গুরুতর অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার অনুমতি পেয়েছেন ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদী

তরিকুল সরদার

২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ইরানের বিখ্যাত একজন মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। পৃথিবীব্যাপী, বিশেষত ইরানের নারীদের প্রতি নানা রকম শোষণ,বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন এই নারী। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ইরানের কারাগারে বন্ধী নার্গিস মোহাম্মদি।

দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি নার্গিস তবুও কোনভাবেই পরতে চাননা হিজাব। তাই শাস্তি হিসেবে ইরান সরকার গত বছর বলেছিল, অসুস্থ হলেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে না নার্গিসকে। তবে কঠোরতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলেন না কর্তৃপক্ষ। সূত্রের বরাতে জানা যায়, শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাসপাতালে হয়ে সুচিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে তাকে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুস-জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এই মানবাধিকার কর্মী। গত বছর শারীরিক জটিলতার কথা জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু পরতে চাননি হিজাব, তাই মেলেনি হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ স্বরূপ অনশনও করেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে নার্গিসের ভক্ত অনুরাগীদের সংগঠন ‘দ্য ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন’ জানিয়েছে, গত আগস্টের শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নার্গিস। কিন্তু ইরানের কেভিন জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার অনুমতি দেননি। ফলশ্রুতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভয়াবহ অবনতি দিকে যায়। তবে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় অবশেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ‘ ২০২৩ সালে নোবেল শান্তিতে পুরস্কার পেলেও তাঁকে নরওয়ে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণের অনুমতি দেয়নি দেশটি। তাই তার যমজ সন্তান, আলি এবং কিয়ানাই মায়ের হয়ে পুরস্কার নিয়েছিলেন। ইরানে ইসলামিক বিপ্লব হওয়ার পর থেকেই নারীদের ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এর বিরোধিতা করায় এ যাবত ১৩ বার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। মামলায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড আর ১৫৪টি বেত্রাঘাত প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর।

বিভাগ : বিনোদন