ব্রেনের যক্ষ্মা বা টিউবারকুলোমা

ইনকিলাব

১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম

যক্ষার জীবাণু ব্রেনে টিউমারের মত দেখতে এক ধরনের ক্ষত তৈরি করে। একেই টিউবারকুলোমা বলে। উন্নত দেশে এখন আর টিউবারকুলোমা তেমন দেখা যায় না। তবে আমাদেরমত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে টিউবারকুলোমা এখনও দেখা যায়। টিউবারকুলোমা এক বা একাধিক হতে পারে। ব্রেনেই সাধারণত টিউবারকুলোমা দেখা যায়। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেরেবেলামে টিউবারকুলোমা বেশী হয়।

টিউবারকুলোমা হলে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। এর মধ্যে আছে-
১। মাথাব্যথা। ২। বমিভাব। ৩। বমি ও অস্বস্তি
৪। কথা বলতে সমস্যা। ৫। একদিকে অবশ হয়ে যাওয়া। ৭। চলাফেরায় সমস্যা। ৮। জ্বর ইত্যাদি।
সবার ক্ষেত্রে একইরকম উপসর্গ হবে এমন নয়। একেক জনের একেকরকম উপসর্গ হতে পারে।

সিটি স্ক্যান করে টিউবারকুলোমা ডায়াগনসিস করা যায়। তবে ব্রেনে টিউমার ছড়িয়ে গেলে বা ব্রেনের টিউমার হলেও একই রকম উপসর্গ এবং সিটি স্ক্যানে প্রায় একইরকম দেখা যেতে পারে। তখন এমআরআই করা হয়। এছাড়া যক্ষার জন্য বুকের এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা, মানটু টেস্ট ইত্যাদি করা হয়।
টিউবারকুলোমা সন্দেহ হলে যক্ষার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তারপর সিটি স্ক্যান করে দেখা হয়। আকার ছোট হয়ে গেলে বোঝা যায় ওষুধ কাজ করছে। কাজ না করলে অপারেশন করা হয়। তারপর যক্ষার ওষুধ দেয়া হয়। সাধারনত যক্ষার চিকিৎসা ৬মাসের হলেও এক্ষেত্রে তা কমপক্ষে ১২ মাস এবং কিছু ওষুধ বেশী দিতে হয়।
আমাদের দেশে এই টিউবারকুলোমার রোগী প্রায়ই দেখা যায়। সুতরাং এ বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত।

ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল

বিভাগ : স্বাস্থ্য