কিডনির যত্ন নিন
০৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৪ এএম
কিডনি আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। অনেক কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একটু সচেতন হলেই কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
কিডনি বিকল দুই ধরনের। আকস্মিক কিডনি বিকল আর ধীরগতির কিডনি বিকল। ডায়রিয়া, বমি, আঘাত, প্রদাহ, সংক্রমণ, অপারেশন পরবর্তী জটিলতা, মুত্রপথে বাঁধা ইত্যাদি কারণে আকস্মিক কিডনি বিকল হয়। আর ধীরগতির কিডনি বিকলের প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস, বংশগত, কিডনির রক্তনালির সঙ্কোচন প্রভৃতি। এছাড়া অজানা কোন কারণেও কিডনি বিকল হতে পারে।
কিডনি রোগ একবার হয়ে গেলে খুব বিপদ। পরিবারের সবার কষ্টের সীমা থাকে না। তাই প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নোক্ত বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন :
১। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে কিডনিতে রোগ হয়ে গেলে পানি কম খেতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। ২। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। লবণ পানি ধরে রাখে আর উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সতর্ক হতে হবে। ৩। প্রস্রাব আটকে রাখা ঠিক নয়। আমাদের দেশের মেয়েদের এ সমস্যা বেশি। এদিকে সচেতন হতে হবে। ৪। ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ৫। যেকোনো সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। বিশেষ করে কিডনিতে সংক্রমণ হলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ৬। মাংস বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে বিভিন্ন অসুখ হয় যার সাথে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। রেডমিট যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। ৭। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে যেন এটা একেবারে নিয়ন্ত্রনে থাকে। বাদ দেয়া যাবে না। ৮। প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নাহলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। ৯। ওষুধ সেবনে অনিয়ম করা যাবেনা। কোন ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। ১০। মদ, ধূমপান একেবারেই নিষেধ। এর ফলে কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গে জটিল সমস্যা হয়। ১১। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলেও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ১২। ডায়রিয়া ও অতিরিক্ত বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। তাতে জটিলতা কমে যায়। ১৩। যে কোন অপারেশন দক্ষ সার্জনের হাতে করা উচিত। অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় কিডনি বিকল হতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায় থেকে এসব রোগের চিকিৎসায় সতর্ক হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কিডনি স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সবার জানা উচিত। একইসাথে অন্যকেও জানাতে হবে। সবারই নিজের কিডনির সুস্থতার জন্য কাজ করতে হবে। কারণ সর্তক হওয়াটা চিকিৎসার চেয়ে অনেক ভালো।
ডা. ফজলুল রহমান পাভেল।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান