একজিমা ঃ কারণ ও প্রতিকার
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম

একজিমা ত্বকের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তরের এপিডার্মিসের উপর আক্রান্ত হয়। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, তারপর ধীরে ধীরে আরো বিস্তৃত হয়। একজিমা হলে ত্বকের প্রদাহ কয়েক মাস বা বছর জুড়ে থাকতে পারে। রোগিটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়।
লক্ষণঃ প্রথমে ত্বকে লালচে আবরণ পড়ে। এরপর আক্রান্ত স্থান ফুলে ওঠে এবং পরে ছোট ছোট দানা ও ফোস্কা বের হয়।
ফোস্কা ফেটে গিয়ে রস ঝরতে থাকে বা জীবাণুর দূষণের কারণে পুঁজ সৃষ্টি হয়।
কখনো কখনো ত্বক শুষ্ক খসখসে হয়।
কখনো দানাগুলো মিশে ত্বক পুরু ও শক্ত হয়ে যায়।
ত্বকে প্রদাহের কারণে চুলকানী হয়।
তীব্র চুকানির ফলে ত্বক ছিঁড়ে রক্ত বের হতে থাকে।
পারিবারিক ইতিহাস ও একজিমাঃ কিছু কিছু একজিমা যেমনঃ এটোপিক একজিমা, লাইকেন সিমপ্লেক্স বংশগত। পূর্বপুরুষদের মধ্যে এ্যাজমা, এলার্জির রাইনাইটিস বা একজিমার ইতিহাস থাকলে ও পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও হতে পারে। তবে হবেই এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সংস্পর্শ একজিমা, ছত্রাকজনিত একজিমা বা স্ক্যাবিয়াস একজিমার মধ্যে সাধারণত বংশগত কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না।
কারণঃ একজিমার কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে নি¤েœাক্ত কারণগুলো একজিমার জন্য দায়ী।
একজিমা হওয়ার কারণ বা প্রবণতা কিছুটা বংশগত।
বাইরের কোন বিশেষ বস্তুতে এলার্জির ফলেও একজিমা হতে পারে।
শরীরের ভেতরে বিক্রিয়াজনিত কারণে একজিমা হতে পারে।
থাইরয়েড হরমোনজিত কারণেও একজিমা হতে পারে।
হরমোন পরিবর্তন, বিশেষ করে মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায়।
রাসায়নিক দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, সাবান বা শ্যাম্পু থেকে সংক্রমণ।
স্যাঁতঁেসতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা।
একজিমা কোথায় হয় ?
শরীরের বিভিন্ন অংশেই একজিমা হতে পারে। যেমন: হাত, হাতের কনুই, কান, চোখের পাতা, স্তন, শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ, শিশুদের কুঁচকি ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ একজিমার লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে চিকিৎসা নিতে হবে। একজিমা জটিল আকার ধারণ করলে সুস্থ হতে সময় লাগে। এজন্য ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিরোধঃ যেসব পরিবেশ বা খাবার একজিমার কারণ হতে পারে, তা যত সম্ভব পরিহার করা।
ধুলাবালি, রোদ, সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা।
সুঁতি কাপড় পরিধান করা।
সাবান, স্যাভলন বা ডেটল পরিহার করা বা তম ব্যবহার করা বা কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে বা সাবানের পরিবর্তে শরীরে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
গোসলে সবসময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করা।একজিমা আক্রান্ত রোগীরা একটু সচেতন ও চিকিৎসকের পরামর্শমতে জীবনযাপন করলে, এ রোগ হতে দূরে থাকা যায়।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
কনসালটেন্ট, রেনেসাঁ হ্যোমিও মেডিকেয়ার
৮৯, নিমতলী সিটি কর্পোরেশন মার্কেট
চাঁনখারপুল, ঢাকা-১০০০।
০১৭১৭৪৬১৪৫০, ০১৯১২৭৯২৮৯৪
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দুদকের মামলা : আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের কাছে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া কেউ নেতা হওয়ার সুযোগ নাই: আবুল কালাম

বিরামপুর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পেয়েছে নানা অনিয়ম

মাছ রক্ত,স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

এই গরমে ত্বকের রোগ

ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

পান সুপারি ক্ষতিকর