কাভার্ডভ্যানে পড়ে ছিল চালকের রক্তাক্ত লাশ

স্টাফ রিপোর্টার

২১ জুন ২০২৩, ১০:৩১ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

চালকের আসনেই বসা ছিলেন তিনি। কিন্তু সারা শরীরে রক্ত। নিথর দেহ। তখনও একহাতে গাড়ির হুইল। এ অবস্থাতেই কাভার্ডভ্যান চালক জাবের উদ্দিনের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে কল্যাণপুর খালেক পাম্পের সামনে কাভার্ড ভ্যান থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনার সময় জ্যাম কিংবা সিগন্যালের কারণে গাড়িটি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। অথবা জ্যামের কারনে থেমে থেমে চলছিলো গাড়িটি।

এ অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে এটি ছিনতাইজনিত ঘটনা নাকি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা তা নিশ্চিত নয়। রিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার বলেন, যে কাভার্ডভ্যানটিতে এ ঘটনা ঘটেছে সেই কাভার্ডভ্যান জাবের উদ্দিনের নিজেরই। নিজেই চালিয়ে থাকতেন। গাড়িতে হেলপার ও অন্য কোনো লোক ছিল না। যতটুক জানা গেছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে কল্যাণপুর এলাকায় থেমে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে জাবেরের রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তারা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জাবেরের মৃত্যু হয়েছে। তার বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ওই পেট্রল পাম্পের সামনে সিগনালে থাকাবস্থায় চালকের আসনে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। কাভার্ডভ্যান চালক জাবের ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে, না অন্য কোনো কারণে মারা গেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জাবেরের ছোট ভাই মো. জায়েদুল ইসলাম পুলিশকে জানান, তার বড় ভাই (জাবের) চট্টগ্রাম থেকে কাভার্ড ভ্যানে মালামাল নিয়ে পুরান ঢাকার বাবুবাজারে যান। সেখান থেকে তিনি সাভারের আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। কে, কারা, কেন জাবেরকে হত্যা করেছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

জাবেরের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার টুনচর গ্রামে। বাবার নাম মোশারফ হক। জাবের চার সন্তানের বাবা।

বিভাগ : বাংলাদেশ