বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তার স্ত্রী আলিয়ার দাম্পত্যকলহ এখন ওপেন সিক্রেট। এই কলহ শুরু হয় গত বছরের শেষ দিক থেকে । তখন থেকেই জনসমক্ষে চলে এসেছে তাদের সাংসারিক দন্দ্ব। চলমান বিবাদের মধ্যেই নতুন মোড় নিল ঘটনা। অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আলিয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে কি নওয়াজউদ্দিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আগেই নতুন করে সম্পর্কে জড়ালেন আলিয়া?

কিছুদিন আগেই দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাইয়ে গিয়েছেন আলিয়া। কারণ, দুই সন্তান সেখানকার স্কুলে পড়াশোনা করছে। পড়াশোনার বিষয়টি বিবেচনা করে সন্তানদের নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার (৫ জুন) বিকেলে একটি ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন আলিয়া। তাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তির সঙ্গে বসে কফি পান করছেন তিনি।

এ ছবির ক্যাপশনে আলিয়া লিখেছেন, ‘আমি যে সম্পর্ককে মূল্যবান মনে করতাম, সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে আমার ১৯ বছর সময় লেগেছে। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার বাচ্চারা। তারা সবসময়ই ছিল এবং থাকবে। কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে, যা বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি। আমি এই সম্পর্ক নিয়ে খুবই খুশি। তাই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। আমার কি সুখী হওয়ার অধিকার নেই?’

তবে ছবির ব্যক্তিটি কে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি আলিয়া। তবে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করছেন না। অনেকে এ জুটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এদিকে বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আলিয়া সিদ্দিকী সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘হ্যাঁ, আমরা দুজনেই এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে গিয়েছি, এখন বরং আমরা বন্ধু। আমাদের মধ্যে আর কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এখন আমি আমার মতো জীবন কাটাতে পারি, আমি আমার বাচ্চাদের সঙ্গে রয়েছি, ওদের কোনো সমস্যায় পড়তে দিতে চাই না। বরং এই সম্পর্কটাই বেশী সম্মানীয়। বিচ্ছেদ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আসলে এটা অভ্যাস, আপনি যদি ভালো কিছুও করেন, তাহলেও মানুষ আপনার মধ্যে খারাপটাই খুঁজবেন।’

সে সময় নাম না নিলেও নতুন প্রেমের কথা মেনে নিয়ে আলিয়া বলেন, ‘তিনি একজন দারুণ মানুষ, ভীষণ ভালো। আমি তার বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। শুধু মাত্র অর্থই সুখ আনতে পারে না। তিনি আমাকে শ্রদ্ধা করেন। তবে তিনি এদেশীয় নন, ইতালির, আমাদের দুবাইতে আলাপ হয়। আমরা অনেক দিনের বন্ধু। তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে আইনি লড়াইয়ের সময় নওয়াজের আইনজীবী জানিয়েছিলেন আলিয়া একাধিকবার বিয়ে করেছেন, আর পদবী বদলেছেন। বলা হয়েছিল, ২০০১ সালে ক্লাস এইট ফেল আলিয়া- বিয়ে করেন বিনয় ভার্গভ নামের এক ব্যক্তিকে। তখন আলিয়ার নাম ছিল অঞ্জলি কুমারী। পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে আসার পর আলিয়ার নাম হয় অঞ্জলি পাণ্ডে। ২০১০ সালে নাম পাল্টে তিনি হন অঞ্জলি আনন্দ। পরবর্তী সময়ে রাহুল এবং এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন আলিয়া। তখন নাম ছিল অঞ্জনা। পরে রাজকুমার শুক্লা নামে এক ব্যক্তিকেও বিয়ে করেছিলেন। তাদের নাকি আইনি বিচ্ছেদ হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন নওয়াজ। আবার পরে নাকি ইসলাম গ্রহণ করে আলিয়ার নাম হয়েছিল জয়নব।