রক্তক্ষরণের রোগ হিমোফিলিয়া

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম

১৭ এপ্রিল পালিত হল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ২০২৫। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হল রক্তক্ষরণ রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক শ্নাবেলকে স্মরণ করার জন্য তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটি পালিত হয়। 
> হিমোফিলিয়া কী ? 
হিমোফিলিয়া শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ হাইমা এবং ফিলিয়া হতে। হাইমা অর্থ রক্ত এবং ফিলিয়া অর্থ আকর্ষণ। দেহের কোনো অংশে রক্তপাত শুরু হলে সুস্থ দেহে সেখানে আবার রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে। মেডিকেলের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে ক্লটিং বলে। ক্লটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। সত্য বলতে, আমাদের দেহে কোথাও কোনো ক্ষত তৈরি হলে সেই ক্ষতস্থান সময়ের সাথে সাথে শুকিয়ে যাওয়াকেই ক্লটিং বলে। যে পদার্থ রক্তক্ষরণে বাঁধা দেয় তাকে ক্লট বলে। কিন্তু কোনো কারণে ক্ষতস্থানে এই ক্লট তৈরি না হলে সেখান থেকে একাধারে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
একজন হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ক্লট সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক নয়। ব্যাপারটি আসলে এমন নয় যে, রোগীর দেহ থেকে অঝোরে এবং খুব দ্রুত রক্তক্ষরণ হতে থাকবে। মূলত একজন হিমোফিলিয়াক (যারা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত) ব্যক্তির দেহ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। অনেকে হয়তো মনে করছেন যে, এই রোগ হলে হাত, পা, হাঁটু ইত্যাদির কোথাও কেটে গেলেই তা থেকে অনবরত রক্ত ঝরতে থাকবে। ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। দেহের বাইরের কোনো ছোটখাটো আঘাত এখানে খুব একটা চিন্তার বিষয় নয়। আসল চিন্তার বিষয় হলো ইন্টারনাল ব্লিডিং বা দেহের অভ্যন্তরীণ কোনো অংশে রক্তক্ষরণ। এটি মূলত দেখা যায় দেহের ভিতরে কোনো সন্ধি যেমন হাঁটু ও গোড়ালিতে। এছাড়া দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন টিস্যু ও পেশীর মিলনস্থলেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। দেহের ভিতরে এমন রক্তক্ষরণ অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং আক্রান্ত অংশ বেশ ফুলতে শুরু করে।
> হিমোফিলিয়া কেন হয় : মানবদেহে একটি এক্স অন্যটি ওয়াই ক্রোমোজম থাকলে সে হয় ছেলে (৪৬,এক্সওয়াই) আর যদি দুটিই এক্স ক্রোমোজম থাকে তাহলে সে হয় মেয়ে (৪৬,ওয়াইওয়াই)। এক্স ক্রোমোজমে এফ ৮ ও এফ ৯ নামক দুটি জিন থাকে, যা ফ্যাক্টর ৮ ও ফ্যাক্টও ৯ নামক ক্লটিং প্রোটিন তৈরি করে। এই ক্লটিং প্রোটিন রক্তের সাদা অংশে পরিমাণমতো থাকে। ফলে আপনা আপনি রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। যাদের রক্তে এই রক্লটিং প্রোটিন কম থাকে, তাদের রক্ত পড়া বন্ধ হয় না অথবা বিলম্বিত হয়। তারাই হিমোফিলিয়ার রোগী। ছেলেদের দেহে যেহেতু একটামাত্র এক্স ক্রোমোজম থাকে এবং এই ক্রোমোজম যদি অস্বাভাবিক থাকে, তাহলে ফ্যাক্টর ৮ ও ৯ তৈরি হয় না। ফলে ছেলেরাই হিমোফিলিয়ার রোগী হয়। আর মেয়েদের দেহে যেহেতু দুটি এক্স ক্রোমোজম থাকে, তাই একটি এক্স অসুস্থ হলেও অন্য এক্স সুস্থ থাকায় পর্যাপ্ত ফ্যাক্টর ৮ ও ৯ তৈরি হয়। তাই সাধারণত মেয়েরা হিমোফিলিয়ার রোগী হয় না, রোগের বাহক হয়। তবে ১. লাওনাইজেশন বা বিদ্যমান এক্স ক্রোমোজোম ইনএক্টিভ হলে, ২. বাবা রোগী ও মা বাহক হলে অথবা ৩. টার্নান সিনড্রোম (৪৫ এক্সওয়াই) হলে মেয়েরাও রোগী হতে পারে। তাই হিমোফিলিয়ার রোগীর সঙ্গে মামাতো, খালাতো প্রভৃতি বোনের বিয়ে হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি তিনজন হিমোফিলিয়ার রোগীর মধ্যে অন্তত একজন বংশানুক্রমে সঞ্চারিত না হয়ে নতুনভাবে আক্রান্ত হয়।
> হিমোফিলিয়া কত প্রকার ?হিমোফিলিয়া এ এবং বি দুই ধরনের। হিমোফিলিয়া-এ-তে, ফ্যাক্টর-৮ মাত্রা কম বা অনুপস্থিত। হিমোফিলিয়া-বি ফ্যাক্টর-৯ এর ঘাটতি থাকে। চিকিৎসকদের ধারণা, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। আর বিশ্বব্যাপী প্রায় চার লাখ মানুষ হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত।
> হিমোফিলিয়ার লক্ষণ:- যদি কোনও সাধারণ আঘাত বা ক্ষত থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয় তাহলে বুঝবেন এটি হিমোফিলিয়ার কারণে হতে পারে। এছাড়াও ক্ষতস্থানে বিলম্বিত রক্তপাত হয়। আর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়াটাই হিমোফিলিয়ার মূল লক্ষণ। শিশু বয়সেই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে রক্তক্ষরণ, শরীরের আঘাত লাগলে সেই জায়গাটি নীলচে হয়ে ফুলে যায় অর্থাৎ চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ; মাংসপেশিতে এবং অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণ; হাঁটু, কনুই ও অন্যান্য অস্থি সন্ধি ফুলে যাওয়া; শরীরের কোথাও কেটে গেলে দীর্ঘক্ষণ রক্ত ঝরা; দাঁত তোলার পর বা সুন্নতে খাতনা করার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া, শিশু হামাগুড়ি দেওয়ার সময় হাঁটুতে কালচে দাগ হওয়া, নবজাতকের নাভি কাটার সময় দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণ হওয়া ইত্যাদি। 
> হিমোফিলিয়ার বংশগতি : বাবা সুস্থ ও মা বাহক হয় তবে ছেলে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% আর মেয়ে সন্তানের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০%। বাবা রোগী এবং মা সুস্থ হয় তবে সব ছেলে সন্তানই সুস্থ হবে এবং সব মেয়ে সন্তানই বাহক হবে। বাবা রোগী এবং মা বাহক হয় তবে ছেলে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ৫০%। আর মেয়ে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ২৫% ও বাহক হওয়ার সম্ভাবনা ২৫%। সুতরাং প্রত্যেক হিমোফিলিয়া পুরুষ রোগী বিয়ে করতে পারবে, তবে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত শুধু পুরুষরাই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং নারীরা এই রোগের বাহক। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নারীরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বাবা রোগী ও মা বাহক হলে মেয়েরাও রোগী হতে পারে। হিমোফিলিয়া রোগীর সঙ্গে আত্মীয় যেমন খালাতো, মামাতো বা ফুপাতো বোনের বিয়ে হলে দুজনেই রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 
> মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ- গুরুতর হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত কিছু লোকের মাথায় সামান্য আঘাতের পরে মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে পারে। যদিও এটি প্রায়শই ঘটে না, এটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি যা উঠতে পারে। কিছু সতর্কতা চিহ্ন এবং উপসর্গ হল:
* একটি গুরুতর মাথা ব্যথা* বারবার বমি হওয়া * অলসতা বা তন্দ্রা* দ্বৈত উপলব্ধি * হঠাৎ আনাড়ি বা দুর্বলতা* হৃদরোগের আক্রমণ বা কম্পন> পরিক্ষা :- রক্তের ফ্যাক্টর দুটির পরীক্ষা।রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা পরীক্ষা।
> প্রতিরোধ : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের জেনেটিক কাউন্সেলিং, জেনেটিক পরীক্ষা ও প্রি ন্যাটাল টেষ্ট (এমনিওসেন্টেসিস) করে অনাগত সন্তান রোগী না বাহক তা নিশ্চিত হয়ে হিমোফিলিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নেন। হিমোফিলিয়া রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করানোর কোনো চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করাই উত্তম।
বংশগত রোগ হওয়ার কারণে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করার তেমন কোনো উপায় নেই। তবে চিকিৎসা পদ্ধতির উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে এখন এই রোগের আধুনিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এখন দ্রুত হিমোফিলিয়া রোগটি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তাই হিমোফিলিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা। 
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটিইমেইল: [email protected]


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

হেপাটাইটিস সি চিকিৎসার বিকল্পের অভাব থাকায় একটি বৃহৎ ‘পরীক্ষা এবং চিকিৎসা’ ক্যাম্পেইনের সূচনা করেছে এমএসএফ
কাঁচামরিচের অনেক গুণ
গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন
শিশুর গুরুতর খাদ্যে অনিহা ব্যাধি
প্রস্রাবের সাথে রক্ত গেলে করণীয়
আরও
X

আরও পড়ুন

ইন্ডিয়া যা চায়, 'র' বাংলাদেশে সেটাই বাস্তবায়ন করতে চায় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

ইন্ডিয়া যা চায়, 'র' বাংলাদেশে সেটাই বাস্তবায়ন করতে চায় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইউএনও'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল

ইউএনও'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নিন্দা

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নিন্দা

জকিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসএসসি ফলপ্রার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু

জকিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসএসসি ফলপ্রার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু

ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনু‌ষ্ঠিত

ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনু‌ষ্ঠিত

দেশ অত্যন্ত সংকটের মধ্যে রয়েছে, কখন কি হয়ে যায় সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

দেশ অত্যন্ত সংকটের মধ্যে রয়েছে, কখন কি হয়ে যায় সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান উপযোগী মজুরি ঘোষণার দাবী জানালো বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন

চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান উপযোগী মজুরি ঘোষণার দাবী জানালো বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন

কুবি শিক্ষক আনিছের বিরুদ্ধে ফের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

কুবি শিক্ষক আনিছের বিরুদ্ধে ফের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে দেবেন না: হেফাজত

মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে দেবেন না: হেফাজত

শেরপুরে মেধা ও যোগ্যতায় কনস্টেবল পদে চাকুরি পেল ১৯ জন

শেরপুরে মেধা ও যোগ্যতায় কনস্টেবল পদে চাকুরি পেল ১৯ জন

জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান শিবিরের

জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান শিবিরের

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের স্ট্যাটাস ভাইরাল, কার নাম আছে?

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের স্ট্যাটাস ভাইরাল, কার নাম আছে?

গোপনে বিয়ে করা স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।

গোপনে বিয়ে করা স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।

বিভাজনের উর্ধে উঠে  দায়িত্বশীল  ও সতর্ক আচরণ করতে হবে  ঃ  পীর সাহেব চরমোনাই

বিভাজনের উর্ধে উঠে দায়িত্বশীল ও সতর্ক আচরণ করতে হবে ঃ পীর সাহেব চরমোনাই

কাল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে

কাল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে

উখিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে মাটি ভর্তি অবৈধ ট্রাক জব্ধ করে উদ্ধার

উখিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে মাটি ভর্তি অবৈধ ট্রাক জব্ধ করে উদ্ধার

জটিলতা সৃষ্টি করে সরকারের মান-অভিমান গ্রহণযোগ্য না: আনু মুহাম্মদ

জটিলতা সৃষ্টি করে সরকারের মান-অভিমান গ্রহণযোগ্য না: আনু মুহাম্মদ

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে