লিবিয়ায় নাটোরের ৪ যুবক জিম্মি, মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতন
০৮ জুন ২০২৪, ১২:২৭ পিএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ এখনো শোধ হয়নি। এরই মধ্যে খবর এসেছে লিবিয়ায় জিম্মি করা হয়েছে ছেলেকে। মুক্তিপণ আদায়ে পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই ছেলের জিম্মিদশার কথা জানাচ্ছিলেন লিবিয়ায় জিম্মি সোহানের বাবা শাহজাহান প্রামাণিক। সোহানের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে। সোহানের সঙ্গেই জিম্মি হয়েছেন একই গ্রামের আরও দুই যুবক মো. সাগর হোসেন (২৪), নাজিম আলী (৩২) ও নাজিরপুর ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)।
গোয়ালের গরু, চাষের জমি বন্ধক আর চড়া সুদে মহাজনী ঋণ এবং এনজিও থেকে কিস্তি তুলে এই চার যুবককে লিবিয়ায় পাঠিয়েছে তাদের পরিবার।
তাদের পরিবার জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে এই চার যুবক লিবিয়ায় পাড়ি জমান। লিবিয়া যাওয়ার পর প্রতিমাসে অন্তত ২০ হাজার করে টাকা পাঠাতেন তারা । কিন্তু গত রোববার (২ জুন) রাতে ওই চার যুবকের ইমু নম্বর থেকে পরিবারের কাছে নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়। এরপর জিম্মি ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা না দিলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো হবে, প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। তবে এখনোও বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি পরিবারের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিম্মি হওয়া বিদ্যুৎ হোসেনের বাবা এনামুল হক এখনো লিবিয়াতেই আছেন। মূলত তার মাধ্যমেই ছেলে বিদ্যুৎসহ চারজন লিবিয়ায় যান। তবে জিম্মি ঘটনার পর থেকেই অপহরণের শিকার যুবকদের পরিবারের সঙ্গে এনামুল হক ঠিকমতো যোগাযোগ রক্ষা করছেন না।
শাহজাহান আলী জানান, রোববার ইমু নম্বরে কল দিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার ছেলে সোহান জানিয়েছে, ১০ লাখ টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলবে। বাড়ির ভিটে ছাড়া তাদের কোনো জমাজমি নেই। ভিটে বিক্রি করলেও দশ লাখ টাকা হবে না। ছেলেকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
নাজিমের স্ত্রী নাদিরা বেগম জানান, অপহরণকারীরা তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছেন। স্বামীকে মুক্ত করতে টাকার যোগান দিতে পারছেন না তিনি। মোবাইল ফোনে নির্যাতনের ভিডিও পাঠাচ্ছেন অপহরণকারীরা।
জিম্মি যুবক সাগরের বিধবা মা ছকেরা বেওয়া বলেন, অনেক কষ্টে ঋণ করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। এখন আবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ছাড়াতে হবে। তিনি নারী শ্রমিক। তার পক্ষে মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সুজা জানান, ঘটনাটি শোনার পর জিম্মিদের উদ্ধারে তিনি দ্রুত সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, লিবিয়ায় জিম্মি চার যুবককে উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছেন তারা। এছাড়া জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারে গিয়ে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিভাগ : প্রবাস জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ
ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা
নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে
ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত
সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি
সরে গেলো নৌকা
জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়
ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট
ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম
স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।
মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের
বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ
মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের
নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক
ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির
তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া
পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে
আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য রুখতে হবে