রাজবাড়ীতে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী গৃহবধূ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে কেচোঁ দিয়ে জৈব সার ও ভার্মিকম্প সার তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এক গৃহবধূর জাসমা খাতুন।এতে করে তার সংসারে এসেছে সচ্ছলতা এবং পেয়েছেন সেরা কৃষি উদ্যোক্তার পুরস্কারও।তার উৎপাদিত স্বল্পমূল্যের গুণগত মানসম্মত সারের চাহিদা এলাকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন ছাড়াও এ সার ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন মৎস্য খামার গুলোতে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে,,
ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদনের জন্য বাড়ির ভিতরে রয়েছে ছোট দুটি খামার ও বাড়ির বাহিরে রয়েছে বিশাল বিশাল দুটি খামার রয়েছে।সেই খামারে গরুর গোবর মাটি ও কলা গাছ ছোট ছোট করে কেটে মিশ্রিত করে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে লাল রংয়ের ছোট ছোট লক্ষ লক্ষ কেঁচো।কেঁচো গুলো গোবর ও কলা গাছ খেয়ে যে পায়খানা করে মূলত সেই পায়খানা থেকেই তৈরি হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার। এই খামারে বেশ কয়েক জন নারী-পুরুষকে কাজ করতে দেখা গেছে। তারা বলেন আমরা এই খামারি কাজ করে সংসার চালাচ্ছি জাসমা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। জাসমার মত সমাজে প্রত্যেকেরই এ ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত বলে মনে করেন তারা।
আলাপ কালে জাসমা জানান, তার এক বান্ধবী উর্মির কাছ থেকে মাত্র তিন কেজি কেঁচো কিনে নিয়ে খামারের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার উৎপাদিত জৈবসার স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিভিন্ন জেলায় এই খামারের জৈব সার বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি অফিসার তাকে সহযোগিতা করে থাকে।এছাড়াও তার খামার বৃদ্ধির জন্য টিন ইট বালু ও জৈব সার ছাকনির জন্য সরকারিভাবে অনুদান হিসাবে একটি বড় মাপের ছাকনি দিয়েছেন।তবে অনুদান খুবই কম হওয়ায় খামারটি নিজের অর্থায়ন দিয়ে পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।সরকার যদি আমাকে আরো বড় মাপের একটি অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করত তাহলে আরও বৃহত্তর পরিসরে খামারটি পরিচালনা করতে পারতাম। তাহলে এখানে সৃষ্টি হতো নারী পুরুষের বহু কর্মসংস্থান।
স্থানীয় কয়েক জন কৃষক মতিন,হারুন,ইসলাম ফকির বলেন, জাসমার উৎপাদিত জৈব সার তারা তাদের ফসলি জমির ও মৎস্য খামারে ব্যবহার করে বেশ উপকৃত হচ্ছেন। এর ব্যয় খুবই কম ও কার্যকারিতা খুবই বেশি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এই সার জমিতে ব্যবহার করলে জমির কোন ক্ষতি হয় না। জমিতে ভালো ফসল পাওয়া যায়। তাই আমাদের এই এলাকার কোন কৃষক জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে না। এখান থেকে জৈব সার কিনেই জমিতে ব্যবহার করছে এই অঞ্চলের কৃষকেরা।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোকনুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাব কে জানান, জাসমা খাতুনের খামারের উৎপাদিত জৈব সারের গুণগত মান অনেকে ভালো। কৃষকরা এই সার ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হচ্ছেন। জৈব সার জমিতে ব্যবহার করলে জমির কোন ক্ষতি হয় না। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ভাল ফসল হয়।আমি মাঝেমধ্যেই খামারটি পরিদর্শন করে।তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি । ইতিমধ্যেই তার খামার বৃদ্ধি করার জন্য সরকারি ভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে।তাকে সরকারিভাবে আরো সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রভাবমুক্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর নতুন জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি : টিআইবি’র
হেপাটোলজি সোসাইটির নতুন সভাপতি প্রফেসর শাহিনুল আলম, মহাসচিব মো. গোলাম আযম
এনসিটিবি চেয়ারম্যান ওএসডি
জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম
নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই : আমীর খসরু
দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরখাস্ত
মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে -বাউবি ভিসি
চিত্রনায়িকা নিঝুমকে অপহরণ চেষ্টা
দেশে মানসম্মত শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
সালথায় চলছে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক
ডিআরইউকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিলো দৈনিক ভোরের আকাশ
ভোগাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৩ জনের জেল, সরঞ্জাম ধ্বংস
চাঁদপুরে মেঘনায় ভেসে উঠছে মরা মাছ ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
সিলেটে ইউনিমার্টের প্রথম বর্ষপূর্তি, বিজয়ীরা পেলেন পুরস্কার
ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক কাল
দিনাজপুরে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক-বালিকাদের জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে
এক অজু দিয়ে তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়া প্রসঙ্গে?
মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন
মহড়ায় যোগ দিতে পাকিস্তানের পথেবানৌজা সমুদ্র জয়’