এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য: ফারুকী
১৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১১ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১১ পিএম
আপনারা যারা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরির জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা স্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয়না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি। নির্বাচিত (!) প্রতিনিধি বা যে কোনো সরকারি বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সবসময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত কৈফিয়ত! এই যে এত লম্বা লেখাটা লিখলাম, এটা আসলে আমি লিখিনি। আমি মুখে বলেছি একজন ট্রান্সক্রাইব করে দিয়েছে। যারা আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন, তারা জানেন যে; আমি শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ না! ফলে আমার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত। কোটা আন্দোলন নিয়ে আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি কারণ, একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। এবং লিখতে থাকলে যত বেশি এংগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না। আমার শরীর সুস্থ করার জন্য যে লড়াইটা সেটা এক দীর্ঘ লড়াই। সেই লড়াইটা করার অনুমতি নিশ্চয়ই পেতে পারি? কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক বিষয় হচ্ছে, আমার স্ট্যাটাসটা সরিয়ে ফেলার পর থেকে আজকে পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন যে, আমি দালাল হয়ে গেছি এই কারণে চুপ হয়ে আছি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদ হচ্ছে আপনাকে প্রতিদিন প্রমাণ করতে হবে আপনি কে! আজকে রাষ্ট্র যে অবস্থায় এসেছে এ অবস্থায় আসার শুরু যখন হয়েছিল তখন থেকে তারা যদি আমার ফেসবুকের লেখাগুলো একটু গবেষণা করে দেখতো। তাহলে বুঝতে পারত আমি কে, আমি কি বলেছি। এবং কি বলার কারণে আমি বারবার বিপদে পড়ি! কোন রিসার্চ নাই, জাস্ট ঢালাও ভাবে দালাল বলে দাও।আজকে যে বাইনারি চলছে, হয় তুমি আমার পক্ষে না হয় তুমি আমার বিপক্ষে। এই বাইনারির বিপক্ষে আমি ২০১৪ সালে একটা লেখা লিখেছিলাম "কিন্তু এবং যদির খোঁজে" বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা হয়েছিল। মনে রাখতে হবে ওই সময় ছিল শাহবাগের সময়। ২০১৩ তে যখন শাহবাগে আন্দোলন শুরু হলো তখন, বাইনারি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে বলতে শুরু হল "কিন্তু এবং যদি" যে বলবে সেই রাজাকার। সেই ছাগু। সেই ছাগু ট্যাগটাকে আমি গলার মালা হিসেবে নিয়ে আমি লিখেছিলাম “কিন্তু এবং যদির খোঁজে”। কিছুদিন আগেও আমি বলেছি, স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারাটাই স্বাধীনতা! লেখকঃ চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কার্যকর হলো বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
আবারও রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
লেবাননে স্মরণকালের হামলার পর জনগণকে ভিডিও বার্তা নেতানিয়াহুর
সাজেকে আটকা পড়া ১৪০০ পর্যটক পত্যাবর্তন
নরসিংদীতে রেলওয়ের ২ একর জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলকে, খুনি হাসিনার বিচার দাবি
ঝিনাইদহে মিনি ট্রাকের পিছনে বড় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১
অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
বোয়ালমারীতে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামি সতর্কতা জারি
রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের একার উদ্বেগের বিষয় নয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিকর ভারী ধাতু লাল শাকে বেশি, লিচুতে উচ্চমাত্রার কীটনাশক
নিরাপদ নয় অ্যাপেলের গ্যাজেটও, তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা ভারতের
ডুলহাজরায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা নিহত, ৭ ডাকাত আটক
৬ বছরের শিশুর ধর্ষণ ঠেকাল বাঁদর বাহিনী!
চলতি হেমন্তকালই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে: জেলেনস্কি
নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি বার্তা দূতাবাসের
দেড় বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতে পারে সেই ব্যবস্থা করব : সেনাপ্রধান
শেরপুরে জেল পলাতক হত্যা মামলার আসামি স্বপন মিয়া গ্রেপ্তার