"তাব তাবি তাব" ইসলামি গানে মেতেছে নেটিজেনরা

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাব তাবি তাব’ নামক একটি ইসলামিক কবিতা। পবিত্র রমজানুল মোবারকের এই সময়ে যা নিয়ে চলছে নেটিজেনদের মাঝে মিম শেয়ার থেকে শুরু করে অসংখ্য রিল ও হাস্যরসাত্মক কন্টেন্ট এবং ফিচার তৈরির কাজ।
জানেন কি, এই কতিতার পেছনে রয়েছে ১২০০ বছরের পুরোনো একটি প্রাচীন ও চমকপ্রদ ইতিহাস! যা ইসলামিক সাহিত্য ও কবিতার ঐতিহ্যের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত।

ঐতিহাসিকদের মতে, ‘তাব তাবি তাব’ সুরটি আসলে একটি প্রাচীন আরবি কবিতার অংশ, যা আব্বাসীয় খিলাফতের সময়কার (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ)। কথিত আছে যে, এই কবিতাটি ৮ম শতাব্দীতে বিখ্যাত কবি আল-আসমাই রচনা করেছিলেন।

এমন ঘটনা ঘটেছিল যে, আব্বাসীয় সময়ের খলিফা আল-মনসুর (৭৫৪-৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) তার অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি প্রায়ই কবিদেরকে তার দরবারে ডেকে তাদের কবিতা আবৃত্তি করতে বলতেন এবং শুনে তা তৎক্ষনাৎই মুখস্থ করে ফেলতেন। এরপর তিনি দাবি করতেন যে কবিতাটি তার নিজের রচনা এবং কবিদেরকে হতবাক করে দিতেন।

এদিকে, কবি আল-আসমাই খলিফার এই কৌশল বুঝতে পেরে একটি অদ্ভুত ও জটিল কবিতা রচনা করেন। এই কবিতার ছন্দ ও শব্দবিন্যাস ছিল এমন যে তা মুখস্থ করা প্রায় অসম্ভব। কবিতাটির একটি অংশ ছিল:
‘ফি ওয়াসাত বুস্তান হালী, বাজার ওয়াল-সুরুর লী ওয়া লাউদু দান্দান দানালী, আত-তাবল তাবতাব তাবালী তাব তাবি তাব তাব তাবালী, তাব তাবি তাব তাব তাবালী।’
এমন কবিতা শুনে খলিফা আল-মনসুর যেন আকাশ থেকে পড়েন। হতভম্ব কবি আল-আসমাইয়ের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেন।

লোকগাথাঁ—মিম :
প্রাচীন এই কবিতার ‘তাব তাবি তাব তাব তাবালী, তাব তাবি তাব তাব তাবালী’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলেছে মিমের ছড়াছড়ি। নেটনাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ‘তাব তাবি তাব’ সুরটি এবং রমজানের সময়ে এটি বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘তাব তাবি তাব’ সুরটি আজও মানুষকে মাতিয়ে রাখছে, প্রমাণ করে যে শিল্প ও সংস্কৃতি সময়ের সীমানা অতিক্রম করে এগিয়ে যায় হাজার বছর ধরে।
এই সুরটি শুধু মিম বা বিনোদনের মাধ্যমই নয়, এটি আমাদেরকে ইসলামিক সভ্যতার গৌরবময় সাহিত্যিক ঐতিহ্যের সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয়।

বিভাগ : বিনোদন