর্জন দেওয়ার বহু নজির পাওয়া যাবে। নতুন গৃহ বা স্থাপনা তৈয়ারে, দীঘিতে জল ভরতে, অনাচার রুখতে, স্বৈরাচার উৎখাত করতে, সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তের এতো চাহিদা কেন? এই ভ‚মি কেন এতো রক্তভুক! এমন কী ঋণ করেছি আমরা- এতো মরণেও শোধ হয় না! সব রক্ত ফুরিয়ে যেতে দিতে চাই না আমরা, রক্তপিপাসা থামাতে হবে এখনি। আমরা চাই বিপ্লবী তৈয়ারের কারখানা নির্মাণ বন্ধ হোক, বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা লোপ পাক, জগতে শান্তি আসুক, সাম্য আসুক”।


বিভাগ : বিনোদন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গৌরীর সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করলেন আমির
মেটারনিটি শুটে আকর্ষণীয় লুকে রাহুল-আথিয়া
রাঙা সকালে শাবনাজের না বলা কথা
জে-হোপের সুইট ড্রিমস
ঈদে চ্যানেল অইতে ৭ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার
আরও
X

আরও পড়ুন

চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা পর্যন্ত বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে-বাদল

চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা পর্যন্ত বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে-বাদল

নতুন পদ্ধতিতে রেলের টিকিটিং ব্যবস্থা, তবে কি এবার রোধ হবে কালোবাজারি?

নতুন পদ্ধতিতে রেলের টিকিটিং ব্যবস্থা, তবে কি এবার রোধ হবে কালোবাজারি?

রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে ঃ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে ঃ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

সরকারকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আহ্বান তারেক রহমানের

সরকারকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আহ্বান তারেক রহমানের

বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তে  লিপ্ত  হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে  ঃ  মামুনুল হক

বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে ঃ মামুনুল হক

নাগরিকত্ব আইন বদলে ফেলতে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ট্রাম্প

নাগরিকত্ব আইন বদলে ফেলতে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ট্রাম্প

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি' -  ড. ফায়েজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি' - ড. ফায়েজ

সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

লাখো রোহিঙ্গাদের ইফতার স্থানে প্রবেশের হুড়োহুড়িতে নিহত ১  আহত ২

লাখো রোহিঙ্গাদের ইফতার স্থানে প্রবেশের হুড়োহুড়িতে নিহত ১ আহত ২

ভূরুঙ্গামারীতে নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

ভূরুঙ্গামারীতে নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের ফল-মিষ্টি দিলেন আগরতলা পৌরসভার মেয়র

বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের ফল-মিষ্টি দিলেন আগরতলা পৌরসভার মেয়র

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একেক সময় একেক নামে আবির্ভাব হচ্ছে: খায়ের ভূঁইয়া

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একেক সময় একেক নামে আবির্ভাব হচ্ছে: খায়ের ভূঁইয়া

আল হিকমাহ ইসলামিক অলিম্পিয়াড পুরুষ্কারে ভূষিত হলো নোয়াখালী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

আল হিকমাহ ইসলামিক অলিম্পিয়াড পুরুষ্কারে ভূষিত হলো নোয়াখালী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

মাগুরায় শিশু আছিয়ার নির্মম মৃত্যু: রাবি শিক্ষক ফোরামের বিচার দাবি

মাগুরায় শিশু আছিয়ার নির্মম মৃত্যু: রাবি শিক্ষক ফোরামের বিচার দাবি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে, নইলে সংকট বাড়বে:  শিপন

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে, নইলে সংকট বাড়বে: শিপন

কয়েকজন ছাত্রনেতা মনে করে ৫ আগষ্টের আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রই ছিলো না: ইশরাক

কয়েকজন ছাত্রনেতা মনে করে ৫ আগষ্টের আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রই ছিলো না: ইশরাক

ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না - আমিনুল হক

ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না - আমিনুল হক

আল-আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

আল-আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু মেয়েদের

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু মেয়েদের