'খেলা হবে' শিরোনামে বাংলাদেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রের খেলায় লিপ্ত হাসিনা-কঙ্গনা গং?'

তরিকুল সরদার

১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম

বলিউডের উগ্র কট্টরপন্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত। অন্যান্য অভিনেতারা যেখানে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচিত হয়,সেখানে কঙ্গনা বেছে নিয়েছেন ভাইরাল হওয়ার শর্টকাট পদ্ধতি। বলিউডের এই অভিনেত্রী আলোচনায় নয় বরং সমালোচনায় থাকতে বেশি পছন্দ করেন। মানুষকে ছোট করে কথা বলায় কঙ্গনার জুড়ি মেলা ভারই নয় বরং অসম্ভব।

তার উগ্র আচরণের জন্য অবশ্য কিছুূদিন আগে বিমান বন্দরে একজন নিরাপত্তা কর্মীর থাপ্পরও খেয়েছিলেন কঙ্গনা। জানা যায়, ভারতের কৃষক আন্দোলনে মোদির দালালি করতে গিয়ে এমন নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে দাদাদের সন্তুষ্ট করে পদ বাগিয়ে নেওয়া কঙ্গনার। এতেও যদি সামান্য লজ্জ্বা-শরমের কোন বালাই থাকতো। বিভিন্ন সময়ে গোবর রানী কঙ্গনাকে দেখা যায় বাংলাদেশকে নিয়ে নানা রকম চুলকানির মলম বিক্রি করতে। তিনি যেন রিপাবলিক বাংলার মাথামোটা ময়ূর রঞ্জন ঘোষের মহিলা ভার্সন।।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী কঙ্গনা বারংবার নিজের নোংরা মানসিকতার কারনে দেশটির মানুষের কাছে বহুল সমালোচিত। অভিনয়ে খুব একটা ভালো না করতে পেরে বোধ হয় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফুটেজে আসার চেষ্টা করেন তিনি। বাংলাদেশকে নিয়ে যেন মাথা ব্যথার শেষ নেই গোবরামৃত পানকারী কঙ্গনার। বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা যেন কঙ্গনার আত্মার আত্মীয়। অবশ্য তা হবেই না কেন! হাসিনার মতো অন্য কোন দল তো মোদির মনস্কামনা পূরণ করেন না।

বাংলাদেশ থেকে ক্রমান্বয়ে দাদারা কৌশল করে সম্পদ লুট করে আসছে,কিন্তু ভারতের পুতুল হাসিনা তো আর গদিতে নেই তাই আগের মতো লুটও করতে পারছে না সে দেশের সরকার। তাই হয়তো আগের মতো ভাগ পান না তিনি।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে কঙ্গনার রাগ যেন আরও তীব্র হয়েছে। কোন ভাবেই মানতে পারছে না যে,দাদাদের জারিজুরি শেষ হয়ে গেছে। তাই কট্টরপন্থী বিজেপি সরকারের থার্ডক্লাস মানুষিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন কঙ্গনা।

এমনকি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে হাসিনার টাকা দিয়ে কেনা এইসব দালালেরা নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যে দোহাই দিয়ে শান্তি প্রিয় বাংলাদেশী মানুষদের বিভক্ত করার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত এই হাসিনা-কঙ্গনা গং। সম্প্রতি বাংলাদেশকে আবারও উত্তপ্ত করতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমেরিকায় ট্রাম্প জেতায় মনে হচ্ছে ট্রাম্প নয় বরং জিতেছে হাসিনালীগ।

দিন কয়েক আগে হাসিনা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালে সেই পোস্টকে আবার নিজের ইন্সটাগ্রামে শেয়ার দেন কঙ্গনা,তিনি পোস্টে লিখেছেন, 'খেলা হবে'। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে আবার কোন খেলার কথা বলছেন কঙ্গনা। তবে কি কট্টরপন্থী হিন্দুরা আবারও নোংরা রাজনীতিতে উন্মত্ততা প্রকাশ করতে চায়? পূর্বেই তো বাংলাদেশকে যতটা সম্ভব দেউলিয়া করে ফেলেছে হাসিনা,এবার কি তবে পুরোপুরি দাদাদের কাছে বিক্রি করার পায়তারা করছে!

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে নানা রকম মন্তব্য। নেটিজেনরা অনেকেই দাবি করছেন, হাসিনা ক্ষমতার লোভে আবারও ভারতের সাথে গুপ্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাম করে গুজব ছড়াচ্ছে বিদেশে আর সেই গুজবের স্রষ্টা আগ্রাসী দেশ ভারত। যতদ্রুত সম্ভব এই স্বৈরাচারীকে দেশে এনে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
অনেকেই আবার দাবি তুলছেন ফ্যাসিস্টদের দালাল কঙ্গনাকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক এবং অতিদ্রুত বাংলাদেশকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করা কঙ্গনার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিভাগ : বিনোদন