শাহরুখ-সালমানের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকি
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০২ পিএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০২ পিএম
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ-সালমানসহ কেউ যার পার্টির আমন্ত্রণ কখনও উপেক্ষা করতেন না, শত কাজ ফেলেও ছুটে আসতেন তার এক ডাকে। কারণ যখনই কোনও তারকা বিপাকে পড়েছেন, তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বাবা সিদ্দিকি, মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় রাজনীতিক। বিনোদন জগতের সবার সঙ্গে নিত্য উঠাবসা ছিল তার। ১০ বছর আগে এক ইফতার পার্টিতে শাহরুখ-সালমান—দুই খানের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনি।
একটা সময় দীর্ঘদিন মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল সালমান-শাহরুখের। ২০০৮ সালে ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল এই মনমালিন্য। এর জেরেই চিড় ধরেছিল দুই তারকার সম্পর্কে। অবশেষে অভিমান ভুলে ২০১৪ সালে বাবা সিদ্দিকের ইফতার পার্টিতে সালমানকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন শাহরুখ। বাবা সিদ্দিক তখন বান্দ্রা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক। যে মুহূর্তের ছবি আজও গাঁথা রয়েছে এই দুই তারকার ভক্তদের হৃদয়ে। এরপর অসংখ্যবার বাবা সিদ্দিকের পার্টিতে একফ্রেমে দেখা দিয়েছেন দুই খান।
শোনা যায় যে, বলিউডের অন্যান্য তারকাদের কাছ থেকেই সিদ্দিককে সালমান ও শাহরুখের মাঝে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেজন্য এই রাজনৈতিক নেতা সূক্ষ্ম উপায়ে মিটিয়েছিলেন দুই বন্ধুর দ্বন্দ্ব। ইফতার পার্টিতে সেদিন শাহরুখের পাশে বসেছিলেন সালমানের বাবা বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। এ সময় সালমান আসার আগে তারা দুজন গল্প করছিলেন। পরে ‘ভাইজান’ হেঁটে আসতেই শাহরুখ উঠে দাঁড়ান এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এভাবেই মিলিয়ে যায় এই দুই সুপারস্টারের বিরোধ।
তবে শুধু শাহরুখ কিংবা সালমান নন, সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও বাবা সিদ্দিকের ছিল খুব ঘনিষ্ঠতা। তবে বলিউড ঘনিষ্ঠতা থাকলেও রাজনীতিক হিসাবেই বাবা সিদ্দিক পরিচিতি পেয়েছেন বেশি। গত শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান বিপুল সম্পত্তির মালিক বাবা সিদ্দিকি। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে গেছেন ‘মুন্না ভাই’খ্যাত অভিনেতা।
সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে মূল স্রোতের রাজনীতিতে এসেছিলেন সিদ্দিকি। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বান্দ্রা এলাকার এই নেতা। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে সাবেক কংগ্রেস-ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) জোট সরকারের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ, শ্রম, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ভোক্তা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সাল পর্যন্ত তিন বার ভোটে জিতলেও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার ছেলে জিশান এখন বান্দ্রা পূর্বের বিধায়ক। গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সঙ্গে পাঁচ দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দেন বাবা সিদ্দিকি।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা